সারাক্ষণ ডেস্ক
সুপারসনিক ফ্লাইট: অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৫-এ প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান।
পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, আকাশে জ্বালানি সরবরাহকারী কেসি-১৩৫ স্ট্র্যাটোট্যাঙ্কার, সুপারসনিক ভারী বোমারু বিমান বি-১ এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমানসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন বিমান বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিতব্য অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৫-এ প্রদর্শিত হবে।
এশিয়ার বৃহত্তম এই এয়ার শোতে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম অংশগ্রহণ। এবারের শো ১০ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
২০টির বেশি প্রদর্শক
অ্যারো ইন্ডিয়ায় দুই ডজনেরও বেশি মার্কিন প্রদর্শক ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে, নতুন ব্যবসায়িক সুযোগ অন্বেষণ করবে এবং বিমান ও প্রতিরক্ষা খাতে উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করবে। এসব কোম্পানি মনুষ্যবিহীন আকাশযান, যুদ্ধবিমান, উন্নত অ্যাভিওনিক্স এবং প্রতিরক্ষা ইলেকট্রনিক্সের অগ্রগতির প্রদর্শনী করবে।
নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জর্গান অ্যান্ড্রুজ মার্কিন পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য বিভাগের প্রতিনিধিদের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অ্যারো ইন্ডিয়ায় পুনরায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত এবং এটি আমাদের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্কের প্রমাণ। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় করছে।”
মার্কিন প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কেভিন স্নাইডার, ভারতের মার্কিন মিশনের সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল প্যাট্রিক টিগ এবং চেন্নাইয়ে মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রিস হজেসও মার্কিন প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে থাকবেন।
প্রতিরক্ষা সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি
অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩-এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, সরবরাহ ব্যবস্থা এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেনারেল স্নাইডার বলেন, “অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৫ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিমান ও সরঞ্জাম প্রদর্শনের একটি আদর্শ মঞ্চ, যা আমাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে আন্তঃকার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের সম্প্রসারণের পাশাপাশি তথ্য আদান-প্রদান, সংযোগ কর্মকর্তা, প্রশিক্ষণ মহড়া এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে আমাদের পারস্পরিক কার্যক্ষমতা বাড়ছে। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান জটিল ও গতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”
সংগীত পরিবেশনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স ব্যান্ডের ১০ সদস্যের দল “ফাইনাল অ্যাপ্রোচ” ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি অ্যারো ইন্ডিয়ায় জনসাধারণের জন্য সংগীত পরিবেশন করবে। এছাড়া, ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৫টায় বেঙ্গালুরুর ক্রাইস্ট ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনেও তারা একটি পারফরম্যান্স উপস্থাপন করবে।