সারাক্ষণ ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন:
প্রতি ৮ই মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে দিল্লি হাইকোর্টে একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যা দিল্লি স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির উদ্যোগে আয়োজিত। - নারীর অধিকার ও অসমতার ইঙ্গিত:
এই দিবসটি নারীর অধিকারের অটুট প্রচেষ্টা ও বর্তমান সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য তুলে ধরার উদ্দেশ্যে পালন করা হয়।
বিচারপতির বক্তব্য
- লিঙ্গ সমতার বাস্তবতা:
সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি কে.ভি. বিশ্বনাথন জানান যে, ভারতের ক্ষেত্রে সত্যিকারের লিঙ্গ সমতা এখনও অর্জিত হয়নি। - অধিকারের অস্বাভাবিকতা:
দেশের নারী শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ মাত্র ৩৭%, যা বিশ্ব গড় ৪৭% এর তুলনায় অনেক কম। বিচারপতি আরও বলেন, পুরুষদের অনেক সুবিধা রয়েছে যা নারীদের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। - ব্যক্তিগত ও বৈবাহিক চ্যালেঞ্জ:
বৈবাহিক জীবনের বিভিন্ন জটিলতা অনেক নারীর কর্মজীবনে বাঁধা সৃষ্টি করছে, যদিও অনেকেই এই চ্যালেঞ্জগুলো পার করে এগিয়ে চলেছেন। - বাস্তবতার স্বীকারোক্তি:
বিচারপতি ব্যাখ্যা করেন যে, এটি কোনো সমস্যা নয়, বরং বাস্তবতা যা পুরুষদের প্রাপ্য সুবিধা নারীদের ক্ষেত্রে অনুপস্থিতির কারণে সৃষ্টি হয়েছে।
আলোচনা ও মন্তব্য
- সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন:
দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.কে. উপাধ্যায় লিঙ্গ বৈষম্যের অতীত ও বর্তমান পরিস্থিতি এবং সমাজের মানসিকতার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। - সম্মান ও অতিরিক্ত পূজার সীমা:
তাঁর মতে, নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো উচিত, তবে অতিরিক্ত পূজা বা অতি আদর প্রদর্শন এড়িয়ে চলতে হবে। - ব্যক্তিগত দায়িত্ব:
প্রতিটি সমাজ সদস্যের জন্য নিজের মানসিকতা পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি।
উপসংহার
- নারী দিবসের বার্তা:
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারী অধিকারের সংগ্রামের স্বীকৃতিতে পালিত হলেও, ভারতে প্রকৃত লিঙ্গ সমতা এখনো অর্জিত হয়নি। - অধিক প্রচেষ্টার আহ্বান:
নারী কর্মসংস্থানের নিম্ন হার ও পুরুষদের অতিরিক্ত সুবিধা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সুষ্ঠু সমতার জন্য আরও ব্যাপক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।