সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “হুটহাট যেন জামিন না হয়, সতর্ক থাকুন”
দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টাকারী ব্যক্তি ও সন্ত্রাসীরা যাতে সহজে জামিন না পান, সেটা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ও আইনজীবীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা। তাঁরা জামিন পাওয়ার যোগ্য মানুষেরা যাতে সহজে জামিন পান, সেটিও নিশ্চিত করার পক্ষে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক কর্মশালায় মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আইনজীবীদের বলব, আপনারা আদালতে দায়েরকৃত প্রতিটি মামলার ধার্য তারিখে উপস্থিত থাকুন। প্রসিকিউটিং এজেন্সির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ রাখুন। কোনোভাবেই যেন কোনো সন্ত্রাসী জামিন না পায়, সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন।’
অন্যদিকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, পতিত ফ্যাসিস্টরা লাখ লাখ কোটি টাকা খরচ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। হুটহাট কাউকে জামিন দেওয়া যাবে না। আবার যিনি জামিনের যোগ্য, তাঁকে জামিন থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যেন জামিন নিয়ে বের হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দেশে সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে বেরিয়ে এসে অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগেরও দু–একজন জামিন পেয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা হয়েছে। এমন অবস্থায় দুই উপদেষ্টা জামিন প্রসঙ্গে বক্তব্য দিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে। ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগবিষয়ক কর্মশালা’য় বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে তিন পর্বে কর্মশালাটি হয়। প্রথম পর্বে আগত অতিথিরা বক্তব্য দেন। পরের দুই পর্বে মানবাধিকার, পরিবেশ, আইন প্রয়োগ, মামলা রুজু ও তদন্তে যথাযথ আইনের প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”শিক্ষার্থীদের দলের আত্মপ্রকাশ হতে পারে ২১ ফেব্রুয়ারি”
২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন কিংবা একদিন আগে পরে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসতে পারে। দল ঘোষণাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতিও শেষ করেছে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্ল্যাটফরম জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ করতে প্রস্তুতি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ইত্তেফাককে বলেন, ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন আমাদের দলের ঘোষণা আসতে পারে। তবে এখনো কোনো তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা একটি প্রস্তুতি কমিটি করেছি, তারা দলের আত্মপ্রকাশকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ও সামগ্রিক কাঠামো সম্পর্কে জানা গেছে, দল ঘোষণা উপলক্ষে জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাইদের বাড়ি থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের শহিদ ওয়াসিমের বাড়ি পর্যন্ত লংমার্চ করা হবে। দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর দেশব্যাপী ১৫ দিনের এ লংমার্চ করা হবে। দলের নাম এখনো চূড়ান্ত না হলেও প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি এবং ঈদের পর কাউন্সিলের মাধ্যমে দলীয় কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে। আহ্বায়ক কমিটি হওয়ার পরেই নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জনের জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলায় প্রয়োজনীয় কাঠামো নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক দলের নাম চূড়ান্ত করতে ইতিমধ্যে জনমানুষের প্রত্যাশা জানতে সপ্তাহব্যাপী ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামী দুই দিনের মধ্যে ৫ লাখের বেশি মানুষের মতামত সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”দুবাইয়ে থাকা সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন বাংলাদেশীরা”
দুবাইয়ে থাকা অফশোর সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন বাংলাদেশীরা। এজন্য সেখান থেকে প্রপার্টি কেনাবেচার ওয়েবসাইটগুলোয় বিজ্ঞাপনও দেয়া হচ্ছে বলে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্তে উঠে এসেছে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলকে (সিআইসি) বিষয়টি অবহিত করেছে বিএফআইইউ। এ বিষয়ে এনবিআরকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআরের একাধিক সূত্র বণিক বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিদেশে থাকা অপ্রদর্শিত সম্পদ ঝুঁকিতে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় সেগুলো বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। আবার অনেকেই আয়কর নথিতে এসব সম্পদ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এনবিআরের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন।
দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের সম্পদ বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএফআইইউ-প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশে-বিদেশে থাকা বাংলাদেশীদের অপ্রদর্শিত সম্পদ অনুসন্ধানে আমাদের একটি জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করছে। দেশে থাকা অনেক সম্পদ আমরা এরই মধ্যে তদন্তের আওতায় নিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে বিদেশে থাকা সম্পদও তদন্তের আওতায় আনা হবে। আমাদের কার্যক্রম চলছে। দেশে-বিদেশে কীভাবে অ্যাপ্রোচ করা হবে, কীভাবে অপ্রদর্শিত সম্পদ চিহ্নিত করা হবে—এসব বিষয় একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশের আয়কর আইনে নিবাসী বাংলাদেশী করদাতার বিদেশে থাকা সম্পদ আয়কর নথিতে প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক। আইনে কোনো বাংলাদেশীর এ ধরনের কোনো সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে তা নিয়ে দেশে-বিদেশে অনুসন্ধান চালানো এবং সমপরিমাণ অর্থ জরিমানার বিধান রয়েছে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “আশ্বাস পেলেও সরকারকে চাপে রাখবে বিএনপি”
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সরকার প্রধানের এমন বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে বিএনপি। তবে নির্ধারিত এই সময়েই যাতে নির্বাচন আয়োজন করে সরকার তার জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে চায় দলটি। নির্বাচন প্রলম্বিত হতে পারে নানা পক্ষের এমন আশঙ্কার কারণে বিএনপি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে সরকারের প্রতি চাপ প্রয়োগের কৌশল নিয়ে এগোবে।
সরকারকে চাপে রাখতে পূর্বঘোষিত ঢাকাসহ দেশব্যাপী সভা-সমাবেশের কর্মসূচি পালন করবে দলটি। গত সোমবার চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর ওইদিন রাতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু স্থায়ী কমিটিকে অবহিত করেন বৈঠকে অংশ নেয়া তিন নেতা। ওই নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার এমন আশ্বাসের পরও বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এরপরও বাধা আসতে পারে। কারণ নির্বাচন প্রলম্বিত করতে কয়েকটি ইসলামী দল সায় দিচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশেরও এতে সায় আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দল গঠনের বিষয়টিও আলোচনা হয় বৈঠকে। নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তারা কিছুটা সময় নিতে চাইবে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াতও এখন তৃণমূলে সংগঠনকে গোছানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
এমন অবস্থায় দ্রুত নির্বাচন দাবিতে বিএনপি দেশব্যাপী কর্মসূচির মধ্যদিয়ে কৌশলে পাল্টা চাপ সৃষ্টি করলে সরকার ঘোষিত সময়ের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করবে না।