সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার”
নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকার ফ্ল্যাট থেকে উৎপল রায় (৬২) নামের এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাহাপাড়া এলাকার শংকর সাহার মালিকানাধীন সাততলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন উৎপল রায় ও তাঁর ছেলে উজ্জ্বল কুমার রায়। তাঁদের বাসায় একজন নারী গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ওই নারী বাসায় ঢোকেন। পরে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বের হন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছেলে উজ্জ্বল বাসায় এসে দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে লক করা। পরে লক ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, তাঁর বাবার রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে।
ওসি জানান, কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়ির দারোয়ান পলাতক আছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব”
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং জাতিসংঘ প্রকল্প পরিষেবা অফিস (ইউএনওপিএস)-এর উপ-নির্বাহী পরিচালক ক্রিস্টিন দামকজায়ের সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসছেন। ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বাসসের এতে বলা হয়েছে, ‘এ সফরের লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ও উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনওপিএস’র মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টি পর্যালোচনা করা।’
দামকজায়ের স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই অবকাঠামোর মতো যে সব ক্ষেত্রে ইউএনওপিএস সহযোগিতা করছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য সরকারের উপদেষ্টা এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”সরকার অতিরঞ্জিত বললেও খুঁজে পাচ্ছে না বিবিএস”
দেশের সরকারি পরিসংখ্যান দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ। মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপির তথ্যে নেই বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন। সম্প্রতি ক্ষমতার পালাবদলের পর এ প্রশ্ন আরো জোরালো হয়েছে। দেশী-বিদেশী বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকেও জিডিপির তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বলা হয়েছে, উন্নয়নের বয়ান তৈরির জন্য জিডিপির আকার ও প্রবৃদ্ধিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছিল বিগত সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ছয় মাস পর গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করেছে। তাতে অবশ্য বিগত সময়ের তথ্যের সঙ্গে খুব বেশি ফারাক নেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গলদ রয়েছে বিবিএসের জিডিপির হিসাব পদ্ধতির মধ্যেই। অনুমাননির্ভর এবং অনেক পুরনো তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব করে সরকারের সংস্থাটি। ফলে অনেক সময় বাস্তবতার সঙ্গে তার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এবারো পদ্ধতিগত কোনো পরিবর্তন না করার কারণেই জিডিপির হিসাবে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন তারা। তাই বিবিএসের সামগ্রিক পরিবর্তনে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ‘সিজি মডেল’ নিয়ে কাজ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার। বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যান তৈরির সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি বণিক বার্তাকে বলেছিলেন, ‘জিডিপিতে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মতো একটি গ্যাপ তৈরি হয়ে থাকতে পারে। এতে জিডিপির আকার ৪০০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসতে পারে। কেউ কেউ ৩০০ বিলিয়ন ডলার বলছেন। তবে তা এতটা কম হওয়ার কথা না।’
বিবিএসের সর্বশেষ প্রকাশনা বলছে, দেশের জিডিপির আকার গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৪৫০ বিলিয়ন ডলার। যদিও সংস্থাটির গত বছরের মে মাসে প্রকাশিত সাময়িক হিসাবে ৪৫৯ বিলিয়ন ডলার বলা হয়েছিল। অর্থাৎ চূড়ান্ত হিসাবে জিপিডির আকার কমেছে মাত্র ৯ বিলিয়ন ডলার। টাকার হিসাবে দেশের জিডিপির আকার এখন ৫০ লাখ কোটি টাকার ওপর।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নির্বাচনের রূপরেখা চায় বিএনপি”
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘নির্বাচনের রূপরেখা চায় বিএনপি’। খবরে বলা হয়, দ্রুত নির্বাচন দিতে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করেছে বিএনপি। নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ কিছু দাবিতে আগামীকাল বুধবার থেকে মাঠের কর্মসূচিতে যাচ্ছে দলটি। এই কর্মসূচি শুরুর আগে সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে তাগিদ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বৈঠকে নির্বাচন প্রশ্নে দলীয় অবস্থান ও মনোভাব প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
এর আগে গত রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। সেই বৈঠকে ইসির কাছে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন নেতারা। সর্বশেষ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করল বিএনপি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে চার পৃষ্ঠার একটি লিখিত বক্তব্য দিয়েছে বিএনপি। বৈঠক শেষে রাত পৌনে আটটায় যমুনা প্রাঙ্গণে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন। জনগণের প্রত্যাশা, অতি দ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে, যার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
কবে নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করা হতে পারে, এমন এক প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এটা ওনারা ঠিক করবেন। তবে ওনারা সম্ভাব্য ১৫ তারিখের (ফেব্রুয়ারি) মধ্যেই কিছু একটা বলতে পারেন।’
ন্যূনতম সংস্কার সম্পন্ন করে আলোচনা এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় তাঁরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছান। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা, দ্রব্যমূল্যসহ চলমান বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়।