০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
এনজিওর নামে শোষণ: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের দুর্দশার গল্প মালয়েশিয়ায় ধরা পড়া বাংলাদেশী জঙ্গীরা “বাংলাদেশ ইসলামিক স্টেট” (আইএস)কে অর্থ পাঠাতো: মালয়েশিয়ান আইজিপি টানা বৃষ্টিতে সবজি ও ফসলের অবস্থা: কোন কোন এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, বাজারে মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশে ধর্ষণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, প্রশ্নের মুখে রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৬) তারল্য সংকটের নতুন ডোমিনো ও মধ্যবিত্তের দুর্ভাবনা আমেরিকার বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য সিদ্ধান্তের সময় পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৮) জেনারেশন জেডের সাশ্রয়ী জীবনের নতুন ট্রেন্ড – ‘ক্যাশ-অনলি উইকেন্ড’ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২২৭)

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়

  • Sarakhon Report
  • ০৯:১৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়”

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। সোমবার প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশ–ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পরীক্ষায় ফেলা বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি দেওয়া, সীমান্ত হত্যা, জেলেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্প–সংক্রান্ত বিষয়।

ওমানের রাজধানী মাসকাটে অষ্টম ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের (ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স) ফাঁকে রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে আলোচনায় দুই দেশের সম্পর্কে যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, সেগুলোর সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সাক্ষাতের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আগামী এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ হতে পারে। এর পরদিন দ্য হিন্দুকে এই সাক্ষাৎকার দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। নিচে সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো:

দ্য হিন্দু: সম্পর্কে উত্তেজনার মধ্যে (ভারতের) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ সম্পর্কে আমাদের বলুন…

তৌহিদ হোসেন: খোলাখুলি বললে, সম্পর্ক ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ (যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে)। আমি যেমনটি দেখেছি, শুরুটা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। কারণ, ভারত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্কের একটি ধরনে অভ্যস্ত ছিল এবং হঠাৎ করেই দ্রুত তা ভেঙে পড়ে। হয়তো নতুন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে, সে কারণে সম্পর্কে অনেক বৈরী মনোভাব এবং অস্বস্তি অবশ্যই ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় ছয় মাসের মাথায় সেটা আসলেই শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। আমাদের এমন একটি পরিবেশের প্রয়োজন, যেখানে আমরা একে অপরের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি। ছয় মাস আগের তুলনায় অবশ্যই আমরা একে অপরের সঙ্গে অনেক ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারি।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করছেন নাহিদ!”

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ হতে পারে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের। শোনা যাচ্ছে নতুন এই দলের নেতৃত্ব দিবেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আর এজন্য তিনি পদত্যাগ করবেন উপদেষ্টা পদ থেকে।

সরকারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, এই সপ্তাতেই নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সরকারে শেষ কর্মদিবস হতে যাচ্ছে তার।

সূত্রটি জানায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। সেটিকে সামনে রেখে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের সময়ও ঘনিয়ে আসছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তার শেষ কর্মদিবস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর আগে বুধবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। কোনো কারণে দল ঘোষণা পিছিয়ে গেলে সেক্ষেত্রে পদত্যাগের সময়ও পেছাবে।

মন্ত্রণালয় ছেড়ে নাহিদ ইসলাম জনতার কাতারে নেমে এসে শিগগির নতুন দলের দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দল এই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আসছে। অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আমাদের রাজপথের সহযোদ্ধা নাহিদ ইসলাম, যিনি এই অভ্যুত্থানের ঘোষক, তাকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি যেন পুরো বাংলাদেশকে আবার আমরা সামনের সারিতে থেকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। সেজন্য নাহিদ ইসলাম যেন ওই ক্ষমতার মন্ত্রণালয় ছেড়ে আবারও জনতার কাতারে এসে দাঁড়ান।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবেরই ছবি”

শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পরিবর্তন করা হয়েছে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে গড়ে তোলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অর্ধশতাধিক স্থাপনার নাম। আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের আইকন আখ্যা দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি, যা ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে তার অসংখ্য ভাস্কর্য ও মুরাল। যদিও এখনো দেশের সবক’টি নোট ও স্মারক মুদ্রায় শোভা পাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ বাজারে নতুন নোট ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫, ২০ ও ৫০ টাকার এসব নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। ছোট এসব নোটের পাশাপাশি বাজারে ছাড়া ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোটও বিদ্যমান ডিজাইনের বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।

পুরনো ডিজাইনের নতুন নোট বাজারে ছাড়া নিয়ে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত তিনজন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, মুদ্রা বা নোট হলো দেশের মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। প্রতি মুহূর্তে বাজারে কোটি কোটি নোট হাতবদল হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর সবার আগে ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণার প্রয়োজন ছিল। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাসহ সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কাছে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকার নোট কাগজে রূপান্তর হতো। তখন নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়া যেত। এর মাধ্যমে নোট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও বাদ পড়ত। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি না করে গণ-অভ্যুত্থানের সাত মাস পর বাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত নতুন নোট ছাড়তে যাচ্ছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নেতৃত্ব চূড়ান্ত টানাপড়েন কাটেনি”

টানাপড়েনের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতারা। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও নাগরিক কমিটির শীর্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগে একদফার ঘোষণা দেয়া স্থান শহীদ মিনার থেকেই ছাত্রদের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তার আগে তিনি উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন। আর সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এ ছাড়া মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আর মুখপাত্রের ভূমিকায় থাকবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির জন্য নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছে। রোববারের সভায় প্রায় ৭৫ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

এদিকে নেতৃত্ব নিয়ে টানাপড়েন থাকলেও এক পক্ষ কমিটি চূড়ান্ত করেছে। সদস্য সচিব পদের অন্যতম আরেক দাবিদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদের অনুসারীরা এখন কী করবেন সেটিই আলোচনা হচ্ছে। তারা আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবী কাউন্সিলের ব্যানারে এক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। যেখানে জুলাই বিপ্লবের ১৩৫টির মতো সংগঠন অংশ নেবে বলে জানা গেছে। আখতার ও জুনায়েদ অনুসারীরা গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে তাদের অংশীদারিত্বের বিষয় নিয়ে একের পর এক পোস্ট করছেন। গতকাল আলী আহসান জুনায়েদ এক ফেসবুক পোস্টে আস্থা ও বিশ্বাস মিলে গঠিত লক্ষ্যই জুলাইয়ের বড় শক্তি উল্লেখ করে বলেন, ‘সামনের দিনের যাত্রা সম্মিলিত হোক কিংবা স্বতন্ত্র ও আলাদা হোক না কেন, আমি মনে করি আস্থা ও বিশ্বাসেই এগিয়ে যাবো বহুদূর। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমরা আজ এমন এক দেশে আছি যেখানে মুক্ত আলোচনা হচ্ছে, আলোচনা সম্ভব হচ্ছে। হয়তো কিছু মাস আগে হলেও এই আলোচনা-সমালোচনা কিংবা বিতর্কের সুযোগটাই আমরা পেতাম না। আমি আসলে প্রচণ্ড আশাবাদী আর পজিটিভ একটা মানুষ, তাই আমি দেখি আশার গল্প।’ নাগরিক কমিটির এক সদস্য সচিব নাহিদ-আখতারের নেতৃত্বে নতুন দলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও মূল দলের আগে ছাত্র সংগঠন আসবে বলেও জানান তিনি।

এনজিওর নামে শোষণ: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের দুর্দশার গল্প

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়

০৯:১৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়”

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি। সোমবার প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশ–ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পরীক্ষায় ফেলা বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি দেওয়া, সীমান্ত হত্যা, জেলেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্প–সংক্রান্ত বিষয়।

ওমানের রাজধানী মাসকাটে অষ্টম ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের (ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স) ফাঁকে রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে আলোচনায় দুই দেশের সম্পর্কে যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, সেগুলোর সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সাক্ষাতের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আগামী এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ হতে পারে। এর পরদিন দ্য হিন্দুকে এই সাক্ষাৎকার দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। নিচে সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো:

দ্য হিন্দু: সম্পর্কে উত্তেজনার মধ্যে (ভারতের) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ সম্পর্কে আমাদের বলুন…

তৌহিদ হোসেন: খোলাখুলি বললে, সম্পর্ক ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ (যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে)। আমি যেমনটি দেখেছি, শুরুটা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। কারণ, ভারত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্কের একটি ধরনে অভ্যস্ত ছিল এবং হঠাৎ করেই দ্রুত তা ভেঙে পড়ে। হয়তো নতুন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে, সে কারণে সম্পর্কে অনেক বৈরী মনোভাব এবং অস্বস্তি অবশ্যই ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় ছয় মাসের মাথায় সেটা আসলেই শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। আমাদের এমন একটি পরিবেশের প্রয়োজন, যেখানে আমরা একে অপরের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি। ছয় মাস আগের তুলনায় অবশ্যই আমরা একে অপরের সঙ্গে অনেক ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারি।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করছেন নাহিদ!”

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ হতে পারে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের। শোনা যাচ্ছে নতুন এই দলের নেতৃত্ব দিবেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আর এজন্য তিনি পদত্যাগ করবেন উপদেষ্টা পদ থেকে।

সরকারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, এই সপ্তাতেই নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সরকারে শেষ কর্মদিবস হতে যাচ্ছে তার।

সূত্রটি জানায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। সেটিকে সামনে রেখে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের সময়ও ঘনিয়ে আসছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তার শেষ কর্মদিবস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর আগে বুধবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। কোনো কারণে দল ঘোষণা পিছিয়ে গেলে সেক্ষেত্রে পদত্যাগের সময়ও পেছাবে।

মন্ত্রণালয় ছেড়ে নাহিদ ইসলাম জনতার কাতারে নেমে এসে শিগগির নতুন দলের দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দল এই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আসছে। অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আমাদের রাজপথের সহযোদ্ধা নাহিদ ইসলাম, যিনি এই অভ্যুত্থানের ঘোষক, তাকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি যেন পুরো বাংলাদেশকে আবার আমরা সামনের সারিতে থেকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। সেজন্য নাহিদ ইসলাম যেন ওই ক্ষমতার মন্ত্রণালয় ছেড়ে আবারও জনতার কাতারে এসে দাঁড়ান।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবেরই ছবি”

শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পরিবর্তন করা হয়েছে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে গড়ে তোলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অর্ধশতাধিক স্থাপনার নাম। আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের আইকন আখ্যা দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি, যা ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে তার অসংখ্য ভাস্কর্য ও মুরাল। যদিও এখনো দেশের সবক’টি নোট ও স্মারক মুদ্রায় শোভা পাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ বাজারে নতুন নোট ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫, ২০ ও ৫০ টাকার এসব নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। ছোট এসব নোটের পাশাপাশি বাজারে ছাড়া ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোটও বিদ্যমান ডিজাইনের বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।

পুরনো ডিজাইনের নতুন নোট বাজারে ছাড়া নিয়ে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত তিনজন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, মুদ্রা বা নোট হলো দেশের মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। প্রতি মুহূর্তে বাজারে কোটি কোটি নোট হাতবদল হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর সবার আগে ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণার প্রয়োজন ছিল। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাসহ সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কাছে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকার নোট কাগজে রূপান্তর হতো। তখন নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়া যেত। এর মাধ্যমে নোট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও বাদ পড়ত। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি না করে গণ-অভ্যুত্থানের সাত মাস পর বাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত নতুন নোট ছাড়তে যাচ্ছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “নেতৃত্ব চূড়ান্ত টানাপড়েন কাটেনি”

টানাপড়েনের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতারা। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও নাগরিক কমিটির শীর্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগে একদফার ঘোষণা দেয়া স্থান শহীদ মিনার থেকেই ছাত্রদের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তার আগে তিনি উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন। আর সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এ ছাড়া মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আর মুখপাত্রের ভূমিকায় থাকবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির জন্য নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছে। রোববারের সভায় প্রায় ৭৫ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

এদিকে নেতৃত্ব নিয়ে টানাপড়েন থাকলেও এক পক্ষ কমিটি চূড়ান্ত করেছে। সদস্য সচিব পদের অন্যতম আরেক দাবিদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদের অনুসারীরা এখন কী করবেন সেটিই আলোচনা হচ্ছে। তারা আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবী কাউন্সিলের ব্যানারে এক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। যেখানে জুলাই বিপ্লবের ১৩৫টির মতো সংগঠন অংশ নেবে বলে জানা গেছে। আখতার ও জুনায়েদ অনুসারীরা গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে তাদের অংশীদারিত্বের বিষয় নিয়ে একের পর এক পোস্ট করছেন। গতকাল আলী আহসান জুনায়েদ এক ফেসবুক পোস্টে আস্থা ও বিশ্বাস মিলে গঠিত লক্ষ্যই জুলাইয়ের বড় শক্তি উল্লেখ করে বলেন, ‘সামনের দিনের যাত্রা সম্মিলিত হোক কিংবা স্বতন্ত্র ও আলাদা হোক না কেন, আমি মনে করি আস্থা ও বিশ্বাসেই এগিয়ে যাবো বহুদূর। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমরা আজ এমন এক দেশে আছি যেখানে মুক্ত আলোচনা হচ্ছে, আলোচনা সম্ভব হচ্ছে। হয়তো কিছু মাস আগে হলেও এই আলোচনা-সমালোচনা কিংবা বিতর্কের সুযোগটাই আমরা পেতাম না। আমি আসলে প্রচণ্ড আশাবাদী আর পজিটিভ একটা মানুষ, তাই আমি দেখি আশার গল্প।’ নাগরিক কমিটির এক সদস্য সচিব নাহিদ-আখতারের নেতৃত্বে নতুন দলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও মূল দলের আগে ছাত্র সংগঠন আসবে বলেও জানান তিনি।