০৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

আবরার ফাহাদ হত্যার ফাঁসির আসামি পালানোর খবরে উত্তাল বুয়েট

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “২৯ মিলিয়ন ডলার: ধাপে ধাপে অর্থ ছাড় ডিআইয়ের প্রকল্পে”

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের (ডিআই) জন্য সরকারি তহবিল থেকে ২৯ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা) বরাদ্দ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এবং যুক্তরাজ্যের অধুনালুপ্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ডিএফআইডি) অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর শক্তিশালীকরণের (স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ–এসপিএল) প্রকল্পে ধাপে ধাপে অর্থ ছাড় করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অনুদান ও সহায়তা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হাইয়ারগভ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হাইয়ারগভের ওই পরিসংখ্যানের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন সূত্র যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সাহায্য সংস্থা (এনজিও) ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে অর্থ বরাদ্দ ও ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কূটনৈতিক একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, বাংলাদেশে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল বাস্তবায়নে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছিল ইউএসএআইডি ও ডিএফআইডি। পাঁচ বছর মেয়াদি ওই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য এ দুটি সংস্থা নিজেদের মধ্যে চুক্তি করেছিল। প্রকল্পের মেয়াদ প্রথমে ২ বছর আর সর্বশেষ ১ বছর ৭ মাস বাড়ানো হলেও ডিএফআইডি অর্থায়নের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসে। তবে বাংলাদেশে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরাসরি ব্যবস্থাপনায় যুক্ত ছিল ইউএসএআইডি।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে এবং কে সেটা খরচ করেছে, আমার কাছে কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই। পত্রিকায় দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানকে খরচের জন্য এই অর্থ দেওয়া হয়েছে। এনজিও–বিষয়ক ব্যুরো বলেছে, এমন কোনো এন্ট্রি তাদের নেই। আপাতত তাদের কথাই আমাদের মেনে নিতে হবে। তারপরও যদি কোনো তথ্য বের হয়, তাহলে আমরা সেটা দেখব।’

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”আবরার ফাহাদ হত্যার ফাঁসির আসামি পালানোর খবরে উত্তাল বুয়েট”

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে পালানোর ঘটনায় গভীর রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। হত্যাকারী জেমির গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীরা বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি পলাশী মোড়, ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পৌঁছে। পরে বুয়েট শিক্ষার্থীরা সেখানে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’; ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, আবরার হত্যার পর অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর একজনের ফাঁসির রায়ের পর আমরা অপেক্ষায় ছিলাম এ রায় কার্যকর হলে আমরা একটু হলেও শান্তি পাবো। আর এ মুহূর্তে এসে এ আসামির পালিয়ে যাওয়ার খবর আমাদের জন্য হতাশাজনক।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জানুয়ারিতে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি বেড়েছে ১৭%”

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় ৮ আগস্ট। ওই সময় থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অনেকের বক্তব্যেই ভারতবিরোধিতা ও এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা উঠে এসেছে। নাগরিক পর্যায়েও ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমানোর ডাক দিয়েছেন অনেকেই। যদিও দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরো বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

ভারতে অর্থবছরের হিসাব শুরু হয় এপ্রিল থেকে। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ ভারতীয় অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (এপ্রিল-জানুয়ারি) বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য রফতানির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যদিও এ সময় বাংলাদেশে ভারতের পণ্য রফতানি বা ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর গত জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য রফতানি সংকুচিত হয়েছে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ। যদিও একই সময়ে দেশটি থেকে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

যদিও গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর বাংলাদেশে ভারত থেকে পণ্য আমদানি নিম্নমুখী হয়ে উঠেছিল। জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে দুই দেশের বাণিজ্যে। টানা তিনদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ ছিল। আগস্টে ভারত থেকে আমদানি কমেছিল ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

একই সময়ে পেঁয়াজ, ডিম ও কাঁচামরিচের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজারদরে দেখা দেয় বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা। দামের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এসব পণ্য আমদানি করা হয় বিপুল পরিমাণে। এর পর থেকেই পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরো বেড়েছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “রাজধানীতে যৌথ বাহিনীর কম্বাইন্ড টহল”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও নৌবাহিনীর যৌথ টহল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পুরো ঢাকা শহরে অনেক জায়গায় চেকপোস্ট (তল্লাশি চৌকি) বসবে। আইনশৃঙ্খলা নজরদারি করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বেলা তিনটায় সভা শুরু হয়ে বিকাল সোয়া চারটায় শেষ হয়।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, পুরো ঢাকা এবং দেশের যেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, সেখানে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে যৌথ বাহিনীর টহল বাড়ানো হবে। এ ছাড়া সারা দেশে বাড়ানো হবে চেকপোস্ট। দ্রুত চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলের টহল বাড়ানো হবে। এ ছাড়া বাড়ানো হবে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
এ সময়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি টের পাবেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মানুষকে আশ্বস্ত করতেই আজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সভা করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে আপনারা পরিস্থিতি টের পাবেন।

 

আবরার ফাহাদ হত্যার ফাঁসির আসামি পালানোর খবরে উত্তাল বুয়েট

০৮:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “২৯ মিলিয়ন ডলার: ধাপে ধাপে অর্থ ছাড় ডিআইয়ের প্রকল্পে”

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের (ডিআই) জন্য সরকারি তহবিল থেকে ২৯ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা) বরাদ্দ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এবং যুক্তরাজ্যের অধুনালুপ্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ডিএফআইডি) অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর শক্তিশালীকরণের (স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ–এসপিএল) প্রকল্পে ধাপে ধাপে অর্থ ছাড় করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অনুদান ও সহায়তা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হাইয়ারগভ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হাইয়ারগভের ওই পরিসংখ্যানের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন সূত্র যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সাহায্য সংস্থা (এনজিও) ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে অর্থ বরাদ্দ ও ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কূটনৈতিক একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, বাংলাদেশে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল বাস্তবায়নে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছিল ইউএসএআইডি ও ডিএফআইডি। পাঁচ বছর মেয়াদি ওই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য এ দুটি সংস্থা নিজেদের মধ্যে চুক্তি করেছিল। প্রকল্পের মেয়াদ প্রথমে ২ বছর আর সর্বশেষ ১ বছর ৭ মাস বাড়ানো হলেও ডিএফআইডি অর্থায়নের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসে। তবে বাংলাদেশে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরাসরি ব্যবস্থাপনায় যুক্ত ছিল ইউএসএআইডি।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে এবং কে সেটা খরচ করেছে, আমার কাছে কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই। পত্রিকায় দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানকে খরচের জন্য এই অর্থ দেওয়া হয়েছে। এনজিও–বিষয়ক ব্যুরো বলেছে, এমন কোনো এন্ট্রি তাদের নেই। আপাতত তাদের কথাই আমাদের মেনে নিতে হবে। তারপরও যদি কোনো তথ্য বের হয়, তাহলে আমরা সেটা দেখব।’

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”আবরার ফাহাদ হত্যার ফাঁসির আসামি পালানোর খবরে উত্তাল বুয়েট”

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে পালানোর ঘটনায় গভীর রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। হত্যাকারী জেমির গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীরা বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি পলাশী মোড়, ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পৌঁছে। পরে বুয়েট শিক্ষার্থীরা সেখানে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’; ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, আবরার হত্যার পর অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর একজনের ফাঁসির রায়ের পর আমরা অপেক্ষায় ছিলাম এ রায় কার্যকর হলে আমরা একটু হলেও শান্তি পাবো। আর এ মুহূর্তে এসে এ আসামির পালিয়ে যাওয়ার খবর আমাদের জন্য হতাশাজনক।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জানুয়ারিতে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি বেড়েছে ১৭%”

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় ৮ আগস্ট। ওই সময় থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অনেকের বক্তব্যেই ভারতবিরোধিতা ও এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা উঠে এসেছে। নাগরিক পর্যায়েও ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমানোর ডাক দিয়েছেন অনেকেই। যদিও দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরো বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

ভারতে অর্থবছরের হিসাব শুরু হয় এপ্রিল থেকে। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ ভারতীয় অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (এপ্রিল-জানুয়ারি) বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য রফতানির প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যদিও এ সময় বাংলাদেশে ভারতের পণ্য রফতানি বা ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর গত জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য রফতানি সংকুচিত হয়েছে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ। যদিও একই সময়ে দেশটি থেকে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

যদিও গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর বাংলাদেশে ভারত থেকে পণ্য আমদানি নিম্নমুখী হয়ে উঠেছিল। জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে দুই দেশের বাণিজ্যে। টানা তিনদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ ছিল। আগস্টে ভারত থেকে আমদানি কমেছিল ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

একই সময়ে পেঁয়াজ, ডিম ও কাঁচামরিচের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজারদরে দেখা দেয় বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা। দামের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এসব পণ্য আমদানি করা হয় বিপুল পরিমাণে। এর পর থেকেই পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরো বেড়েছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “রাজধানীতে যৌথ বাহিনীর কম্বাইন্ড টহল”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও নৌবাহিনীর যৌথ টহল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পুরো ঢাকা শহরে অনেক জায়গায় চেকপোস্ট (তল্লাশি চৌকি) বসবে। আইনশৃঙ্খলা নজরদারি করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বেলা তিনটায় সভা শুরু হয়ে বিকাল সোয়া চারটায় শেষ হয়।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, পুরো ঢাকা এবং দেশের যেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, সেখানে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে যৌথ বাহিনীর টহল বাড়ানো হবে। এ ছাড়া সারা দেশে বাড়ানো হবে চেকপোস্ট। দ্রুত চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলের টহল বাড়ানো হবে। এ ছাড়া বাড়ানো হবে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
এ সময়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি টের পাবেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মানুষকে আশ্বস্ত করতেই আজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সভা করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে আপনারা পরিস্থিতি টের পাবেন।