১২:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
পুরানো ঢাকার রয়্যাল সিনেমা হল: যেখানে অভিনেতারই প্রথম দেখতেন তার ছায়াছবি প্রাচীন সিল্ক রোডের পশ্চিম শিয়া সমাধি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় পর্যটকের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কিয়োটোর আসল রূপ হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪৭) বর্ষার মৌসুমে শিশুদের ডেঙ্গু আতঙ্ক চার শতাব্দীর পার্বত্য চট্টগ্রাম: আদিবাসী জীবনের রূপান্তর ও প্রকৃতির বদল আলুর দম: সহজ ও সুস্বাদু ঘরোয়া রেসিপি করোনার শুরু থেকে অনলাইন সেবার উত্থান ও সাম্প্রতিক সংকট যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ নতুন শুল্কে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি অনিশ্চয়তার মুখে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কে বিপর্যস্ত পোশাক খাত – অর্থনীতি বাঁচাতে কোনো খাত হবে বাংলাদেশের ভরসা?

রমনা বটমুলে বোমা হামলার মামলার আপিলের রায় যে কোন দিন

  • Sarakhon Report
  • ১০:২২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 22

নিজস্ব প্রতিনিধি 

দুই যুগ আগে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানিতে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য (সিএভি) যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।

২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এ মামলায় বিচারিক আদালত নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান। এর মধ্যে সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদন্ড ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। ২০১৪ সালের বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে জেল আপিল হয়। পরে পেপারবুক প্রস্তুত করে মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে।

পুরানো ঢাকার রয়্যাল সিনেমা হল: যেখানে অভিনেতারই প্রথম দেখতেন তার ছায়াছবি

রমনা বটমুলে বোমা হামলার মামলার আপিলের রায় যে কোন দিন

১০:২২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি 

দুই যুগ আগে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানিতে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য (সিএভি) যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।

২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এ মামলায় বিচারিক আদালত নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান। এর মধ্যে সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদন্ড ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। ২০১৪ সালের বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে জেল আপিল হয়। পরে পেপারবুক প্রস্তুত করে মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে।