১২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

প্রথম ছয় মাসে সব বাজারেই বেড়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি

  • Sarakhon Report
  • ০৯:২৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “প্রথম ছয় মাসে সব বাজারেই বেড়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি”

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নতুন বাজারে রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও নতুন বাজার ছাড়া বাকি বাজারগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ জুলাই–ডিসেম্বর সময়ে ১ হাজার ৯৮৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর প্রথমার্ধে রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৭৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের অর্ধেকের গন্তব্য ছিল ইইউ। বড় এই বাজারে রপ্তানি হয়েছে ৯৮৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।

ইইউর দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, ইতালি ও ডেনমার্কে ৫০ কোটি ডলার বা তার বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে স্পেন ও ইতালি ছাড়া বাকি দেশগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।

বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে জার্মানিতে ২৪৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া স্পেনে ১৭০ কোটি, ফ্রান্সে ১০৯, নেদারল্যান্ডসে ১০৬, পোল্যান্ডে ৭৯, ইতালিতে ৭৭ ও ডেনমার্কে ৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই দেশগুলোর মধ্যে পোল্যান্ডে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ আর সর্বনিম্ন স্পেনে, ৩ শতাংশের কাছাকাছি।

একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সে দেশে ৩৮৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির ১৯–২০ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”রাজধানীতে চাপাতি আতঙ্ক, নেপথ্যে কিশোর গ্যাং”

প্রায় এক দশক ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে এখন উঠে এসেছে চাপাতি। পাড়া-মহল্লায় দিনে-দুপুরে চাপাতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ওরা। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ পর্যন্ত চাপাতি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এলাকার আধিপত্য বিস্তার থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, এমনকি খুনোখুনির ঘটনাও ঘটছে এই চাপাতি বাহিনীর হাতে। এতে আতঙ্কিত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর-পাড়া-মহল্লার বাসিন্দারা।

পুলিশ সদর দপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সম্প্রতি এই কিশোর গ্যাংয়ে নতুন করে যুক্ত হয়েছে চাপাতি বাহিনী। সারা দেশেই তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। রাত যত গভীর হয়, অলিগলিতে এদের চকচকে চাপাতির প্রদর্শন দেখা যায়। সঙ্গে চলে কিশোর গ্যাংয়ের দোর্দণ্ড প্রতাপ। ভয়ে সাধারণ নাগরিকরা মুখ খুলছে না। দেশে ২৩৭টির মতো কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ১২৭টি। পুলিশের খাতায় এসব গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২ হাজার ৩৮২ জন।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় উল্লেখ করা যাক। মাস দুয়েক আগে বিকালে রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন টিনশেড বাড়ির ওপর এক কিশোরকে চার-পাঁচ জনের কিশোর গ্রুপ চাপাতি দিয়ে প্রকাশ্যে কোপাতে দেখা যায়। মোহাম্মদপুরের আসাদ এভিনিউয়ের ফুটপাতে গভীর রাতে এক পথচারীর কাছ থেকে ছিনতাই করার সময় চাপাতি বাহিনীর চকচকে চাপাতি প্রদর্শনের দৃশ্যও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। গত মাসে যাত্রাবাড়ীতে রিকশায় এক দম্পতির কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় চাপাতি বাহিনী। এ সময় চাপাতির আঘাতে স্বামী গুরুতর আহত হন।

চলতি বছরের শুরুতে গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আদাবরের মেহেদীবাগ, আদাবর বাজার এলাকায় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এতে বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে গ্যাং গ্রুপের কয়েকশ সদস্য। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় অর্ধশতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বৈশ্বিকভাবে সফল হলেও বাংলাদেশে চরম ব্যর্থতায়”

ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকের কথা। দীর্ঘমেয়াদি ও সহনীয় সুদহারে ঋণের জন্য নির্ভরযোগ্য ও গ্রাহকবান্ধব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অভাব বেশ ভালোভাবেই অনুধাবন করছিলেন ফ্রান্সের দরিদ্র কৃষকরা। এমন পরিস্থিতিতে ১৮৯৪ সালে কৃষি সমবায়ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা করে ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল। পরে গোটা ফ্রান্সেই কৃষি সমবায়ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটে প্রতিষ্ঠানটির। কাজের পরিধি ক্রমেই বাড়তে বাড়তে ১৯৭৬ সালে এটি হয়ে ওঠে পুরোদস্তুর এক ব্যাংকিং করপোরেশন। বর্তমানে গোটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমবায়ভিত্তিক করপোরেশনে রূপ নিয়েছে ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল। ওয়ার্ল্ড কো-অপারেটিভ মনিটর ২০২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ ছিল ১১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমবায়ভিত্তিক করপোরেশন জার্মানিভিত্তিক আরইডব্লিউই গ্রুপ। ১৯২৭ সালে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটির আওতায় সুপারশপ আছে ৩ হাজার ৩০০টিরও বেশি। মাত্র ১৭ জন নিয়ে শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা ২০২১ সালে এসে দাঁড়ায় প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজারে। ২০২৩ সালের মধ্যেই এ সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির মোট বার্ষিক টার্নওভার ছিল ৮২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

ব্রাজিলের অর্থনীতির অন্যতম বড় শক্তি সমবায়। সেখানকার কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুঁজির সংস্থানে বড় ভূমিকা রাখছে সমবায়ভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সমবায়ের উপস্থিতি দেখা যায় দেশটিতে। ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ অ্যালায়েন্সের তথ্যমতে, বার্ষিক টার্নওভারের দিক দিয়ে ২০২৩ সালে কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি টার্নওভার ছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি ছিল স্পেনে। রিটেইল ও ইন্স্যুরেন্স খাতে জার্মানিতে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে ব্রাজিলে।

জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে বড় ভূমিকা পালন করেছে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো। পারস্পরিক সহায়তা ও অর্থায়ন মডেলের ভিত্তিতে এসব দেশের কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মাঝারি থেকে বৃহৎ শিল্পের বিকাশেও ভূমিকা রাখছে সমবায় মডেল। এমনকি এখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় সফল উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত শতবর্ষী

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ছাত্রদল-শিবির দ্বন্দ্ব প্রকট”

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক সময়ের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপি ও জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। কোথাও কোথাও অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে দেখা গেছে এই দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের। ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও। চলছে দোষারোপের রাজনীতি। ছাত্রদল দায়ী করছে শিবিরকে, আর শিবির দায়ী করছে ছাত্রদলকে। সংগঠন দু’টির কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও পাল্টাপাল্টি পোস্ট দিতে দেখা গেছে।

সম্প্রতি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এই সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ছাত্রদলের সভাপতি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদককে বলছেন, ‘শিবিরের ওপর দায় দিয়ে দাও’। ছাত্রদলের সভাপতির এই বক্তব্যকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহযোগিতা ও বন্ধুভাবাপন্ন ছাত্র রাজনীতির পথে অন্তরায় বলে মনে করছে শিবির। সংগঠনটি বলছে, নিজেদের অপরাধমূলক কার্যকলাপের দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দেয়ার যে প্রবণতা ছাত্রলীগের ছিল, তা আজ ছাত্রদলের মধ্যেও বিদ্যমান। এ ধরনের আচরণ ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ এবং সুস্থ ধারার রাজনীতির পরিপন্থি।

ওদিকে, ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আসে ছাত্রশিবির। কয়েকটি বাম সংগঠন এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এ নিয়ে ছাত্রদলও প্রশ্ন তুলেছে। পরবর্তীতে ৭ই নভেম্বর ‘সিপাহী-জনতার বিপ্লব’ উপলক্ষে বিএনপি’র দলীয় পোস্টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে সাঁটিয়ে দেয় ছাত্রদল। পোস্টার লাগানোর পর ছাত্রদের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তারা এর বিরুদ্ধে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।
ঢাকা এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির সংঘর্ষ এবং ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে সিলেটের এমসি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর টঙ্গীতে ছাত্রশিবিরের ওয়ার্ড সভাপতির ওপর ছাত্রদলের হামলার ঘটনারও অভিযোগ রয়েছে।

 

প্রথম ছয় মাসে সব বাজারেই বেড়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি

০৯:২৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “প্রথম ছয় মাসে সব বাজারেই বেড়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি”

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নতুন বাজারে রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও নতুন বাজার ছাড়া বাকি বাজারগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ জুলাই–ডিসেম্বর সময়ে ১ হাজার ৯৮৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর প্রথমার্ধে রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৭৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের অর্ধেকের গন্তব্য ছিল ইইউ। বড় এই বাজারে রপ্তানি হয়েছে ৯৮৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।

ইইউর দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, ইতালি ও ডেনমার্কে ৫০ কোটি ডলার বা তার বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে স্পেন ও ইতালি ছাড়া বাকি দেশগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।

বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে জার্মানিতে ২৪৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া স্পেনে ১৭০ কোটি, ফ্রান্সে ১০৯, নেদারল্যান্ডসে ১০৬, পোল্যান্ডে ৭৯, ইতালিতে ৭৭ ও ডেনমার্কে ৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই দেশগুলোর মধ্যে পোল্যান্ডে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ আর সর্বনিম্ন স্পেনে, ৩ শতাংশের কাছাকাছি।

একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সে দেশে ৩৮৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির ১৯–২০ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”রাজধানীতে চাপাতি আতঙ্ক, নেপথ্যে কিশোর গ্যাং”

প্রায় এক দশক ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে এখন উঠে এসেছে চাপাতি। পাড়া-মহল্লায় দিনে-দুপুরে চাপাতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ওরা। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ পর্যন্ত চাপাতি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এলাকার আধিপত্য বিস্তার থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, এমনকি খুনোখুনির ঘটনাও ঘটছে এই চাপাতি বাহিনীর হাতে। এতে আতঙ্কিত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর-পাড়া-মহল্লার বাসিন্দারা।

পুলিশ সদর দপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সম্প্রতি এই কিশোর গ্যাংয়ে নতুন করে যুক্ত হয়েছে চাপাতি বাহিনী। সারা দেশেই তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। রাত যত গভীর হয়, অলিগলিতে এদের চকচকে চাপাতির প্রদর্শন দেখা যায়। সঙ্গে চলে কিশোর গ্যাংয়ের দোর্দণ্ড প্রতাপ। ভয়ে সাধারণ নাগরিকরা মুখ খুলছে না। দেশে ২৩৭টির মতো কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ১২৭টি। পুলিশের খাতায় এসব গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২ হাজার ৩৮২ জন।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় উল্লেখ করা যাক। মাস দুয়েক আগে বিকালে রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন টিনশেড বাড়ির ওপর এক কিশোরকে চার-পাঁচ জনের কিশোর গ্রুপ চাপাতি দিয়ে প্রকাশ্যে কোপাতে দেখা যায়। মোহাম্মদপুরের আসাদ এভিনিউয়ের ফুটপাতে গভীর রাতে এক পথচারীর কাছ থেকে ছিনতাই করার সময় চাপাতি বাহিনীর চকচকে চাপাতি প্রদর্শনের দৃশ্যও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। গত মাসে যাত্রাবাড়ীতে রিকশায় এক দম্পতির কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় চাপাতি বাহিনী। এ সময় চাপাতির আঘাতে স্বামী গুরুতর আহত হন।

চলতি বছরের শুরুতে গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আদাবরের মেহেদীবাগ, আদাবর বাজার এলাকায় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এতে বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে গ্যাং গ্রুপের কয়েকশ সদস্য। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় অর্ধশতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “বৈশ্বিকভাবে সফল হলেও বাংলাদেশে চরম ব্যর্থতায়”

ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকের কথা। দীর্ঘমেয়াদি ও সহনীয় সুদহারে ঋণের জন্য নির্ভরযোগ্য ও গ্রাহকবান্ধব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অভাব বেশ ভালোভাবেই অনুধাবন করছিলেন ফ্রান্সের দরিদ্র কৃষকরা। এমন পরিস্থিতিতে ১৮৯৪ সালে কৃষি সমবায়ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা করে ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল। পরে গোটা ফ্রান্সেই কৃষি সমবায়ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটে প্রতিষ্ঠানটির। কাজের পরিধি ক্রমেই বাড়তে বাড়তে ১৯৭৬ সালে এটি হয়ে ওঠে পুরোদস্তুর এক ব্যাংকিং করপোরেশন। বর্তমানে গোটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমবায়ভিত্তিক করপোরেশনে রূপ নিয়েছে ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল। ওয়ার্ল্ড কো-অপারেটিভ মনিটর ২০২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক টার্নওভারের পরিমাণ ছিল ১১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমবায়ভিত্তিক করপোরেশন জার্মানিভিত্তিক আরইডব্লিউই গ্রুপ। ১৯২৭ সালে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটির আওতায় সুপারশপ আছে ৩ হাজার ৩০০টিরও বেশি। মাত্র ১৭ জন নিয়ে শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা ২০২১ সালে এসে দাঁড়ায় প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজারে। ২০২৩ সালের মধ্যেই এ সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির মোট বার্ষিক টার্নওভার ছিল ৮২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

ব্রাজিলের অর্থনীতির অন্যতম বড় শক্তি সমবায়। সেখানকার কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুঁজির সংস্থানে বড় ভূমিকা রাখছে সমবায়ভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সমবায়ের উপস্থিতি দেখা যায় দেশটিতে। ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ অ্যালায়েন্সের তথ্যমতে, বার্ষিক টার্নওভারের দিক দিয়ে ২০২৩ সালে কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি টার্নওভার ছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি ছিল স্পেনে। রিটেইল ও ইন্স্যুরেন্স খাতে জার্মানিতে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে ব্রাজিলে।

জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে বড় ভূমিকা পালন করেছে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো। পারস্পরিক সহায়তা ও অর্থায়ন মডেলের ভিত্তিতে এসব দেশের কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মাঝারি থেকে বৃহৎ শিল্পের বিকাশেও ভূমিকা রাখছে সমবায় মডেল। এমনকি এখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় সফল উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত শতবর্ষী

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ছাত্রদল-শিবির দ্বন্দ্ব প্রকট”

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক সময়ের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপি ও জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। কোথাও কোথাও অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে দেখা গেছে এই দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের। ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও। চলছে দোষারোপের রাজনীতি। ছাত্রদল দায়ী করছে শিবিরকে, আর শিবির দায়ী করছে ছাত্রদলকে। সংগঠন দু’টির কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও পাল্টাপাল্টি পোস্ট দিতে দেখা গেছে।

সম্প্রতি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এই সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ছাত্রদলের সভাপতি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদককে বলছেন, ‘শিবিরের ওপর দায় দিয়ে দাও’। ছাত্রদলের সভাপতির এই বক্তব্যকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহযোগিতা ও বন্ধুভাবাপন্ন ছাত্র রাজনীতির পথে অন্তরায় বলে মনে করছে শিবির। সংগঠনটি বলছে, নিজেদের অপরাধমূলক কার্যকলাপের দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দেয়ার যে প্রবণতা ছাত্রলীগের ছিল, তা আজ ছাত্রদলের মধ্যেও বিদ্যমান। এ ধরনের আচরণ ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ এবং সুস্থ ধারার রাজনীতির পরিপন্থি।

ওদিকে, ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আসে ছাত্রশিবির। কয়েকটি বাম সংগঠন এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এ নিয়ে ছাত্রদলও প্রশ্ন তুলেছে। পরবর্তীতে ৭ই নভেম্বর ‘সিপাহী-জনতার বিপ্লব’ উপলক্ষে বিএনপি’র দলীয় পোস্টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে সাঁটিয়ে দেয় ছাত্রদল। পোস্টার লাগানোর পর ছাত্রদের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তারা এর বিরুদ্ধে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।
ঢাকা এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির সংঘর্ষ এবং ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে সিলেটের এমসি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর টঙ্গীতে ছাত্রশিবিরের ওয়ার্ড সভাপতির ওপর ছাত্রদলের হামলার ঘটনারও অভিযোগ রয়েছে।