সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. রমজানের আগেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমে গেছে, যেখানে চাহিদা দ্বিগুণ হয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
২. সরকার কর ও চার্জ কমালেও, কিছু ব্যবসায়ী পুরনো কৌশল অবলম্বন করে দাম বাড়িয়ে বাজারকে প্রভাবিত করছে, যা সাধারণ মানুষের উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।
রমজানের আগমনের পূর্বে দেশের নানা স্তরের, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখা দিচ্ছে।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি
- সয়াবিন তেলের অভাব:
বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহের অভাবে রমজানের আগেই বাজারে তেলের সংকট দেখা যাচ্ছে। - চাহিদা বনাম সরবরাহ:
তেলের চাহিদা দ্বিগুণ হওয়া সত্ত্বেও, সরবরাহ পূর্বের তুলনায় মাত্র এক-চতুর্থাংশ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে। - পূর্বের উদাহরণ:
গত ডিসেম্বর মাসে একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল; তখন সরকার মূল্য বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়ার পর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
অবৈধ ব্যবসায়িক কৌশল
- পুরনো কৌশলের অব্যবহার:
সরকার মূল্য বাড়ানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেও, কিছু ব্যবসায়ী পূর্বের কৌশল অবলম্বন করে চলেছে। - অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়া:
কর হ্রাস ও ট্যাক্স মওকুফ থাকা সত্ত্বেও, তারা সস্তায় আমদানির সুযোগ নিয়ে পণ্যের দাম অতিরিক্ত বাড়াচ্ছে, যা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। - নতুন চাপ প্রয়োগ কৌশল:
পাইকারদের উপর চাপ সৃষ্টি করে তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে, অন্য পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত লাভের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সরকারি নীতিমালা ও প্রতিকার
- কর এবং চার্জ কমানোর উদ্যোগ:
সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, আমদানিকৃত পণ্যের উপর কর হ্রাস ও অন্যান্য চার্জ কমানোর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা সঠিক মূল্যে পণ্য সরবরাহ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। - একাধিপত্য ও নৈতিকতার সমস্যা:
কিন্তু, ব্যবসায়ী তাদের পুরনো কৌশল থেকে সরে আসতে চায় না।
উপসংহার
রমজান মাসের জন্যে প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে সংকটের কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।