সারাক্ষণ রিপোর্ট
গ্রামীণ ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে চাকুরি স্থায়ীকরণসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এই আন্দোলনেরই অংশ হিসেবে, ১৩তম দিনের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছেন।স আর এর ধারাবাহিকতায় আগামী কাল জাতীয় যাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ।
প্রধান দাবি
- চাকুরি স্থায়ীকরণ: অস্থায়ী নিয়োগ বাতিল করে কর্মীদের স্থায়ী করা।
- পুনর্বহাল: আন্দোলনের কারণে যেসব কর্মীকে চাকুরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে, তাদের পুনরায় চাকুরিতে ফিরিয়ে নেওয়া।
- হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি বন্ধ: আন্দোলনকারী কর্মীদের হয়রানি বা শাস্তিমূলক বদলি না করা।
- শ্রম আইন অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা: সরকারি শ্রম আইন ও বিধিমালা মেনে কর্মীদের ন্যায্য সুবিধা প্রদান।
পটভূমি
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, গত ৩২ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের শ্রম আইন, আইএলও কনভেনশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি অমান্য করে এসেছে। ফলে, কর্মীদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।

কর্মসূচি ও ক্ষোভের কারণ
- জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার এই কর্মসূচি ১৩তম দিনে গড়িয়েছে।
- সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, গ্রামীণ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো (শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর) এ বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা নিচ্ছে না।
- শ্রমিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এত দীর্ঘ সময় ধরে শ্রম শোষণ চললেও এখনো কোনো কার্যকর সমাধান হয়নি।
নেতৃত্ব ও সংহতি প্রকাশ
আলাউদ্দিন আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন—
- রাজু আহমেদ: কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন
- ইকবাল কবীর: গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক
- মিন্টু মিয়া
- আপেল মাহমুদ
- জসিম উদ্দীন
- আলতাফ হোসেন
- নিয়ামুল ইসলাম
- রহমত উল্লাহ
- সোহেল রানা
(এছাড়া আরও বিভিন্ন শ্রমিক নেতা ও সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন)
পরবর্তী কর্মসূচি
চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে লাগাতার এই আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ হিসেবে—
- তারিখ ও সময়: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, বিকাল ৩টা
- স্থান: শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে
- ইভেন্ট: সংহতি সমাবেশ
এই সমাবেশে বিভিন্ন ছাত্র, শ্রমিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, নারী সংগঠন, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
Sarakhon Report 



















