০২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ফিলিপস কালেকশনের মাস্টারপিস বিক্রি নিয়ে তীব্র বিতর্ক ২০২৫ সালের সেরা চলচ্চিত্র টার্গেটের ‘১০–৪’ নীতি: অদ্ভুত আচরণ, নাকি স্মার্ট ব্যবসায়িক কৌশল? আধুনিক সংস্কৃতির স্থবিরতা—সৃজনশীল সংকট নাকি স্বাভাবিক বিবর্তন? ব্যক্তিগত ফাইন্যান্স বৈষম্য বাড়ালেও এর গুরুত্বপূর্ণ সুফল অস্বীকার করা যায় না এআই-চালিত কাভার লেটার এখন আর যোগ্য প্রার্থী চিহ্নিত করতে কার্যকর নয় যুক্তরাষ্ট্রে ধনী মহল্লায় গোপনে গাছ হত্যা—অপরাধ, অর্থনীতি ও আইনের জটিল দ্বন্দ্ব ভারতে মতপ্রকাশের লড়াইয়ে কমেডিয়ানরা এখন ফ্রন্টলাইনে টিভির সবচেয়ে বাজে ড্রামা—সমালোচনার ঝড়ে তছনছ ‘অলস ফেয়ার’ চীনের সুপার ক্যারিয়ার ‘ফুজিয়ান’: যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক আধিপত্যে বড় চ্যালেঞ্জ

কিশোর গ্যাং এর দাপটে অনিরাপদ মানুষ

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 19

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • দেশের ভিতরে ২০০টিরও বেশি কিশোর গ্যাং, যার সদস্য সংখ্যা ৫,০০০-এরও বেশি
  • শুধুমাত্র রাজধানীতে নয়, দেশের প্রতিটি থানায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বেড়ে চলেছে
  • রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরেও আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতি প্রত্যাশার বিপরীতে রয়ে গেছে
  • কিশোর গ্যাংয়ের দাপট ও ক্রমবর্ধমান দুরাচরণ সমাজ ও আইনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি

সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের ক্রমবর্ধমান দাপট ও দুরাচরণ নিয়ে উদ্বেগের সেতুবন্ধন ঘটছে। ছিনতাই, জমি দখল, অপহরণ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুনসহ নানা অপরাধে এরা ক্রমাতগ ভয়াবহ ও দুঃসাহসী হয়ে উঠছে।

১. অপরাধের বিস্তৃত ক্ষেত্র

  • প্রকারভেদ:
    কিশোর গ্যাংরা ছিনতাই, জমি দখল, অপহরণ, মাদক পাচার, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন সহ নানা গুরুতর অপরাধে লিপ্ত।
  • প্রদর্শনী:
    তারা প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র হাতে মহড়া দেয় এবং বিভিন্ন ছোট ছোট দলের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
  • সামাজিক প্রভাব:
    এদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে পাড়া-মহল্লার মানুষ আতঙ্কে থাকে, এমনকি পুলিশ সদস্যরাও হামলার শিকার হচ্ছেন।

২. দেশব্যাপী প্রসার ও পরিসংখ্যান

  • প্রতিরাজধানী প্রভাব:
    শুধুমাত্র রাজধানীতে নয়, দেশের প্রতিটি থানায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বেড়ে চলেছে।
  • কারণ:
    মাদক, অর্থ লোভ, আইনবিহীনতা, হিরোইজম, বেকারত্ব ও অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতা এদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলছে।
  • পরিসংখ্যান:
    • রাজধানীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ৪০% কিশোর।
    • দেশের ভিতরে ২০০টিরও বেশি কিশোর গ্যাং, যার সদস্য সংখ্যা ৫,০০০-এরও বেশি।

৩. অঞ্চলের পরিস্থিতি ও গ্যাংয়ের বৈচিত্র্য

  • বিভিন্ন এলাকায় কর্মকাণ্ড:
    মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, উত্তরা, খিলগাও, মালিবাগ,  রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এদের কার্যক্রম অব্যাহত।
  • বয়সের বিভাজন:
    প্রধানত ১০-১৭ বছরের কিশোরদের থাকলেও ১৮ বছরেরও বেশির সদস্য রয়েছেন।

  • চেহারা ও আচরণ:
    ভিডিওতে দেখা যায় – চুলের স্টাইল, পোশাক ও চালচলনে বৈচিত্র্য, দিন-রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাই, মারামারি ও কখনো কখনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
  • প্রশিক্ষণ কার্যক্রম:
    একে অপরকে অস্ত্র ব্যবহার ও অপরাধের কৌশল শেখানো হচ্ছে।

৪. উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ

  • পুলিশ ও মাদকবিরোধী অভিযানে হামলা:
    ঢাকার মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার বোর্ডঘাট এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে, কিশোর গ্যাং ‘পাটালি গ্রুপ’ দেশের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

    • ফলাফল:
      মোহাম্মদপুর থানার তিন এসআই ও এক এএসআই গুরুতর আহত হন।
    • নেতৃত্ব:
      হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ল্যাংড়া হাসান, ফরহাদ ও চিকু শাকিল, সাথে প্রায় ৩০-৪০ সদস্য।

  • ছিনতাই ও আঘাত:
    আদাবর বালুর মাঠ এলাকায় মোবাইল ছিনতাইয়ের সময় মো. সুমন শেখ (২৬) এর হাতের কব্জি ছিঁড়ে যায়, পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
  • অন্য গোলাগুলির ঘটনা:
    পহেলা ফেব্রুয়ারি হাতিরঝিল এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে পথচারী রিকশাচালক জিলানী আঘাতপ্রাপ্ত হন।
  • সেনাবাহিনীর অভিযান:
    মোহাম্মদপুরে উদ্যান এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান চালিয়ে ‘গোল্ডেন গ্যাং গ্রুপের’ ১৫ সদস্য গ্রেপ্তার, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
  • অভিযান ও গ্রেপ্তার কার্যক্রম:
    • পহেলা ফেব্রুয়ারি আদাবর থানায় ৮ সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার, অবৈধ মাদক ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার।
    • গত দুই মাসে আদাবর থানায় প্রায় ২০০ অধিক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে।
    • মোহাম্মদপুর থানায় জানুয়ারিতে ৪২৮ জন কিশোর ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।

৫. পুলিশ ও প্রশাসনের কার্যক্রম

  • সক্রিয় অভিযান:
    বিভিন্ন থানায় নিয়মিত অভিযান, বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং ও এলাকার জনগণের সাথে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে অপরাধ দমন করা হচ্ছে।
  • নতুন গ্যাংয়ের তথ্য:
    নতুন কিছু গ্যাংয়ের নাম যেমন ‘ইমন গ্রুপ’, ‘কব্জি কাটা আনোয়ার গ্রুপ’, ও ‘জনি গ্রুপ’ চিহ্নিত হয়েছে।
  • জামিন নিয়ে সতর্কতা:
    আদালতের প্রতি অনুরোধ এসেছে – গ্রেপ্তারের পর সহজ জামিন দিলে অপরাধ পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, তাই দ্রুত জামিন না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা।

৬. বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মতামত

  • পুলিশ মন্তব্য:
    মোহাম্মদপুর থানার হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ৪২৮ জন কিশোর ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।
    ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি জাহাঙ্গীর কবিরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশি অস্ত্র, ছুরি-চাপাতি ব্যবহার করে এবং অপরাধ দমনের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
  • বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ:
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগের এক অধ্যাপক জানান, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরেও আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতি প্রত্যাশার বিপরীতে রয়ে গেছে।
  • সেনাবাহিনীর নির্দেশনা:
    পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দেশের সব ইউনিট প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন – কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে নতুন তালিকা অনুযায়ী কঠোর অভিযান চালাতে।

উপসংহার
কিশোর গ্যাংয়ের দাপট ও ক্রমবর্ধমান দুরাচরণ সমাজ ও আইনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি। নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য পুলিশের দলীয় ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, যাতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিলিপস কালেকশনের মাস্টারপিস বিক্রি নিয়ে তীব্র বিতর্ক

কিশোর গ্যাং এর দাপটে অনিরাপদ মানুষ

০৩:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • দেশের ভিতরে ২০০টিরও বেশি কিশোর গ্যাং, যার সদস্য সংখ্যা ৫,০০০-এরও বেশি
  • শুধুমাত্র রাজধানীতে নয়, দেশের প্রতিটি থানায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বেড়ে চলেছে
  • রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরেও আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতি প্রত্যাশার বিপরীতে রয়ে গেছে
  • কিশোর গ্যাংয়ের দাপট ও ক্রমবর্ধমান দুরাচরণ সমাজ ও আইনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি

সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের ক্রমবর্ধমান দাপট ও দুরাচরণ নিয়ে উদ্বেগের সেতুবন্ধন ঘটছে। ছিনতাই, জমি দখল, অপহরণ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুনসহ নানা অপরাধে এরা ক্রমাতগ ভয়াবহ ও দুঃসাহসী হয়ে উঠছে।

১. অপরাধের বিস্তৃত ক্ষেত্র

  • প্রকারভেদ:
    কিশোর গ্যাংরা ছিনতাই, জমি দখল, অপহরণ, মাদক পাচার, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন সহ নানা গুরুতর অপরাধে লিপ্ত।
  • প্রদর্শনী:
    তারা প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র হাতে মহড়া দেয় এবং বিভিন্ন ছোট ছোট দলের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
  • সামাজিক প্রভাব:
    এদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে পাড়া-মহল্লার মানুষ আতঙ্কে থাকে, এমনকি পুলিশ সদস্যরাও হামলার শিকার হচ্ছেন।

২. দেশব্যাপী প্রসার ও পরিসংখ্যান

  • প্রতিরাজধানী প্রভাব:
    শুধুমাত্র রাজধানীতে নয়, দেশের প্রতিটি থানায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বেড়ে চলেছে।
  • কারণ:
    মাদক, অর্থ লোভ, আইনবিহীনতা, হিরোইজম, বেকারত্ব ও অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতা এদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলছে।
  • পরিসংখ্যান:
    • রাজধানীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ৪০% কিশোর।
    • দেশের ভিতরে ২০০টিরও বেশি কিশোর গ্যাং, যার সদস্য সংখ্যা ৫,০০০-এরও বেশি।

৩. অঞ্চলের পরিস্থিতি ও গ্যাংয়ের বৈচিত্র্য

  • বিভিন্ন এলাকায় কর্মকাণ্ড:
    মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, উত্তরা, খিলগাও, মালিবাগ,  রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এদের কার্যক্রম অব্যাহত।
  • বয়সের বিভাজন:
    প্রধানত ১০-১৭ বছরের কিশোরদের থাকলেও ১৮ বছরেরও বেশির সদস্য রয়েছেন।

  • চেহারা ও আচরণ:
    ভিডিওতে দেখা যায় – চুলের স্টাইল, পোশাক ও চালচলনে বৈচিত্র্য, দিন-রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাই, মারামারি ও কখনো কখনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
  • প্রশিক্ষণ কার্যক্রম:
    একে অপরকে অস্ত্র ব্যবহার ও অপরাধের কৌশল শেখানো হচ্ছে।

৪. উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ

  • পুলিশ ও মাদকবিরোধী অভিযানে হামলা:
    ঢাকার মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার বোর্ডঘাট এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে, কিশোর গ্যাং ‘পাটালি গ্রুপ’ দেশের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

    • ফলাফল:
      মোহাম্মদপুর থানার তিন এসআই ও এক এএসআই গুরুতর আহত হন।
    • নেতৃত্ব:
      হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ল্যাংড়া হাসান, ফরহাদ ও চিকু শাকিল, সাথে প্রায় ৩০-৪০ সদস্য।

  • ছিনতাই ও আঘাত:
    আদাবর বালুর মাঠ এলাকায় মোবাইল ছিনতাইয়ের সময় মো. সুমন শেখ (২৬) এর হাতের কব্জি ছিঁড়ে যায়, পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
  • অন্য গোলাগুলির ঘটনা:
    পহেলা ফেব্রুয়ারি হাতিরঝিল এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে পথচারী রিকশাচালক জিলানী আঘাতপ্রাপ্ত হন।
  • সেনাবাহিনীর অভিযান:
    মোহাম্মদপুরে উদ্যান এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান চালিয়ে ‘গোল্ডেন গ্যাং গ্রুপের’ ১৫ সদস্য গ্রেপ্তার, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
  • অভিযান ও গ্রেপ্তার কার্যক্রম:
    • পহেলা ফেব্রুয়ারি আদাবর থানায় ৮ সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার, অবৈধ মাদক ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার।
    • গত দুই মাসে আদাবর থানায় প্রায় ২০০ অধিক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে।
    • মোহাম্মদপুর থানায় জানুয়ারিতে ৪২৮ জন কিশোর ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।

৫. পুলিশ ও প্রশাসনের কার্যক্রম

  • সক্রিয় অভিযান:
    বিভিন্ন থানায় নিয়মিত অভিযান, বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং ও এলাকার জনগণের সাথে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে অপরাধ দমন করা হচ্ছে।
  • নতুন গ্যাংয়ের তথ্য:
    নতুন কিছু গ্যাংয়ের নাম যেমন ‘ইমন গ্রুপ’, ‘কব্জি কাটা আনোয়ার গ্রুপ’, ও ‘জনি গ্রুপ’ চিহ্নিত হয়েছে।
  • জামিন নিয়ে সতর্কতা:
    আদালতের প্রতি অনুরোধ এসেছে – গ্রেপ্তারের পর সহজ জামিন দিলে অপরাধ পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, তাই দ্রুত জামিন না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা।

৬. বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মতামত

  • পুলিশ মন্তব্য:
    মোহাম্মদপুর থানার হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ৪২৮ জন কিশোর ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।
    ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি জাহাঙ্গীর কবিরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশি অস্ত্র, ছুরি-চাপাতি ব্যবহার করে এবং অপরাধ দমনের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
  • বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ:
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগের এক অধ্যাপক জানান, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরেও আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতি প্রত্যাশার বিপরীতে রয়ে গেছে।
  • সেনাবাহিনীর নির্দেশনা:
    পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দেশের সব ইউনিট প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন – কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে নতুন তালিকা অনুযায়ী কঠোর অভিযান চালাতে।

উপসংহার
কিশোর গ্যাংয়ের দাপট ও ক্রমবর্ধমান দুরাচরণ সমাজ ও আইনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি। নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য পুলিশের দলীয় ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, যাতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।