০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সমন্বয়কদের নেতৃত্বে নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ আজ

  • Sarakhon Report
  • ১১:১০:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “জাতীয় নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হচ্ছে বিএনপির”

এ মুহূর্তে বিএনপির সব মনোযোগ জাতীয় নির্বাচনের ওপর। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দলের যে বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে, কার্যত সেখান থেকেই বিএনপির নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন মহল থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি উঠেছে, সেটাকে খুব গুরুত্ব দেবে না বিএনপি; বরং দলটি জাতীয় নির্বাচনকে মুখ্য করেই পরবর্তী সাংগঠনিক কর্মসূচি তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের পরপরই নির্বাচনকেন্দ্রিক এ কর্মসূচি ও তৎপরতা শুরু হবে। আগামীকালের দলের বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম শুরু হবে।

আগামীকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভা হবে। সভায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মহানগর ও জেলার সব থানা, উপজেলা, পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা অংশ নেবেন।

এর বাইরে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া এবং মনোনয়নের জন্য প্রাথমিক চিঠি পাওয়া নেতারাও সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির এ বর্ধিত সভাকে ‘খুবই সময়োপযোগী’ বলে মনে করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতাকে বর্ধিত সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ সভাকে একটা ‘যাত্রাবিন্দু’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘একদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা, অন্যদিকে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রস্তাব—দুটি বিষয়কে গুছিয়ে বর্ধিত সভা থেকে একটি বার্তা দেওয়া হবে। বলতে পারেন, ওই সভা থেকে জাতীয় নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু করবে বিএনপি।’

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”সমন্বয়কদের নেতৃত্বে নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ আজ”

জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ সারির সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হবে আজ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করবে বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক সংগঠক।

নতুন সংগঠন তৈরির প্রধান উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উদ্যোক্তারা মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনায় বসেছেন। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি নাম। কমিটিগুলোও পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

নেতৃত্বে সমন্বয়কারীরাই সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রায় চূড়ান্ত। ব্যতিক্রম না ঘটলে এতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন নতুন সংগঠনের একাধিক উদ্যোক্তা।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শিল্পে বছরের পর বছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগেও সাড়া মেলেনি”

২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে অর্থায়নের উৎস ও পণ্য উৎপাদন বিষয়ে বিনা প্রশ্নে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছিল সরকার। তবে তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। একইভাবে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও মাত্র ১০ শতাংশ করের বিনিময়ে আয়ের উৎস নিয়ে বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল রাখা হয়। এক্ষেত্রেও তেমন সাড়া মেলেনি। এখন পর্যন্ত দেশে সরকারের দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে মূলত জমি, ফ্ল্যাট, এফডিআর, পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগের মাধ্যমে।

শিল্প খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতির মূল ধারায় অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার নজির তেমন একটা না থাকার কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতে যে কালো টাকা তৈরি হয়, সেটি দেশের বাইরে পাচার হয়ে যায়। ফলে শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হলেও এতে সাড়া পাওয়া যায় না। আবার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে সরকারি সংস্থাগুলোর নজরে পড়তে না চাওয়ার বিষয়টিও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। তবে কালো টাকার প্রকৃত পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের অর্থনীতিতে ১৯৭৩ সালে কালো টাকা ছিল জিডিপির ৭ শতাংশের সমপরিমাণ। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গড়ে কালো টাকার পরিমাণ ছিল জিডিপির ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১০ সালে তা সর্বোচ্চ প্রায় ৬৩ শতাংশে দাঁড়ায়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণার তথ্য অনুসারে, দেশে কালো টাকার পরিমাণ জিডিপির ১০ থেকে ৩৮ শতাংশের মধ্যে ওঠা-নামা করে থাকে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তা লিয়ান্দ্রো মেডিনা ও অস্ট্রিয়ার অধ্যাপক ফ্রেডারিক স্নাইডার ‘শেডিং লাইট অন দ্য শ্যাডো ইকোনমি: এ গ্লোবাল ডাটাবেজ অ্যান্ড দ্য ইন্টারঅ্যাকশন উইথ দ্য অফিশিয়াল ওয়ান’ নামে একটি গবেষণা করেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৯৯১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গড়ে জিডিপির ৩৩ শতাংশের মতো কালো টাকা ছিল। সে হিসেবে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন রক্ষণাত্মক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হলে দেশে কালো টাকার পরিমাণ ৮ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকার মতো হবে।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “৫ মিলিয়ন ডলারেই মিলবে আমেরিকার নাগরিকত্ব”

এবার মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে নতুন প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ৫ মিলিয়ন ডলারে ‘গোল্ড কার্ড’ কিনে পাওয়া যাবে আমেরিকার নাগরিকত্ব। এর মাধ্যমে বিদেশী নাগরিকদের জন্য গ্রিন কার্ড রেসিডেন্সি স্ট্যাটাসও পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন যে, দশ লাখের বেশি গোল্ড কার্ড বিক্রি করতে পারবেন তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।

এতে বলা হয়, বিশ্বের অলিগার্কদের আকৃষ্ট করতেই এই প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। এই উদ্যেগটি দ্রুতই জাতীয় ঋণ পরিশোধ করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, ই-বি অভিবাসী বিনিয়োগকারী ভিসা প্রোগ্রামের পরিবর্তে নতুন প্রস্তাবিত গোল্ড কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হবে।

এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরার যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির পাশাপাশি স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ পাবেন। রুশ ধনকুবেররাও (অলিগার্ক) এই কার্ডের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, সম্ভবত, হ্যাঁ। আমি কয়েকজন রুশ অলিগার্ককে চিনি যারা খুব ভালো মানুষ। এই নতুন প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্কিন অভিবাসন নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

 

সমন্বয়কদের নেতৃত্বে নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ আজ

১১:১০:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “জাতীয় নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হচ্ছে বিএনপির”

এ মুহূর্তে বিএনপির সব মনোযোগ জাতীয় নির্বাচনের ওপর। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দলের যে বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে, কার্যত সেখান থেকেই বিএনপির নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন মহল থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি উঠেছে, সেটাকে খুব গুরুত্ব দেবে না বিএনপি; বরং দলটি জাতীয় নির্বাচনকে মুখ্য করেই পরবর্তী সাংগঠনিক কর্মসূচি তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের পরপরই নির্বাচনকেন্দ্রিক এ কর্মসূচি ও তৎপরতা শুরু হবে। আগামীকালের দলের বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম শুরু হবে।

আগামীকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভা হবে। সভায় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মহানগর ও জেলার সব থানা, উপজেলা, পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা অংশ নেবেন।

এর বাইরে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া এবং মনোনয়নের জন্য প্রাথমিক চিঠি পাওয়া নেতারাও সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির এ বর্ধিত সভাকে ‘খুবই সময়োপযোগী’ বলে মনে করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতাকে বর্ধিত সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ সভাকে একটা ‘যাত্রাবিন্দু’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘একদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা, অন্যদিকে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রস্তাব—দুটি বিষয়কে গুছিয়ে বর্ধিত সভা থেকে একটি বার্তা দেওয়া হবে। বলতে পারেন, ওই সভা থেকে জাতীয় নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু করবে বিএনপি।’

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”সমন্বয়কদের নেতৃত্বে নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ আজ”

জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ সারির সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হবে আজ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করবে বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক সংগঠক।

নতুন সংগঠন তৈরির প্রধান উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উদ্যোক্তারা মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনায় বসেছেন। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি নাম। কমিটিগুলোও পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

নেতৃত্বে সমন্বয়কারীরাই সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রায় চূড়ান্ত। ব্যতিক্রম না ঘটলে এতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন নতুন সংগঠনের একাধিক উদ্যোক্তা।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শিল্পে বছরের পর বছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগেও সাড়া মেলেনি”

২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে অর্থায়নের উৎস ও পণ্য উৎপাদন বিষয়ে বিনা প্রশ্নে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছিল সরকার। তবে তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। একইভাবে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও মাত্র ১০ শতাংশ করের বিনিময়ে আয়ের উৎস নিয়ে বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল রাখা হয়। এক্ষেত্রেও তেমন সাড়া মেলেনি। এখন পর্যন্ত দেশে সরকারের দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে মূলত জমি, ফ্ল্যাট, এফডিআর, পুঁজিবাজার, সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগের মাধ্যমে।

শিল্প খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতির মূল ধারায় অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার নজির তেমন একটা না থাকার কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতে যে কালো টাকা তৈরি হয়, সেটি দেশের বাইরে পাচার হয়ে যায়। ফলে শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হলেও এতে সাড়া পাওয়া যায় না। আবার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে সরকারি সংস্থাগুলোর নজরে পড়তে না চাওয়ার বিষয়টিও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। তবে কালো টাকার প্রকৃত পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের অর্থনীতিতে ১৯৭৩ সালে কালো টাকা ছিল জিডিপির ৭ শতাংশের সমপরিমাণ। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গড়ে কালো টাকার পরিমাণ ছিল জিডিপির ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১০ সালে তা সর্বোচ্চ প্রায় ৬৩ শতাংশে দাঁড়ায়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণার তথ্য অনুসারে, দেশে কালো টাকার পরিমাণ জিডিপির ১০ থেকে ৩৮ শতাংশের মধ্যে ওঠা-নামা করে থাকে। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তা লিয়ান্দ্রো মেডিনা ও অস্ট্রিয়ার অধ্যাপক ফ্রেডারিক স্নাইডার ‘শেডিং লাইট অন দ্য শ্যাডো ইকোনমি: এ গ্লোবাল ডাটাবেজ অ্যান্ড দ্য ইন্টারঅ্যাকশন উইথ দ্য অফিশিয়াল ওয়ান’ নামে একটি গবেষণা করেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৯৯১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গড়ে জিডিপির ৩৩ শতাংশের মতো কালো টাকা ছিল। সে হিসেবে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন রক্ষণাত্মক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হলে দেশে কালো টাকার পরিমাণ ৮ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকার মতো হবে।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “৫ মিলিয়ন ডলারেই মিলবে আমেরিকার নাগরিকত্ব”

এবার মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে নতুন প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ৫ মিলিয়ন ডলারে ‘গোল্ড কার্ড’ কিনে পাওয়া যাবে আমেরিকার নাগরিকত্ব। এর মাধ্যমে বিদেশী নাগরিকদের জন্য গ্রিন কার্ড রেসিডেন্সি স্ট্যাটাসও পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন যে, দশ লাখের বেশি গোল্ড কার্ড বিক্রি করতে পারবেন তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।

এতে বলা হয়, বিশ্বের অলিগার্কদের আকৃষ্ট করতেই এই প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। এই উদ্যেগটি দ্রুতই জাতীয় ঋণ পরিশোধ করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, ই-বি অভিবাসী বিনিয়োগকারী ভিসা প্রোগ্রামের পরিবর্তে নতুন প্রস্তাবিত গোল্ড কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হবে।

এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরার যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির পাশাপাশি স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ পাবেন। রুশ ধনকুবেররাও (অলিগার্ক) এই কার্ডের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, সম্ভবত, হ্যাঁ। আমি কয়েকজন রুশ অলিগার্ককে চিনি যারা খুব ভালো মানুষ। এই নতুন প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্কিন অভিবাসন নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।