০২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা উচিত: বরকত উল্লাহ বুলু কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে লালমনিরহাটের গ্রাম—হেমন্তের আগমনী বার্তা ঢাকা বাজারে সূচক বৃদ্ধি, চট্টগ্রামে পতন দুর্নীতিমুক্ত ও প্রযুক্তিনির্ভর ভূমিসেবা নিশ্চিত করাই সরকারের অগ্রাধিকার – সালেহ আহমেদ মিরপুর অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর ৫০ লাখ টাকা খরচ, কিন্তু কালভার্ট নেই—চাঁদপুরে গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আরমানিটোলায় জুবায়ের হত্যা: এক কলেজছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ : সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগের তীর আলতাফ শাহনেওয়াজের দিকে বরিশালের হিজলায় ইলিশ অভিযানে হামলা—মৎস্য কর্মকর্তাসহ ১৫ জন আহত হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়লো কার্গো বিমান

মার্কো রুবিওর সাক্ষাৎকার: ইউক্রেন যুদ্ধ ও শান্তি আলোচনা

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৪০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • 52

সারাক্ষণ রিপোর্ট

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি এবিসি নিউজের ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার বিষয়ে কথা বলেছেন।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে যোগাযোগ

রুবিও জানান, শুক্রবারের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে তার সরাসরি যোগাযোগ হয়নি। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত দশ দিনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিশেষ দূতের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের শান্তি পরিকল্পনা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ইউক্রেনের জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে উপস্থাপন করা হবে। তবে, মার্কো রুবিও বলেছেন, তিনি এই পরিকল্পনার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবগত নন। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি আলোচনার জন্য রাশিয়াকে টেবিলে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকা

রুবিও বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি যিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনতে পারেন। যুদ্ধ তিন বছর ধরে চলছে এবং এটি একটি স্থবির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানো।

রাশিয়ার সাথে আলোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

রুবিওর মতে, রাশিয়ার সাথে তিন বছর ধরে কোনো আলোচনা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের লক্ষ্য হলো তাদের আলোচনার টেবিলে আনা। তিনি বলেন, “যদি কোনো আলোচনা না হয়, তাহলে বিকল্প কী? আর চার বছর ধরে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া? ইউক্রেনের জন্য আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাঠানো?”

তিনি উল্লেখ করেন, বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছেই ইউক্রেন যুদ্ধের একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। কেউ কেউ বলছেন, ইউক্রেনকে আরও এক বছর যুদ্ধ করতে দেওয়া উচিত, তারপর পুতিন হয়তো আলোচনায় বসতে রাজি হবেন। কিন্তু রুবিওর মতে, এটি কোনো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নয়।

রাশিয়ার প্রতিশ্রুতি ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল

যখন প্রশ্ন করা হয় যে পুতিন অতীতের চুক্তি ভঙ্গ করেছেন, তখন রুবিও বলেন, বিষয়টি অতীত নিয়ে নয়, বরং ভবিষ্যৎ কীভাবে গড়ে তোলা হবে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বীকার করেন যে, রাশিয়া বর্তমানে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে এবং তাদের অস্ত্র উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে রাশিয়ার দাবি কী এবং কী শর্তে তারা যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত।”

শান্তি আলোচনার শর্ত ও নিরাপত্তা গ্যারান্টি

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি না দেয়, তাহলে শান্তি আলোচনা সম্ভব নয়। রুবিও জানান, এই নিরাপত্তা গ্যারান্টি বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কেবল তখনই কার্যকর হবে যদি শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, “প্রথমে আমাদের জানতে হবে যে, শান্তি আদৌ সম্ভব কিনা।”

জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া ও ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল

রুবিও অভিযোগ করেন যে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কিছু মন্তব্য করে শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কৌশল ছিল পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনা এবং ইউক্রেনকে বোঝানো যে এটি একটি কৌশলগত প্রয়াস। কিন্তু জেলেনস্কি প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জ করেছেন।”

তিনি আরো বলেন, “যখন বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের উপর চাপ প্রয়োগ করেছিল যুদ্ধবিরতির জন্য, তখন তারা ইউক্রেনের বিষয়ে তেমন কিছু করেনি। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানো।”

সিনেটর লিসা মুরকোস্কির সমালোচনা

সিনেটর লিসা মুরকোস্কি ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে, যা গণতন্ত্র ও মার্কিন মূল্যবোধের জন্য হুমকিস্বরূপ।” রুবিও এই সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আমরা শুধু জানতে চাই যে রাশিয়া আলোচনায় বসতে রাজি কি না। আমরা তাদের কোনো সামরিক সহায়তা বা অর্থনৈতিক সুবিধা দিচ্ছি না।”

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রুবিও বলেন, “আমরা এমন একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছি যা যুদ্ধের অবসান চায়। এটি রাশিয়ার প্রতি সমর্থন নয় বরং শান্তির প্রতি একটি আহ্বান।” তিনি উল্লেখ করেন, এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিন বছরে গৃহীত প্রথম ইউক্রেন সম্পর্কিত প্রস্তাব, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে গৃহীত হয়েছে।

পরিশেষে

রুবিওর মতে, যুদ্ধ বন্ধ করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন, “আমরা জানি না আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমাধান সম্ভব কি না। কিন্তু যদি আলোচনার কোনো প্রচেষ্টা না থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে, যা আমাদের সবাইকে আরও বেশি ক্ষতির দিকে নিয়ে যাবে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তিনি এই যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য কাজ করে যাবেন।”

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা উচিত: বরকত উল্লাহ বুলু

মার্কো রুবিওর সাক্ষাৎকার: ইউক্রেন যুদ্ধ ও শান্তি আলোচনা

০৬:৪০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি এবিসি নিউজের ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার বিষয়ে কথা বলেছেন।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে যোগাযোগ

রুবিও জানান, শুক্রবারের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে তার সরাসরি যোগাযোগ হয়নি। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য কর্মকর্তারা তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত দশ দিনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিশেষ দূতের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের শান্তি পরিকল্পনা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ইউক্রেনের জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে উপস্থাপন করা হবে। তবে, মার্কো রুবিও বলেছেন, তিনি এই পরিকল্পনার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবগত নন। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি আলোচনার জন্য রাশিয়াকে টেবিলে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকা

রুবিও বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি যিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনতে পারেন। যুদ্ধ তিন বছর ধরে চলছে এবং এটি একটি স্থবির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছানো।

রাশিয়ার সাথে আলোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

রুবিওর মতে, রাশিয়ার সাথে তিন বছর ধরে কোনো আলোচনা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের লক্ষ্য হলো তাদের আলোচনার টেবিলে আনা। তিনি বলেন, “যদি কোনো আলোচনা না হয়, তাহলে বিকল্প কী? আর চার বছর ধরে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া? ইউক্রেনের জন্য আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাঠানো?”

তিনি উল্লেখ করেন, বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছেই ইউক্রেন যুদ্ধের একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। কেউ কেউ বলছেন, ইউক্রেনকে আরও এক বছর যুদ্ধ করতে দেওয়া উচিত, তারপর পুতিন হয়তো আলোচনায় বসতে রাজি হবেন। কিন্তু রুবিওর মতে, এটি কোনো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নয়।

রাশিয়ার প্রতিশ্রুতি ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল

যখন প্রশ্ন করা হয় যে পুতিন অতীতের চুক্তি ভঙ্গ করেছেন, তখন রুবিও বলেন, বিষয়টি অতীত নিয়ে নয়, বরং ভবিষ্যৎ কীভাবে গড়ে তোলা হবে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বীকার করেন যে, রাশিয়া বর্তমানে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে এবং তাদের অস্ত্র উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে রাশিয়ার দাবি কী এবং কী শর্তে তারা যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত।”

শান্তি আলোচনার শর্ত ও নিরাপত্তা গ্যারান্টি

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি না দেয়, তাহলে শান্তি আলোচনা সম্ভব নয়। রুবিও জানান, এই নিরাপত্তা গ্যারান্টি বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কেবল তখনই কার্যকর হবে যদি শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, “প্রথমে আমাদের জানতে হবে যে, শান্তি আদৌ সম্ভব কিনা।”

জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া ও ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল

রুবিও অভিযোগ করেন যে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কিছু মন্তব্য করে শান্তি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কৌশল ছিল পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনা এবং ইউক্রেনকে বোঝানো যে এটি একটি কৌশলগত প্রয়াস। কিন্তু জেলেনস্কি প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জ করেছেন।”

তিনি আরো বলেন, “যখন বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের উপর চাপ প্রয়োগ করেছিল যুদ্ধবিরতির জন্য, তখন তারা ইউক্রেনের বিষয়ে তেমন কিছু করেনি। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানো।”

সিনেটর লিসা মুরকোস্কির সমালোচনা

সিনেটর লিসা মুরকোস্কি ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে, যা গণতন্ত্র ও মার্কিন মূল্যবোধের জন্য হুমকিস্বরূপ।” রুবিও এই সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আমরা শুধু জানতে চাই যে রাশিয়া আলোচনায় বসতে রাজি কি না। আমরা তাদের কোনো সামরিক সহায়তা বা অর্থনৈতিক সুবিধা দিচ্ছি না।”

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রুবিও বলেন, “আমরা এমন একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছি যা যুদ্ধের অবসান চায়। এটি রাশিয়ার প্রতি সমর্থন নয় বরং শান্তির প্রতি একটি আহ্বান।” তিনি উল্লেখ করেন, এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিন বছরে গৃহীত প্রথম ইউক্রেন সম্পর্কিত প্রস্তাব, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে গৃহীত হয়েছে।

পরিশেষে

রুবিওর মতে, যুদ্ধ বন্ধ করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন, “আমরা জানি না আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমাধান সম্ভব কি না। কিন্তু যদি আলোচনার কোনো প্রচেষ্টা না থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে, যা আমাদের সবাইকে আরও বেশি ক্ষতির দিকে নিয়ে যাবে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তিনি এই যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য কাজ করে যাবেন।”