০৩:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
সালউইন নদীর হত্যাযজ্ঞ: টিকে থাকার লড়াইয়ে কারেন জনগোষ্ঠী বিকল হয়ে যাওয়া কিডনি অর্ধেকই সুস্থ করা যায় ইন্দোনেশিয়ার প্রয়াত স্বৈরশাসক সুহার্তোকে জাতীয় বীর ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার ঘোড়দৌড় প্রশিক্ষক অ্যান্ড্রিয়া লিকের লক্ষ্য ‘কিন এনাফ’-এর কাপ জয় ফিলিপাইনে ফাং-ওয়াংয়ের আঘাতে বিপর্যস্ত লুজন দ্বীপ: এখন প্রবল বৃষ্টি ও পানির মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত চীনের নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় ওষুধ তৈরির রাসায়নিক পাঠাতে অনুমতির বাধ্যবাধকতা ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, স্থবির রেল চলাচল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল নিয়ে রায় ২০ নভেম্বর: রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে জুলাই চার্টারের সীমার বাইরে সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়: সরকারকে সতর্ক করল বিএনপি

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 22

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দশ হাজার বা ততোধিক সংখ্যা লিখতে গিয়ে তাঁরা যে কোন সংখ্যার সঙ্গে M যুক্ত করতেন ফলে এর শক্তি দশহাজার গুণ বেশী হ’ত। যেমন ধরা যাক M বা Mr -৩০,০০০ অবশ্য গ্রীকেরা এ পদ্ধতি প্রথম থেকে ব্যবহার করতেন না। কারণ প্রথমে তাদের বর্ণসংখ্যা ২৪টি থাকায় তাঁরা বর্ণমালার আদ্যাক্ষর একে ২৪ এর প্রতীকরূপে ব্যবহার করতেন।

‘যেমন ২৪-২৪+১=৩৩ অবশ্য পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত ছিল কারণ ২০-১৯-১০ হতে পারে। গ্রীকদের মত হিত্রগণ ও আরবজাতি বর্ণমালার সাহায্যে সংখ্যা খ্যাপন করতেন। যাই হোক এবার ভারতীয় পদ্ধতিতে অক্ষর সংখ্যা প্রণালীর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা যাক।

ভারতীয় ৪২টি বর্ণমালাকে ২টী প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টা ব্যঞ্জনবর্ণ ও ১টা স্বরবর্ণ। বিখ্যাত গণিতবিদ প্রথম আর্যভটের মতে অসম্পৃক্ত ব্যজনবর্ণে অঙ্ক খ্যাপন শক্তি এইরূপ-

আর্যভট (১ম) বলেছেন ‘দীর্ঘ স্বরবর্ণ এবং হ্রস্ব স্বরবর্ণকে সমশক্তি বলে ধরা হবে। অসম্পৃক্ত স্বরবর্ণের সংখ্যা। গ্যাপনের অধিকার নেই। এরা শুধু অঙ্কস্থান এবং বর্গ ও অবর্গ স্থান নির্দেশের জন্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

(চলবে) 

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৪)

জনপ্রিয় সংবাদ

সালউইন নদীর হত্যাযজ্ঞ: টিকে থাকার লড়াইয়ে কারেন জনগোষ্ঠী

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৫)

০৩:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দশ হাজার বা ততোধিক সংখ্যা লিখতে গিয়ে তাঁরা যে কোন সংখ্যার সঙ্গে M যুক্ত করতেন ফলে এর শক্তি দশহাজার গুণ বেশী হ’ত। যেমন ধরা যাক M বা Mr -৩০,০০০ অবশ্য গ্রীকেরা এ পদ্ধতি প্রথম থেকে ব্যবহার করতেন না। কারণ প্রথমে তাদের বর্ণসংখ্যা ২৪টি থাকায় তাঁরা বর্ণমালার আদ্যাক্ষর একে ২৪ এর প্রতীকরূপে ব্যবহার করতেন।

‘যেমন ২৪-২৪+১=৩৩ অবশ্য পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত ছিল কারণ ২০-১৯-১০ হতে পারে। গ্রীকদের মত হিত্রগণ ও আরবজাতি বর্ণমালার সাহায্যে সংখ্যা খ্যাপন করতেন। যাই হোক এবার ভারতীয় পদ্ধতিতে অক্ষর সংখ্যা প্রণালীর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা যাক।

ভারতীয় ৪২টি বর্ণমালাকে ২টী প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টা ব্যঞ্জনবর্ণ ও ১টা স্বরবর্ণ। বিখ্যাত গণিতবিদ প্রথম আর্যভটের মতে অসম্পৃক্ত ব্যজনবর্ণে অঙ্ক খ্যাপন শক্তি এইরূপ-

আর্যভট (১ম) বলেছেন ‘দীর্ঘ স্বরবর্ণ এবং হ্রস্ব স্বরবর্ণকে সমশক্তি বলে ধরা হবে। অসম্পৃক্ত স্বরবর্ণের সংখ্যা। গ্যাপনের অধিকার নেই। এরা শুধু অঙ্কস্থান এবং বর্গ ও অবর্গ স্থান নির্দেশের জন্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

(চলবে) 

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৪)