সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রনে রাখা দরকার বলে সরকারি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে
২. বেক্সিমকো গ্রুপের শিল্প এলাকার নিকটবর্তী কারখানাগুলো শ্রমিক অসন্তোষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
৩. শুধু বেক্সিমকো নয়, আরো অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ছাটাই হয়েছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, স্বল্পমেয়াদে আর্থিক খাতের দুর্বলতা ও শ্রমিক অসন্তোষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য অন্যতম ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
এ প্রেক্ষাপটে, সরকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে রাখা, যাতে এটি আরও বিস্তৃত আকার ধারণ না করে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার প্রধান উপদেষ্টা (সিএ) মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে উক্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের প্রেস উইংয়ের বরাত দিয়ে জানা যায়, এই বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বেক্সিমকো গ্রুপের শিল্প এলাকার নিকটবর্তী কারখানাগুলো শ্রমিক অসন্তোষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
কারখানাগুলোর মধ্যে বিশেষ করে বেক্সিমকোর টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে ৪০,০০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ফলে শ্রমিক অসন্তোষের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। এছাড়াও, কিছু মালিকপক্ষ দুর্নীতি বা অর্থ পাচারের অভিযোগে পলাতক থাকায় তাদের কারখানাগুলোতেও শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের উস্কে দিচ্ছে, যা শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
অপরদিকে, বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণের ফলে আর্থিক খাতও বড় ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০টি ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ব্যাংকগুলোর সম্পদের গুণগত মান যাচাই করতে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে।
সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প প্রসঙ্গে আলম বলেন, সরকার বর্তমানে অপ্রয়োজনীয় এবং কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করছে।
সরকারের এই প্রতিবেদন সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বলেন, শুধু বেক্সিমকো নয় আরো অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ছাটাই হয়েছে। আর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দূর না করতে পারলে, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বাস্তবে অর্থনীতির ঝুঁকি কমার সম্ভাবনা কম।