০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
এই সপ্তাহে কী দেখবেন–শুনবেন: বিগেলোর থ্রিলার, স্টিলারের পারিবারিক ডক, কারলাইল–লোভাটো ব্রডওয়েতে ‘রাগটাইম’ মঞ্চায়ন: শক্তিশালী সুর ও আবেগের পরিপূরক স্মৃতি দ্রুত মলিন হয়ে যায় কিন্তু ফটোগ্রাফি মুহূর্তটিকে থামিয়ে দিতে পারে এসএনএলে সাব্রিনা কারপেন্টার: ইমেজ, রসিকতা আর ভাইরাল কৌশল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা: বিশ্বে উন্নতির সুযোগ, সতর্কতার সাথে পরিচালনা জরুরি – প্রেসিডেন্ট থারমান বালি পাচার নিয়ে তল্লাশি ইডি-র, ভোটের আগে সক্রিয়তার অভিযোগ যেখানে ভয়ই নিয়ম—করাচি চিড়িয়াখানার অদৃশ্য কর্মীদের গল্প -পঞ্চম পর্ব ঢাকার আরমানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তিন দফা দাবিতে সোমবার থেকে আমরণ অনশন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪২)

শ্রীলঙ্কা-ভারত মৎস চুক্তি এবং জলযান বিরোধ

  • Sarakhon Report
  • ১২:৩০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 53

সারাক্ষণ রিপোর্ট

শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলীয় জাফনা উপকূলের মৎসজীবীরা নিজেদের মাছ শিকার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই অঞ্চলের মাছ ধরার পরিস্থিতি তাদের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তারা অভিযোগ করছেন যে ভারতীয় ট্রলারগুলো অবৈধভাবে শ্রীলঙ্কার জলসীমায় রাতে প্রবেশ করে মাছ শিকার করছেযার কারণে স্থানীয়দের আয় কমে গেছে।

মৎসজীবীদের অভিযোগ

জাফনা উপদ্বীপের একটি ছোট শহরভালভেটিতুরাইয়ের মৎসজীবী রাজেন্দ্রণ মথিয়ালাগান জানাচ্ছেন যেভারতীয় ট্রলারগুলো তাদের মৎস্যজাল ধ্বংস করে মাছ ধরে নেয়ফলে তাদের জীবনযাত্রায় বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। এসব ট্রলার মূলত বটম ট্রলিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করেযার মাধ্যমে জাল সমুদ্রের তলদেশে টেনে বড় পরিমাণ মাছ শিকার করা হয়। শ্রীলঙ্কা ২০১৭ সালে এ পদ্ধতিটি নিষিদ্ধ করেছে।

স্থানীয় ক্ষতির পরিমাণ

২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী ২৪০ ভারতীয় মৎসজীবীকে আটক করে এবং ৩৫টি ভারতীয় ট্রলার জব্দ করে। পরবর্তী বছরেও এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকেযখন ৫৫৪ ভারতীয় মৎসজীবীকে আটক এবং ৭২টি ট্রলার জব্দ করা হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসেই ৬০টিরও বেশি ভারতীয় মৎসজীবীকে আটক করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সংঘাত

২০২৫ সালের ২৮ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী ভারতীয় মৎসজীবীদের ওপর গুলি চালায়যাতে পাঁচজন আহত হন। ভারত এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং দাবি করেযে কোনও পরিস্থিতিতেই শক্তি প্রয়োগ গ্রহণযোগ্য নয়।

স্থানীয় জীবনযাত্রার বিপর্যয়

শ্রীলঙ্কার মৎসজীবীরা জানাচ্ছেনভারতীয় ট্রলারদের কারণে তাদের মাছ ধরার পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। প্রথাগত পদ্ধতিতে মাছ ধরার জন্য তারা ছোট নৌকা ব্যবহার করলেও ভারতীয় ট্রলারদের শক্তিশালী বহরের কাছে তারা কিছুই করতে পারছে না।

শ্রীলঙ্কা-ভারত সম্পর্ক

এই মৎস বিরোধ শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আনুরা কুমারা দিসানায়েকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেনতবে আগের আলোচনাগুলোর মতো কোনও কার্যকর সমাধান হয়নি।

ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা

মৎসজীবীরা ভারতীয় ট্রলারদের কারণে যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তা শুধু তাদের জীবিকা নয়সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও বিপন্ন করছে। তাঁদের ধারণাভারতীয় ট্রলাররা তাদের জলসীমা লঙ্ঘন করে তাদের জীবনকে বিপন্ন করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

এই সপ্তাহে কী দেখবেন–শুনবেন: বিগেলোর থ্রিলার, স্টিলারের পারিবারিক ডক, কারলাইল–লোভাটো

শ্রীলঙ্কা-ভারত মৎস চুক্তি এবং জলযান বিরোধ

১২:৩০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলীয় জাফনা উপকূলের মৎসজীবীরা নিজেদের মাছ শিকার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই অঞ্চলের মাছ ধরার পরিস্থিতি তাদের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তারা অভিযোগ করছেন যে ভারতীয় ট্রলারগুলো অবৈধভাবে শ্রীলঙ্কার জলসীমায় রাতে প্রবেশ করে মাছ শিকার করছেযার কারণে স্থানীয়দের আয় কমে গেছে।

মৎসজীবীদের অভিযোগ

জাফনা উপদ্বীপের একটি ছোট শহরভালভেটিতুরাইয়ের মৎসজীবী রাজেন্দ্রণ মথিয়ালাগান জানাচ্ছেন যেভারতীয় ট্রলারগুলো তাদের মৎস্যজাল ধ্বংস করে মাছ ধরে নেয়ফলে তাদের জীবনযাত্রায় বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। এসব ট্রলার মূলত বটম ট্রলিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করেযার মাধ্যমে জাল সমুদ্রের তলদেশে টেনে বড় পরিমাণ মাছ শিকার করা হয়। শ্রীলঙ্কা ২০১৭ সালে এ পদ্ধতিটি নিষিদ্ধ করেছে।

স্থানীয় ক্ষতির পরিমাণ

২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী ২৪০ ভারতীয় মৎসজীবীকে আটক করে এবং ৩৫টি ভারতীয় ট্রলার জব্দ করে। পরবর্তী বছরেও এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকেযখন ৫৫৪ ভারতীয় মৎসজীবীকে আটক এবং ৭২টি ট্রলার জব্দ করা হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসেই ৬০টিরও বেশি ভারতীয় মৎসজীবীকে আটক করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সংঘাত

২০২৫ সালের ২৮ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী ভারতীয় মৎসজীবীদের ওপর গুলি চালায়যাতে পাঁচজন আহত হন। ভারত এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং দাবি করেযে কোনও পরিস্থিতিতেই শক্তি প্রয়োগ গ্রহণযোগ্য নয়।

স্থানীয় জীবনযাত্রার বিপর্যয়

শ্রীলঙ্কার মৎসজীবীরা জানাচ্ছেনভারতীয় ট্রলারদের কারণে তাদের মাছ ধরার পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। প্রথাগত পদ্ধতিতে মাছ ধরার জন্য তারা ছোট নৌকা ব্যবহার করলেও ভারতীয় ট্রলারদের শক্তিশালী বহরের কাছে তারা কিছুই করতে পারছে না।

শ্রীলঙ্কা-ভারত সম্পর্ক

এই মৎস বিরোধ শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আনুরা কুমারা দিসানায়েকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেনতবে আগের আলোচনাগুলোর মতো কোনও কার্যকর সমাধান হয়নি।

ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা

মৎসজীবীরা ভারতীয় ট্রলারদের কারণে যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তা শুধু তাদের জীবিকা নয়সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও বিপন্ন করছে। তাঁদের ধারণাভারতীয় ট্রলাররা তাদের জলসীমা লঙ্ঘন করে তাদের জীবনকে বিপন্ন করছে।