সারাক্ষণ রিপোর্ট
বর্তমান সময়ে তরুণীরা চলাচল সহ সার্বিক নিরাপত্তায় আগের থেকে অনেক ভীত। এমনকি দিনের বেলাতে চলাচলও তারা নিরাপদ মনে করছেন না। বিশেষ করে বদলে গেছে রাস্তা ও চলাচলের ক্ষেত্রে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ।
নারী শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ও মতামত
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফওজিয়া মানসী (ছদ্ম নাম):
- জুলাই আন্দোলনের সারাটা সময় আমি সামনের সারিতে ছিলাম। তখন দিন ও রাতে চলাচল করেছি। এখন রাস্তায় আমাদের প্রতি চাউনি বদলে গেছে। আগে টি শার্ট পরে বের হতাম।এখন শেলোয়ার কামিজ এবং ওড়না পরে বের হই, তাও দিনের বেলাতে ভয় পাই।
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফসিন বর্ণা:
- প্রতিদিন দেশের কোথাও ধর্ষণের খবর শুনে তিনি ভয়ানক অনিরাপদ বোধ করেন।
- ২০১৯ সাল থেকে চাকরি ও পড়াশোনার অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও আগে কখনো এত নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেননি।
- শুধুমাত্র রাতেই নয়, দিনের বেলাতেও তিনি নিজেকে বিপদে দেখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুর্শেদা :
- তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নারীর জীবনে যৌন নিপীড়ন এক অনিবার্য বাস্তবতা।
- গৃহস্থালির কাজ থেকে কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত, নারীরা নানা ধরণের শোষণের শিকার হচ্ছেন।
- তাঁর মতে, শুধু আইন প্রণয়নই নয়; কঠোর বাস্তবায়ন ও সামাজিক সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা আলী ও আরো দুজন :
- তাঁরা জানান, প্রতিনিয়ত ধর্ষণের খবর শুনে নারীদের জীবনে নিরাপত্তার অভাব আরও গভীর হচ্ছে।
- কর্মজীবী নারী, শিক্ষার্থী, গৃহবধূ কিংবা কন্যাশিশুরাও প্রতিনিয়ত ভয় ও শঙ্কার মধ্যে বাস করছে।
- সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব এবং অপরাধীদের শাস্তি না দেওয়া এই সমস্যাকে আরও তীব্র করে তুলছে।
শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী করিমুন্নাহার সুমু :
- তিনি প্রশ্ন তুলেন, কেন নারী দিবসে আলোচনার বিষয় হয়ে থাকে শুধুমাত্র নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সমানাধিকারের অভাব?
- তাঁর মনে হয়, কেবল আইন প্রয়োগ নয়, সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তনও অপরিহার্য।