সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
-
সাশ্রয়ী পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় অনেক ক্রেতা লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য সংগ্রহ করতে পারছেন না, আর পরিচিতদের অগ্রাধিকার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
-
টোকেন সিস্টেমের অনুপস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, তাই টিসিবি ভবিষ্যতে ট্রাকসেলের আওতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি) নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে আসছে। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি মোকাবেলার পাশাপাশি রমজানের প্রেক্ষাপটে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় ট্রাকসেল পদ্ধতিতে পণ্য বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাকসেল ও ক্রেতাদের চ্যালেঞ্জ
টিসিবি’র সাশ্রয়ী পণ্য বিক্রয়ের কারণে ক্রেতার সংখ্যা পণ্যের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। অনেকেই লাইনে দাঁড়ানোর পরও পণ্য সংগ্রহে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন; কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, পরিচিতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা
- সজল মন্ডল: সীমিত পণ্যের কারণে অনেক ক্রেতা শেষ মুহূর্তে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে।
- নীলু বেগম : লাইনে থাকলেও পরিচিতদের আগে পণ্য প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
- লোকমান শেখ : তিনি মনে করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির পরও টিসিবি’র সাশ্রয়ী পণ্য কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে; তবে পণ্যের পরিমাণ বাড়ালে সবার সুবিধা নিশ্চিত হবে।
পণ্যের পরিমাণ ও সাশ্রয়ের সুবিধা
প্রতিটি ট্রাকে আনুমানিক ২০০ জনের জন্য পণ্য সংরক্ষিত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ৫৮৮ টাকায় একজন ক্রেতা ২ লিটার ভোজ্য তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ছোলা ও ৫০০ গ্রাম খেজুর সংগ্রহ করতে পারেন। তবে ট্রাকের পিছনের সারিতে প্রায় ৩০০-৪০০ জন ক্রেতা থাকায় অনেকেই পণ্য সংগ্রহে ব্যর্থ হচ্ছেন।
বিশৃঙ্খলার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
টোকেন সিস্টেমের অভাবে লাইনে বিশৃঙ্খলা, ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনা ঘটছে, যা বিশেষ করে নারীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।, টোকেন নিয়ে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার সমস্যার কারণে ভবিষ্যতে ট্রাকসেলের আওতা বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান টিসিবি’র একজন কর্মকর্তা ।