প্রদীপ কুমার মজুমদার
দশ হাজার বা ততোধিক সংখ্যা লিখতে গিয়ে তাঁরা যে কোন সংখ্যার সঙ্গে M যুক্ত করতেন ফলে এর শক্তি দশহাজার গুণ বেশী হ’ত। যেমন ধরা যাক M বা Mr -৩০,০০০ অবশ্য গ্রীকেরা এ পদ্ধতি প্রথম থেকে ব্যবহার করতেন না। কারণ প্রথমে তাদের বর্ণসংখ্যা ২৪টি থাকায় তাঁরা বর্ণমালার আদ্যাক্ষর একে ২৪ এর প্রতীকরূপে ব্যবহার করতেন।
‘যেমন ২৪-২৪+১=৩৩ অবশ্য পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত ছিল কারণ ২০-১৯-১০ হতে পারে। গ্রীকদের মত হিত্রগণ ও আরবজাতি বর্ণমালার সাহায্যে সংখ্যা খ্যাপন করতেন। যাই হোক এবার ভারতীয় পদ্ধতিতে অক্ষর সংখ্যা প্রণালীর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ভারতীয় ৪২টি বর্ণমালাকে ২টী প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টা ব্যঞ্জনবর্ণ ও ১টা স্বরবর্ণ। বিখ্যাত গণিতবিদ প্রথম আর্যভটের মতে অসম্পৃক্ত ব্যজনবর্ণে অঙ্ক খ্যাপন শক্তি এইরূপ-
আর্যভট (১ম) বলেছেন ‘দীর্ঘ স্বরবর্ণ এবং হ্রস্ব স্বরবর্ণকে সমশক্তি বলে ধরা হবে। অসম্পৃক্ত স্বরবর্ণের সংখ্যা। গ্যাপনের অধিকার নেই। এরা শুধু অঙ্কস্থান এবং বর্গ ও অবর্গ স্থান নির্দেশের জন্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
(চলবে)