০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

দুই প্ল্যাটফর্মের সমান সংখ্যক নেতা নিয়ে নতুন দলের কমিটি, আলোচিত সাবেক শিবির নেতারা থাকছেন না

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “দুই প্ল্যাটফর্মের সমান সংখ্যক নেতা নিয়ে নতুন দলের কমিটি, আলোচিত সাবেক শিবির নেতারা থাকছেন না”

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি কত সদস্যের হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে কমিটির আকার যা-ই হোক, তাদের দুই প্ল্যাটফর্ম—জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে ৫০ শতাংশ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ৫০ শতাংশ নেতাকে নিয়েই দলের আহ্বায়ক কমিটি হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে কমিটির সবার নাম ঘোষণা না–ও হতে পারে। তবে শীর্ষস্থানীয় পদগুলোতে (ছয় বা ততোধিক পদ হতে পারে) মনোনীত নেতাদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জাতীয় নাগরিক কমিটির একজন দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন। অন্য পদগুলোতে মনোনীত নেতাদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।

অবশ্য নতুন দলের আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব পদে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত বলে ইতিমধ্যে খবর বেরিয়েছে। এ ছাড়া মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর নামও অনেকটাই চূড়ান্ত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে।

আলোচিত সাবেক শিবির নেতারা থাকছেন না
এদিকে নতুন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলী আহসান জোনায়েদের নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জোনায়েদ বলেছেন, তিনি নতুন দলে থাকছেন না।

জোনায়েদের এই স্ট্যাটাস ফেসবুকে শেয়ার করে গতকাল ভোরে রাফে সালমান রিফাত (ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আরেক সাবেক সভাপতি) লিখেছেন, তিনিও নতুন দলে থাকছেন না।

শিবিরের আরেক সাবেক নেতা আরেফীন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহও নতুন দলে থাকছেন না বলে জানা গেছে। হিযবুল্লাহ ইতিমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সহমুখপাত্র পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন।

শিবিরের সাবেক এই তিন নেতা নতুন দলে যুক্ত না হলেও একসময় শিবির করতেন, এমন বেশ কয়েকজন নতুন দলে থাকছেন বলে জাতীয় নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল একজন নেতা জানিয়েছেন।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”দেশে ১৭ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত”

৯ বছর বয়স থেকে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হচ্ছে না সুমাইয়া আক্তার নাদিয়ার। বর্তমানে তার বয়স ১২ বছর। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মা সীমা বেগম বলেন, মেয়ে স্কুলে ঘন ঘন প্রশ্রাব করতে যেত, সে দুর্বলও ছিল। বিষয়টি তার শিক্ষকরা লক্ষ করেন। আমাদের জানালে, আমরা প্রাইভেট হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করে জানতে পারি, আমার মেয়ের টাইপ-১ ডায়াবেটিস। গত তিন বছর ধরে সেগুনবাগিচা বারডেম-১ মা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিয়মিত ফলোআপে আসে নাদিয়া। নাদিয়ারা তিন ভাইবোন। তাদের কারো এই রোগ নেই। বাবা-মায়েরও নেই।

টাঙ্গাইল থেকে আসা জুঁই আক্তারের (১৩) ডায়াবেটিস শনাক্ত হয় আট বছর বয়সে, ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট। তখন থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর আসেন এই হাসপাতালে ফলোআপে। জুঁইয়ের বাবা মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘মেয়ে ঘন ঘন প্রশ্রাব করত, প্রশ্রাবের স্থানে সাদা চালের আটার মতো পড়ে থাকত। চিকিৎসক দেখালে পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায়, মেয়ের টাইপ-১ ডায়াবেটিস। এখন মেয়ে নিজে নিজেই ইনসুলিন নিতে পারে, রক্ত পরীক্ষা করতে পারে।

ঐ হসপিটালের ডায়াবেটিক এডুকেটর মেহেরুন নেসা বলেন, আমরা শিখিয়ে দেই ইনসুলিন নেওয়া, ব্লাড টেস্ট করা, একজন শিশু রোগী কীভাবে নিয়ম করে খাবে, তারা কী খাবে। বেশি অসুস্থ হলে কোন নম্বরে কল দিতে, কার সঙ্গে কখন যোগাযোগ করবে—সেটাও বুঝিয়ে দেই। তিনি বলেন, আমরা এখানে এইচবিএ-ওয়ান সি-পরীক্ষা করে ইনসুলিন, সিরিঞ্জ, গ্লুকোমিটার দিয়ে থাকি বিনা মূল্যে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস শুধু বড়দের অসুখ নয়, এখন এটি ছোটদেরও রোগ। বর্তমানে নগরায়ণের ফলে পরিবর্তিত জীবনযাপনের কারণে সারা বিশ্বেই ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে বৃদ্ধির এই হার উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও বেশি। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের (আইডিএফ) তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশে ১৭ হাজারের বেশি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সারা বিশ্বে ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি শিশু এই রোগে আক্রান্ত।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের, আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৫ বিলিয়নের”

বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও আমদানিনির্ভরতা এখনো প্রকট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। তবে খাদ্য চাহিদা মেটাতে আমদানি করা হয় আরো প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য। সে হিসাবে দেশে মোট কৃষিপণ্যের বাজারের আকার ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। ফলে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা কতটুকু যুক্তিসংগত, সে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা। আমদানির বিকল্প হিসেবে কৃষিপণ্য উৎপাদনে আরো জোর দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা।

কৃষি খাতের বড় উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের চাহিদা মেটাতে ক্ষেত্রবিশেষে ৪০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত কৃষিপণ্য আমদানি করতে হয়। সে হিসেবে খাদ্যের একটি বড় অংশই আনতে হয় বিদেশ থেকে। এর পরও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলাটা অযৌক্তিক বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। মূলত এ নিয়ে একটি মিথ্যা বয়ান তৈরি করা হয়েছে, যা প্রায়ই সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে শোনা যায়।

জার্মানিভিত্তিক বৈশ্বিক বাজার ও অর্থনৈতিক তথ্য-উপাত্তসংক্রান্ত ডাটাবেজ স্ট্যাটিস্টার হিসাবে, এ বছর বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার ১০ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে। প্রতি বছরই ২ শতাংশ হারে এ বাজারের আকার বাড়ছে। সে হিসাবে ২০২৯ সালে দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজার ১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে কৃষিপণ্য আমদানি বছরে প্রায় শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। দেশের চাহিদা মেটাতে এ বছর বিদেশ থেকে আনতে হবে প্রায় ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য।

খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে দেশে গমের তৈরি খাবারের ব্যবহার দিন দিনই বাড়ছে। অথচ খাদ্যশস্যটির চাহিদার কেবল ১৪-১৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বাকি ৮৫ শতাংশই আনতে হয় বিদেশ থেকে। গত বছর উৎপাদন ও আমদানি মিলে গমের সরবরাহ ছিল ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার টন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, গেল বছর প্রায় ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে। ২০২৩ সালে হয়েছিল ৫৪ লাখ ১৭ হাজার টন। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে গম আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। আমদানি বৃদ্ধির এ হার গত আট বছরে সর্বোচ্চ।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার জাতিসংঘের”

বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়াকেও সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ এসব কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আমন্ত্রণে আগামী ১৩ই মার্চ ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন গুতেরাঁ। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ড. ইউনূস যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এটা তার জবাব বলে নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা।

নিজের বাংলাদেশ সফরের কনফার্মেশন বিষয়ক চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরাঁ লিখেন- জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আরও সক্রিয় করা অব্যাহত রাখবে। চিঠিতে গুতেরাঁ জানান, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের ওপর পড়া প্রভাব এবং রাখাইনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগের সঙ্গে একমত। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করাসহ মিয়ানমারের সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক অংশীদার, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট (আসিয়ান) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে তিনি তার বিশেষ দূতের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমি জাতিসংঘের বাংলাদেশ ও মিয়ানমারভিত্তিক কর্মী দলকে নির্দেশনা দেয়ার জন্য আমার সিনিয়র কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছি, যেন তারা রাখাইন সমপ্রদায়ের জন্য মানবিক ও জীবিকার সহায়তা আরও বাড়াতে পারে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, জাতিসংঘ এই ইস্যুতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করবে, যার মধ্যে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী ও মিয়ানমারের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর মাধ্যমে রাখাইনসহ সারা মিয়ানমারে নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গুতেরাঁ আশা প্রকাশ করেন যে, রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বিশ্বব্যাপী নতুন করে মনোযোগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য আরও বিস্তৃত সমাধান বের করতে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তম সমর্থন করতে পারে তা বোঝার জন্য সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শ অনুসরণ করে আমরা সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি। জাতিসংঘ মহাসচিব পুনরায় নিশ্চিত করেন যে, জাতিসংঘ বাংলাদেশকে দৃঢ় সংহতি জানাচ্ছে এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দায়িত্বরত বাংলাদেশের পেশাদার কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব মিস্টার গুতেরাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেন। যা ৭ই ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হস্তান্তর করেন। চিঠি লেখে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে এবং সাক্ষাৎ করে আমন্ত্রণপত্রটি হস্তান্তরের জন্য উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলকে ধন্যবাদ জানান মহাসচিব। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রথম এবং সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ।

দুই প্ল্যাটফর্মের সমান সংখ্যক নেতা নিয়ে নতুন দলের কমিটি, আলোচিত সাবেক শিবির নেতারা থাকছেন না

০৮:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “দুই প্ল্যাটফর্মের সমান সংখ্যক নেতা নিয়ে নতুন দলের কমিটি, আলোচিত সাবেক শিবির নেতারা থাকছেন না”

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি কত সদস্যের হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে কমিটির আকার যা-ই হোক, তাদের দুই প্ল্যাটফর্ম—জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে ৫০ শতাংশ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ৫০ শতাংশ নেতাকে নিয়েই দলের আহ্বায়ক কমিটি হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে কমিটির সবার নাম ঘোষণা না–ও হতে পারে। তবে শীর্ষস্থানীয় পদগুলোতে (ছয় বা ততোধিক পদ হতে পারে) মনোনীত নেতাদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জাতীয় নাগরিক কমিটির একজন দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন। অন্য পদগুলোতে মনোনীত নেতাদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।

অবশ্য নতুন দলের আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব পদে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত বলে ইতিমধ্যে খবর বেরিয়েছে। এ ছাড়া মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর নামও অনেকটাই চূড়ান্ত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে।

আলোচিত সাবেক শিবির নেতারা থাকছেন না
এদিকে নতুন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলী আহসান জোনায়েদের নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জোনায়েদ বলেছেন, তিনি নতুন দলে থাকছেন না।

জোনায়েদের এই স্ট্যাটাস ফেসবুকে শেয়ার করে গতকাল ভোরে রাফে সালমান রিফাত (ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আরেক সাবেক সভাপতি) লিখেছেন, তিনিও নতুন দলে থাকছেন না।

শিবিরের আরেক সাবেক নেতা আরেফীন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহও নতুন দলে থাকছেন না বলে জানা গেছে। হিযবুল্লাহ ইতিমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সহমুখপাত্র পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন।

শিবিরের সাবেক এই তিন নেতা নতুন দলে যুক্ত না হলেও একসময় শিবির করতেন, এমন বেশ কয়েকজন নতুন দলে থাকছেন বলে জাতীয় নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল একজন নেতা জানিয়েছেন।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”দেশে ১৭ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত”

৯ বছর বয়স থেকে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হচ্ছে না সুমাইয়া আক্তার নাদিয়ার। বর্তমানে তার বয়স ১২ বছর। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মা সীমা বেগম বলেন, মেয়ে স্কুলে ঘন ঘন প্রশ্রাব করতে যেত, সে দুর্বলও ছিল। বিষয়টি তার শিক্ষকরা লক্ষ করেন। আমাদের জানালে, আমরা প্রাইভেট হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করে জানতে পারি, আমার মেয়ের টাইপ-১ ডায়াবেটিস। গত তিন বছর ধরে সেগুনবাগিচা বারডেম-১ মা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিয়মিত ফলোআপে আসে নাদিয়া। নাদিয়ারা তিন ভাইবোন। তাদের কারো এই রোগ নেই। বাবা-মায়েরও নেই।

টাঙ্গাইল থেকে আসা জুঁই আক্তারের (১৩) ডায়াবেটিস শনাক্ত হয় আট বছর বয়সে, ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট। তখন থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর আসেন এই হাসপাতালে ফলোআপে। জুঁইয়ের বাবা মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘মেয়ে ঘন ঘন প্রশ্রাব করত, প্রশ্রাবের স্থানে সাদা চালের আটার মতো পড়ে থাকত। চিকিৎসক দেখালে পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায়, মেয়ের টাইপ-১ ডায়াবেটিস। এখন মেয়ে নিজে নিজেই ইনসুলিন নিতে পারে, রক্ত পরীক্ষা করতে পারে।

ঐ হসপিটালের ডায়াবেটিক এডুকেটর মেহেরুন নেসা বলেন, আমরা শিখিয়ে দেই ইনসুলিন নেওয়া, ব্লাড টেস্ট করা, একজন শিশু রোগী কীভাবে নিয়ম করে খাবে, তারা কী খাবে। বেশি অসুস্থ হলে কোন নম্বরে কল দিতে, কার সঙ্গে কখন যোগাযোগ করবে—সেটাও বুঝিয়ে দেই। তিনি বলেন, আমরা এখানে এইচবিএ-ওয়ান সি-পরীক্ষা করে ইনসুলিন, সিরিঞ্জ, গ্লুকোমিটার দিয়ে থাকি বিনা মূল্যে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস শুধু বড়দের অসুখ নয়, এখন এটি ছোটদেরও রোগ। বর্তমানে নগরায়ণের ফলে পরিবর্তিত জীবনযাপনের কারণে সারা বিশ্বেই ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে বৃদ্ধির এই হার উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও বেশি। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের (আইডিএফ) তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশে ১৭ হাজারের বেশি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সারা বিশ্বে ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি শিশু এই রোগে আক্রান্ত।

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের, আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৫ বিলিয়নের”

বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও আমদানিনির্ভরতা এখনো প্রকট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। তবে খাদ্য চাহিদা মেটাতে আমদানি করা হয় আরো প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য। সে হিসাবে দেশে মোট কৃষিপণ্যের বাজারের আকার ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। ফলে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা কতটুকু যুক্তিসংগত, সে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা। আমদানির বিকল্প হিসেবে কৃষিপণ্য উৎপাদনে আরো জোর দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা।

কৃষি খাতের বড় উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের চাহিদা মেটাতে ক্ষেত্রবিশেষে ৪০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত কৃষিপণ্য আমদানি করতে হয়। সে হিসেবে খাদ্যের একটি বড় অংশই আনতে হয় বিদেশ থেকে। এর পরও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলাটা অযৌক্তিক বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। মূলত এ নিয়ে একটি মিথ্যা বয়ান তৈরি করা হয়েছে, যা প্রায়ই সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে শোনা যায়।

জার্মানিভিত্তিক বৈশ্বিক বাজার ও অর্থনৈতিক তথ্য-উপাত্তসংক্রান্ত ডাটাবেজ স্ট্যাটিস্টার হিসাবে, এ বছর বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার ১০ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে। প্রতি বছরই ২ শতাংশ হারে এ বাজারের আকার বাড়ছে। সে হিসাবে ২০২৯ সালে দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজার ১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে কৃষিপণ্য আমদানি বছরে প্রায় শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। দেশের চাহিদা মেটাতে এ বছর বিদেশ থেকে আনতে হবে প্রায় ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য।

খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে দেশে গমের তৈরি খাবারের ব্যবহার দিন দিনই বাড়ছে। অথচ খাদ্যশস্যটির চাহিদার কেবল ১৪-১৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বাকি ৮৫ শতাংশই আনতে হয় বিদেশ থেকে। গত বছর উৎপাদন ও আমদানি মিলে গমের সরবরাহ ছিল ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার টন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, গেল বছর প্রায় ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে। ২০২৩ সালে হয়েছিল ৫৪ লাখ ১৭ হাজার টন। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে গম আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। আমদানি বৃদ্ধির এ হার গত আট বছরে সর্বোচ্চ।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার জাতিসংঘের”

বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়াকেও সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ এসব কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আমন্ত্রণে আগামী ১৩ই মার্চ ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন গুতেরাঁ। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ড. ইউনূস যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এটা তার জবাব বলে নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা।

নিজের বাংলাদেশ সফরের কনফার্মেশন বিষয়ক চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরাঁ লিখেন- জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আরও সক্রিয় করা অব্যাহত রাখবে। চিঠিতে গুতেরাঁ জানান, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের ওপর পড়া প্রভাব এবং রাখাইনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগের সঙ্গে একমত। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করাসহ মিয়ানমারের সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক অংশীদার, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট (আসিয়ান) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে তিনি তার বিশেষ দূতের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমি জাতিসংঘের বাংলাদেশ ও মিয়ানমারভিত্তিক কর্মী দলকে নির্দেশনা দেয়ার জন্য আমার সিনিয়র কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছি, যেন তারা রাখাইন সমপ্রদায়ের জন্য মানবিক ও জীবিকার সহায়তা আরও বাড়াতে পারে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, জাতিসংঘ এই ইস্যুতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করবে, যার মধ্যে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী ও মিয়ানমারের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর মাধ্যমে রাখাইনসহ সারা মিয়ানমারে নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গুতেরাঁ আশা প্রকাশ করেন যে, রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বিশ্বব্যাপী নতুন করে মনোযোগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য আরও বিস্তৃত সমাধান বের করতে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তম সমর্থন করতে পারে তা বোঝার জন্য সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শ অনুসরণ করে আমরা সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি। জাতিসংঘ মহাসচিব পুনরায় নিশ্চিত করেন যে, জাতিসংঘ বাংলাদেশকে দৃঢ় সংহতি জানাচ্ছে এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দায়িত্বরত বাংলাদেশের পেশাদার কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব মিস্টার গুতেরাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেন। যা ৭ই ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হস্তান্তর করেন। চিঠি লেখে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে এবং সাক্ষাৎ করে আমন্ত্রণপত্রটি হস্তান্তরের জন্য উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলকে ধন্যবাদ জানান মহাসচিব। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রথম এবং সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ।