সারাক্ষণ ডেস্ক
হোয়াইট হাউস থেকে বার্তা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্লাস্টিক স্ট্র প্রতিস্থাপন করে কাগজের স্ট্র ব্যবহারের প্রচেষ্টা বন্ধ করেছে।
এই আদেশ, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরিত একটি পদক্ষেপকে বাতিল করেছে। বাইডেন প্লাস্টিক দূষণকে “সংকট” বলে আখ্যায়িত করেছিলেন এবং ২০২৪ সালে ধীরে ধীরে প্লাস্টিক স্ট্র, কাটলারি এবং প্যাকেজিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেন, কাগজের স্ট্র কাজ করে না এবং তা ব্যবহারকারীর মুখে “বিরক্তিকরভাবে” গলে যায়। তার ভাষায়, “এই জিনিসগুলো কাজ করে না। আমি বহুবার এটি ব্যবহার করেছি। মাঝে মাঝে এগুলো ভেঙে যায়, কখনো কখনো ফেটে যায়। গরম কিছু থাকলে কয়েক মিনিটও স্থায়ী হয় না, কখনো মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই নষ্ট হয়ে যায়। এটি হাস্যকর।”
প্লাস্টিক বনাম কাগজের স্ট্র বিতর্ক
ট্রাম্পের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি সংস্থাগুলোকে কাগজের স্ট্র কেনা বন্ধ করতে হবে এবং এগুলো দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি কৌশল প্রস্তুত করতে হবে।
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই কাগজের স্ট্রর সমালোচক। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালে তিনি তার প্রচারণায় প্লাস্টিকের স্ট্র বিক্রি করেছিলেন, যা “উদারনৈতিক” কাগজের স্ট্রর বিকল্প হিসেবে প্রচার করা হয়। এই স্ট্র বিক্রি থেকে তার প্রচারাভিযান কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ৫ লক্ষ ডলার আয় করে।
বিভিন্ন মার্কিন শহর এবং রাজ্য—যেমন সিয়াটল, ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন এবং নিউ জার্সি—প্লাস্টিক স্ট্র ব্যবহারে নিয়মকানুন জারি করেছে। অনেক জায়গায় শুধুমাত্র গ্রাহকের অনুরোধে এটি সরবরাহ করা হয়।
পরিবেশগত উদ্বেগ
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর ৪৬০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদিত হয়, যা সমুদ্র দূষণ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক গঠন করে।
তবে কাগজের স্ট্র ব্যবহারও বিতর্কের বাইরে নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে “ফরএভার কেমিক্যাল” বা পিএফএএস থাকে, যা পরিবেশে কয়েক দশক ধরে থেকে যায় এবং পানির উৎস দূষিত করতে পারে। এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যারও কারণ হতে পারে।