১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

পর্যটন সমৃদ্ধ চীনের সিনচিয়াং

  • Sarakhon Report
  • ০৭:৩৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 18

পর্যটনখাত চাঙ্গা করতে ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং। বিশেষ করে হাজার বছরের প্রাচীন নগরী কাশগড়, সেখানকার ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থানগুলোকে পর্যটকদের উপযোগী করে খুলে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে পর্যটনখাতের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে নানা রকম সুবিধাসহ নীতি সহায়তা ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ।

হাজার বছরের প্রাচীন সংস্কৃতি ও সভ্যতার কারণে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এমনিতেই আকর্ষণীয় চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উইগুর স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং। তাইতো যে কোন উৎসব উপলক্ষ্যে চীনের অভ্যন্তরীণ ও দেশের বাইরের পর্যটকদের ভিড় জমে এখানে।

সিনচিয়াংয়ের কাঁদামাটির শিল্প পর্যটকদের কাছে তৈরি করেছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এটি সিনচিয়াংয়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত।  হাতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইন ও আকারের মাটির তৈজসপত্রের সৌন্দর্য ও কারুকাজ কাছে টানছে শিল্পপ্রেমীদের। বাহারি নকশা আর রংয়ের কারুকাজ যেন মন ছুয়ে দেয়।

নারী পর্যটক উ ইং বলেন, এখানকার সংস্কৃতি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এখানকার কাদামাটির শিল্পের অনেক ছবি তুলেছি। বাড়িতে পৌঁছে আমি আমার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের এগুলো দেখাবো।

হাজার বছরের প্রাচীন এই নগরী কাশগড় সিনচিয়াংয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এখানকার নির্মাণশৈলীর যেমন আছে বিশেষত্ব, তেমনি স্থানীয় নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচার ও সংস্কৃতিও আলাদা। চলতি বছর এখানকার স্থানীয় সরকার কাশগড় নগরীর অতিপ্রাচীন ভবনগুলোকে সংস্কার করে নতুন রূপে তুলে ধরে পর্যটকদের সামনে। আবার কাশগড়ের গলিপথে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসা দোকান ও কেনাকাটাও দারুণ উপভোগ্য। হাতে তৈরি কুটির শিল্পের নানা আকর্ষণীয় পণ্য থেকে যেন নজর ফেরানোই দায়।

সিনচিয়াংয়ের আকর্ষণীয় আয়োজনের মধ্যে মুগ্ধ করে বিশাল মরুভূমিতে গাড়ি চালানো প্রতিযোগিতা। উন্মুক্ত খোলা প্রান্তরে বন্ধুর পথে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুটে চলার যে অনুভূতি তা সত্যিই স্মৃতি হয়ে থাকে যে কারও কাছে। আরও বেশি দুঃসাহসিক লাগে আকাবাঁকা-উঁচুনিচু পাহাড়ি পথধরে এগিয়ে চলার অভিযান।

স্থানীয় সংস্কৃতি ও নিজেদের তুলে ধরার মধ্যদিয়ে এখানকার মানুষ যেন তুলে ধরে নিজেদের পরিচয় ও আলাদা স্বাতন্ত্র্য। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে সিনচিয়াংয়ে ঘুরতে এসেছে অন্তত ৭২ মিলিয়ন পর্যটক। এখাত থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৬২ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সিনচিয়াংকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে কাজ করছেন তারা।

সিনচিয়াং আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের উপপরিচালক ইয়ান নাইমিন বলেন, আমাদের ডিজাইন ও পরিবেশনা আরও সুন্দর করতে আমরা আরও পরিশ্রম করে যাবো। বিশেষ করে উন্নত মানের প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এখানকার পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে চাই।

এর বাইরেও সিনচিয়াংয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও যে দিকে চোখ যায় উন্মুক্ত নিঃসীম নীল আকাশ যেন জাদুকরী অনুভূতি দেয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি বছর মধ্য জুনে সিনচিয়াং ঘুরে দেখার সবচেয়ে ভালো সময়।

প্রতিবেদন-আফরিন মিম

সিএমজি বাংলা

পর্যটন সমৃদ্ধ চীনের সিনচিয়াং

০৭:৩৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পর্যটনখাত চাঙ্গা করতে ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং। বিশেষ করে হাজার বছরের প্রাচীন নগরী কাশগড়, সেখানকার ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থানগুলোকে পর্যটকদের উপযোগী করে খুলে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে পর্যটনখাতের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে নানা রকম সুবিধাসহ নীতি সহায়তা ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ।

হাজার বছরের প্রাচীন সংস্কৃতি ও সভ্যতার কারণে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এমনিতেই আকর্ষণীয় চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উইগুর স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং। তাইতো যে কোন উৎসব উপলক্ষ্যে চীনের অভ্যন্তরীণ ও দেশের বাইরের পর্যটকদের ভিড় জমে এখানে।

সিনচিয়াংয়ের কাঁদামাটির শিল্প পর্যটকদের কাছে তৈরি করেছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এটি সিনচিয়াংয়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত।  হাতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইন ও আকারের মাটির তৈজসপত্রের সৌন্দর্য ও কারুকাজ কাছে টানছে শিল্পপ্রেমীদের। বাহারি নকশা আর রংয়ের কারুকাজ যেন মন ছুয়ে দেয়।

নারী পর্যটক উ ইং বলেন, এখানকার সংস্কৃতি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এখানকার কাদামাটির শিল্পের অনেক ছবি তুলেছি। বাড়িতে পৌঁছে আমি আমার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের এগুলো দেখাবো।

হাজার বছরের প্রাচীন এই নগরী কাশগড় সিনচিয়াংয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এখানকার নির্মাণশৈলীর যেমন আছে বিশেষত্ব, তেমনি স্থানীয় নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচার ও সংস্কৃতিও আলাদা। চলতি বছর এখানকার স্থানীয় সরকার কাশগড় নগরীর অতিপ্রাচীন ভবনগুলোকে সংস্কার করে নতুন রূপে তুলে ধরে পর্যটকদের সামনে। আবার কাশগড়ের গলিপথে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসা দোকান ও কেনাকাটাও দারুণ উপভোগ্য। হাতে তৈরি কুটির শিল্পের নানা আকর্ষণীয় পণ্য থেকে যেন নজর ফেরানোই দায়।

সিনচিয়াংয়ের আকর্ষণীয় আয়োজনের মধ্যে মুগ্ধ করে বিশাল মরুভূমিতে গাড়ি চালানো প্রতিযোগিতা। উন্মুক্ত খোলা প্রান্তরে বন্ধুর পথে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুটে চলার যে অনুভূতি তা সত্যিই স্মৃতি হয়ে থাকে যে কারও কাছে। আরও বেশি দুঃসাহসিক লাগে আকাবাঁকা-উঁচুনিচু পাহাড়ি পথধরে এগিয়ে চলার অভিযান।

স্থানীয় সংস্কৃতি ও নিজেদের তুলে ধরার মধ্যদিয়ে এখানকার মানুষ যেন তুলে ধরে নিজেদের পরিচয় ও আলাদা স্বাতন্ত্র্য। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে সিনচিয়াংয়ে ঘুরতে এসেছে অন্তত ৭২ মিলিয়ন পর্যটক। এখাত থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৬২ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সিনচিয়াংকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে কাজ করছেন তারা।

সিনচিয়াং আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের উপপরিচালক ইয়ান নাইমিন বলেন, আমাদের ডিজাইন ও পরিবেশনা আরও সুন্দর করতে আমরা আরও পরিশ্রম করে যাবো। বিশেষ করে উন্নত মানের প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এখানকার পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে চাই।

এর বাইরেও সিনচিয়াংয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও যে দিকে চোখ যায় উন্মুক্ত নিঃসীম নীল আকাশ যেন জাদুকরী অনুভূতি দেয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি বছর মধ্য জুনে সিনচিয়াং ঘুরে দেখার সবচেয়ে ভালো সময়।

প্রতিবেদন-আফরিন মিম

সিএমজি বাংলা