০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
সন্ত্রাসবিরোধে দ্বৈত মানদণ্ড নেই: ব্রিকসের দৃঢ় ঘোষণায় পহালগাম হামলার তীব্র নিন্দা হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪১) প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) এর ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ঢাকায় ৭৩ সালে বস্তিবাসী ছিলো ৮ শতাংশ এখন ৪০ শতাংশ হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত ভারতীয় নাগরিক: সন্ত্রাসের আতঙ্ক ও ভারতের গণমাধ্যম লন্ডনের ‘এভিটা’-তে ব্যালকনি ছেড়ে জনতার গানে ডুবে গেলেন র‌্যাচেল জেগলার সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে কী বলেন তার বংশধররা? জনগণকে বিভক্ত করলেই রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় মব ভায়োলেন্স গত এগার মাসে ৮০ থেকে একশ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছে পর্যটন খাতে

নির্বাচন নিয়ে ইসি’র প্রস্তুতি জানতে চেয়েছে বিএনপি

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 22

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “তদন্তের আগে অনুসন্ধান ব্যবস্থা বাতিলের সুপারিশ”

দুর্নীতির কোনো অভিযোগ তদন্তের আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান করার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা বাতিলের সুপারিশ করেছে দুদক সংস্কার কমিশন। তদন্তের আগে অনুসন্ধানের এ আবশ্যিকতাকে চরম বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে কমিশন বলেছে, দুর্নীতির অপরাধের ক্ষেত্রে এমন বাধ্যবাধকতার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অনুসন্ধান বাধ্যতামূলক হওয়ায় অনাবশ্যক দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়।

গত শনিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দুদক সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর আগে দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান ও কমিশনের অন্য সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন।

অনুসন্ধানের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কমিশন বলেছে, অনুসন্ধানের কারণে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হওয়ায় প্রভাবশালী অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দুদকের কাজে অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পান। এর ফলে দুদকের কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা বাড়ে। আর খুন বা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে যেখানে অনুসন্ধানের আবশ্যিকতা নেই, সেখানে দুর্নীতির ক্ষেত্রে এ আবশ্যিকতা অযৌক্তিক।

কমিশনের প্রতিবেদনে আবশ্যিক অনুসন্ধানব্যবস্থা বাতিলসহ ৪৭টি সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি—রূপরেখাও দিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে ১৫টি সুপারিশকে স্বল্প মেয়াদে (ছয় মাস), ১২টি মধ্যম (১৮ মাস) মেয়াদে বাস্তবায়নের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। বাকি সুপারিশগুলো ৪৮ মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে কমিশন।

উচ্চমাত্রার দুর্নীতি বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দুর্নীতি ও অর্থ পাচার তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পৃথক টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন। এ ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশে দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ব্যক্তিস্বার্থে সাংবিধানিক ও আইনগত ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”ব্যাংক ডাকাতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার”

লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের খুব দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রবিবার প্রধান উপদেষ্টা তার কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ বিষয়ক এক সভায় এই নির্দেশ দেন। পরে রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, যারা ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, তারা যেন আইনের আওতার বাইরে না থাকে। যে করেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুট করেছেন তারা আসলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুটপাট করেছেন। তাই যেভাবেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।

সভায় অধ্যাপক ইউনূস অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তবে তিনি বলেন, আমাদের আরও ভালো করা দরকার। আমরা খুব বাজে অবস্থায় ছিলাম, সেই জায়গা থেকে এখন ভালো জায়গায় আসছি। তবে আরও ভালো জায়গায় নিতে হবে, এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ। বেক্সিমকোর যে জটিলতা রয়েছে, সেটির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”ছয় মাস ধরে শিক্ষা খাতের বড় সিদ্ধান্তগুলো মবকে ঘিরে”

গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র-জনতার অন্যতম প্রত্যাশা ছিল শিক্ষা খাতে বড় সংস্কার। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ছয় মাস পার হলেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এমনকি রাষ্ট্রের অন্যান্য খাতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছয়টি কমিশন গঠন করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ খাতটি অবহেলিতই রয়ে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে এখনো ফেরেনি শিক্ষার পরিবেশ। এর পরও যেসব সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত এসেছে তার বেশির ভাগই নেয়া হয় মবের মুখে বাধ্য হয়ে। এর মধ্যে অনেকগুলোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মব বা আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নেয়ার শুরুটা হয় গত আগস্টে। সবেমাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যেই ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের দাবি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বাতিল করা হয় স্থগিত পরীক্ষাগুলো। সরকারের এ সিদ্ধান্তে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নিজেও হতাশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, সম্পূর্ণ পরীক্ষা নেয়া ছাড়া এভাবে অটো পাস দেয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারেই দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার সর্বস্তরে এমনকি কর্মজীবনে প্রবেশেও তৈরি হবে জটিলতা। তাই বাতিল না করে বরং প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের আরো সময় দিয়ে কিংবা সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেয়া যেত।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল হান্নান চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌শিক্ষাসংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কোনো সরকার বা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে একটি সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে নেয়া উচিত। ভবিষ্যৎ শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা যে জাতি গঠন করতে চাই সে চিন্তা করেই নেয়া উচিত। শিক্ষার ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়াই উচিত না। অতীতেও তড়িঘড়ি করে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তার একটি ফলাফলও ভালো হয়নি।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নির্বাচন নিয়ে ইসি’র প্রস্তুতি জানতে চেয়েছে বিএনপি”

আগামী মে-জুন মাসের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইসি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গতকাল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি এই কথা জানান। বলেন, জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি কি-এই বিষয়গুলো নিয়েই আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। সবকিছু আলাপের পর আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, আগামী মে-জনু মাসের মধ্যে তারা পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবেন ভোটার তালিকা আপগ্রেড করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এখন তাদের নাই। কারণ দেশের প্রচলিত সংবিধান ও আইন হলো- একটা সরকার পদত্যাগ করলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এখন তো ওই আইনে দেশ চলছে না। এই মুহূর্তে তাহলে পলিটিক্যাল কনসেনসাসের ভিত্তিতে সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ হতে হবে এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন। তবে আমরা এতটুকু বুঝেছি যে, যদি মে-জুন মাসের মধ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি থাকে তাহলে প্রাসঙ্গিক আর কোনো সমস্যা থাকলে সেটা দূর করে খুব দ্রুতই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

তাদের কাছ থেকে যেটুকু জানলাম যে, প্রায় ৩০ লাখ নতুন ভোটার আগামী দিনে যুক্ত হবে। আর এর মধ্যে ১৫ লাখ মারা গেছেন তারাও বাদ পড়বেন। আল্টিমেটলি ১৫ লাখ ভোটার বিদ্যমান তালিকায় যুক্ত হওয়ার কথা।

আপনারা কমিশনের কাছে নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রস্তাব দেইনি। আমরা তো এনাদের কাছে এটা বলবো না। যেহেতু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব এখন সরকারের- তারপরে সিডিউল ঘোষণা তো কমিশনই করবে। আপনারা জানেন যে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল আমাদের আলোচনা আছে, সেখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।

 

সন্ত্রাসবিরোধে দ্বৈত মানদণ্ড নেই: ব্রিকসের দৃঢ় ঘোষণায় পহালগাম হামলার তীব্র নিন্দা

নির্বাচন নিয়ে ইসি’র প্রস্তুতি জানতে চেয়েছে বিএনপি

০৮:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “তদন্তের আগে অনুসন্ধান ব্যবস্থা বাতিলের সুপারিশ”

দুর্নীতির কোনো অভিযোগ তদন্তের আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান করার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা বাতিলের সুপারিশ করেছে দুদক সংস্কার কমিশন। তদন্তের আগে অনুসন্ধানের এ আবশ্যিকতাকে চরম বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে কমিশন বলেছে, দুর্নীতির অপরাধের ক্ষেত্রে এমন বাধ্যবাধকতার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অনুসন্ধান বাধ্যতামূলক হওয়ায় অনাবশ্যক দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়।

গত শনিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দুদক সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর আগে দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান ও কমিশনের অন্য সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন।

অনুসন্ধানের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কমিশন বলেছে, অনুসন্ধানের কারণে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হওয়ায় প্রভাবশালী অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দুদকের কাজে অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পান। এর ফলে দুদকের কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা বাড়ে। আর খুন বা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে যেখানে অনুসন্ধানের আবশ্যিকতা নেই, সেখানে দুর্নীতির ক্ষেত্রে এ আবশ্যিকতা অযৌক্তিক।

কমিশনের প্রতিবেদনে আবশ্যিক অনুসন্ধানব্যবস্থা বাতিলসহ ৪৭টি সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি—রূপরেখাও দিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে ১৫টি সুপারিশকে স্বল্প মেয়াদে (ছয় মাস), ১২টি মধ্যম (১৮ মাস) মেয়াদে বাস্তবায়নের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। বাকি সুপারিশগুলো ৪৮ মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে কমিশন।

উচ্চমাত্রার দুর্নীতি বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দুর্নীতি ও অর্থ পাচার তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পৃথক টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন। এ ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশে দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ব্যক্তিস্বার্থে সাংবিধানিক ও আইনগত ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”ব্যাংক ডাকাতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার”

লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের খুব দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রবিবার প্রধান উপদেষ্টা তার কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ বিষয়ক এক সভায় এই নির্দেশ দেন। পরে রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, যারা ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, তারা যেন আইনের আওতার বাইরে না থাকে। যে করেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুট করেছেন তারা আসলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুটপাট করেছেন। তাই যেভাবেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।

সভায় অধ্যাপক ইউনূস অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তবে তিনি বলেন, আমাদের আরও ভালো করা দরকার। আমরা খুব বাজে অবস্থায় ছিলাম, সেই জায়গা থেকে এখন ভালো জায়গায় আসছি। তবে আরও ভালো জায়গায় নিতে হবে, এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ। বেক্সিমকোর যে জটিলতা রয়েছে, সেটির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”ছয় মাস ধরে শিক্ষা খাতের বড় সিদ্ধান্তগুলো মবকে ঘিরে”

গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র-জনতার অন্যতম প্রত্যাশা ছিল শিক্ষা খাতে বড় সংস্কার। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ছয় মাস পার হলেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এমনকি রাষ্ট্রের অন্যান্য খাতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছয়টি কমিশন গঠন করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ খাতটি অবহেলিতই রয়ে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে এখনো ফেরেনি শিক্ষার পরিবেশ। এর পরও যেসব সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত এসেছে তার বেশির ভাগই নেয়া হয় মবের মুখে বাধ্য হয়ে। এর মধ্যে অনেকগুলোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মব বা আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নেয়ার শুরুটা হয় গত আগস্টে। সবেমাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যেই ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের দাবি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বাতিল করা হয় স্থগিত পরীক্ষাগুলো। সরকারের এ সিদ্ধান্তে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নিজেও হতাশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, সম্পূর্ণ পরীক্ষা নেয়া ছাড়া এভাবে অটো পাস দেয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারেই দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার সর্বস্তরে এমনকি কর্মজীবনে প্রবেশেও তৈরি হবে জটিলতা। তাই বাতিল না করে বরং প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের আরো সময় দিয়ে কিংবা সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেয়া যেত।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল হান্নান চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌শিক্ষাসংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কোনো সরকার বা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে একটি সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে নেয়া উচিত। ভবিষ্যৎ শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা যে জাতি গঠন করতে চাই সে চিন্তা করেই নেয়া উচিত। শিক্ষার ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়াই উচিত না। অতীতেও তড়িঘড়ি করে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তার একটি ফলাফলও ভালো হয়নি।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নির্বাচন নিয়ে ইসি’র প্রস্তুতি জানতে চেয়েছে বিএনপি”

আগামী মে-জুন মাসের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইসি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গতকাল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি এই কথা জানান। বলেন, জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি কি-এই বিষয়গুলো নিয়েই আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। সবকিছু আলাপের পর আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, আগামী মে-জনু মাসের মধ্যে তারা পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবেন ভোটার তালিকা আপগ্রেড করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এখন তাদের নাই। কারণ দেশের প্রচলিত সংবিধান ও আইন হলো- একটা সরকার পদত্যাগ করলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এখন তো ওই আইনে দেশ চলছে না। এই মুহূর্তে তাহলে পলিটিক্যাল কনসেনসাসের ভিত্তিতে সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ হতে হবে এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন। তবে আমরা এতটুকু বুঝেছি যে, যদি মে-জুন মাসের মধ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি থাকে তাহলে প্রাসঙ্গিক আর কোনো সমস্যা থাকলে সেটা দূর করে খুব দ্রুতই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

তাদের কাছ থেকে যেটুকু জানলাম যে, প্রায় ৩০ লাখ নতুন ভোটার আগামী দিনে যুক্ত হবে। আর এর মধ্যে ১৫ লাখ মারা গেছেন তারাও বাদ পড়বেন। আল্টিমেটলি ১৫ লাখ ভোটার বিদ্যমান তালিকায় যুক্ত হওয়ার কথা।

আপনারা কমিশনের কাছে নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রস্তাব দেইনি। আমরা তো এনাদের কাছে এটা বলবো না। যেহেতু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব এখন সরকারের- তারপরে সিডিউল ঘোষণা তো কমিশনই করবে। আপনারা জানেন যে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল আমাদের আলোচনা আছে, সেখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।