সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ব্যাংকের সুদ আয়কে ছুঁয়ে ফেলছে বিনিয়োগ আয়”
ব্যাংকের মূল ব্যবসা সুদ আয়। কম সুদে মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে সেই টাকা বেশি সুদে ঋণ দিয়ে ব্যবসা করে ব্যাংকগুলো। আমানতের সুদ ও ঋণের সুদের ব্যবধানই ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস। এ কারণে আমানতের সিংহভাগ অর্থ ব্যাংকগুলো ঋণ দিয়ে থাকে।
কয়েক বছর ধরে ব্যবসা–বাণিজ্য ও শিল্প খাতের বিনিয়োগের স্থবিরতার কারণে বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কমে গেছে। এ কারণে ব্যাংকের মূল ব্যবসা সুদ আয় কমেছে। আবার নানা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও ব্যাংকগুলো কিছুটা লাগাম টেনেছে। তবে আমানতের অর্থ অলস ফেলে রাখেনি ব্যাংকগুলো। ঋণের বদলে সরকারি ট্রেজারি বিল–বন্ডে বিনিয়োগ করে ভালো মুনাফা করেছে এসব ব্যাংক। ফলে দেশের ব্যাংকগুলোর মূল ব্যবসা সুদ আয়কে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে বিনিয়োগ আয়।
ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে অর্থসংকটে ছিল সরকার। এ কারণে নানা খরচ ও দায় মেটাতে সরকারও চড়া সুদে ব্যাংক খাত থেকে অর্থ ধার করেছে। এ কারণে বেড়েছে ট্রেজারি বিল–বন্ডের সুদহার। আর এটিকে বিকল্প আয়ের বড় সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছে ব্যাংকগুলো। তাতে বিল–বন্ডের বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর জন্য বিকল্প আয়ের বড় উৎস হয়ে উঠেছে।
গত বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের প্রকৃত সুদ আয় ছিল ২১ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। আর একই সময়ে এসব ব্যাংক সরকারি ট্রেজারি বিল, বন্ড ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে আয় করেছে ১৮ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। ফলে কিছু ব্যাংকের মুনাফা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। প্রকৃত সুদ আয় ও বিনিয়োগ আয় মিলিয়ে ৩৬ ব্যাংকের সম্মিলিত আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারবাজারের ব্যাংকগুলোর গত বছরের প্রথম ৯ মাসে ঋণের সুদ বাবদ সম্মিলিত আয় ছিল ৮৬ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। একই সময়ে আমানতের সুদ বাবদ সম্মিলিত ব্যয় ছিল ৬৪ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন নিয়ে এবার যা বললেন ট্রাম্প”
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন নিয়ে আবারও কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মেরিল্যান্ডের একটি মিলনায়তনে দলীয় অনুষ্ঠান কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) এ প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
সেখানে বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার গেছে রাজনৈতিক পরিসর শক্তিশালী করতে এবং তাদের সহায়তা করতে, যাতে তারা কট্টর বাম কমিউনিস্টদের ভোট দিতে পারে।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস ট্রাম্পের এই বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করেছে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বিগত জো বাইডেন প্রশাসনকে সমালোচনার জন্য ট্রাম্প ‘উগ্র বাম কমিউনিস্ট’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশে এই ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অন্যতম উপদেষ্টা ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতাবিষয়ক বিভাগ (ডিওজিই) জানিয়েছিল, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নানা প্রকল্পে ইউএসএআইডির অর্থায়ন বাতিল করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেওয়া ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পে এই অর্থ দেওয়া হচ্ছিল।
এরপর গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ প্রসঙ্গ তুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার এমন এক সংস্থার কাছে গেছে, যে সংস্থার নাম আগে কেউ শোনেনি। তিনি বলেন, ছোট একটি সংস্থা, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, সেখান থেকে ১০ হাজার ডলার পায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে পেয়েছে ২৯ মিলিয়ন ডলার। সেই সংস্থায় মাত্র দুজন কাজ করেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, তারা (দুই কর্মী) দারুণ খুশি। তারা খুব ধনী। শিগগিরই ভালো বিজনেস সাময়িকীতে তারা স্থান পাবে বড় প্রতারণার জন্য।’
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “খেলাপি ঋণের হার ৩০% ছাড়িয়েছে”
দেশের ব্যাংকগুলো থেকে গত দেড় দশকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে যেসব ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, তার বেশির ভাগই এখন আর ফেরত আসছে না। এর প্রভাবে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব ব্যাংকেরই খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। গত ডিসেম্বরেই ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হিসেবে স্বীকৃত খাতটির ৩০ শতাংশেরও বেশি ঋণ এরই মধ্যে খেলাপির খাতায় উঠে গেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পরই দেশের ব্যাংক খাতের ক্ষত ফুটে উঠতে শুরু করে। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের হার দেখানো হয়েছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। জুনে সেটি ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়। সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের হার ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশে ঠেকে। আর ডিসেম্বরে এসে খেলাপি ঋণের এ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণের আশপাশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশের ব্যাংকগুলোয় এখন ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরীক্ষা দলও ব্যাংকগুলো পরিদর্শন করছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে খেলাপি ঋণের যে তথ্য পাওয়া গেছে, সেটি ৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি। তবে বেসরকারি খাতের যে ১২টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়েছে, সেগুলোয় এখন আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়েও অডিট করা হচ্ছে। সেসব অডিট শেষ হলে খেলাপি ঋণের হার ৩৫ শতাংশও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বণিক বার্তাকে জানান, ‘প্রতি ত্রৈমাসিকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। গত ডিসেম্বরের খেলাপি ঋণের প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সুশাসন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে গবেষণাভিত্তিক নীতিকাঠামো দরকার: সেনাপ্রধান”
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘সুশাসন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় সংহতির জন্য গবেষণাভিত্তিক নীতিকাঠামো দরকার।’ রোববার রাতে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের বলরুমে ‘ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এফএসডিএস)’ নামে গবেষণাধর্মী নতুন একটি প্রতিষ্ঠানের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এফএসডিএস প্রতিষ্ঠাকে সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেন সেনাপ্রধান। কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন এই প্রতিষ্ঠানকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ছাড়া পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘শক্তিশালী প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে কোন কোন ক্ষেত্রে জোর দেয়া উচিত, তা গবেষণার মাধ্যমে বের করতে হবে।’ একই সঙ্গে খাদ্য, পানি, জ্বালানি নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রেই গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক গবেষণা সংস্থা রয়েছে। তারা ভালো গবেষণা করেছে। কিন্তু নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে গবেষণার ফলাফলের প্রতিফলন কম দেখা গেছে। সরকার ও বেসরকারি খাত যদি নীতি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে গবেষণার ফলাফলকে বিবেচনায় না নেয়, তাহলে গবেষণা কাজে লাগবে না।’
Sarakhon Report 



















