০৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩) কলম্বিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ সাকিব ও মাশরাফি ছাড়া পারফরম্যান্স, শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের পর পথ কি? রাষ্ট্রে কখন ও কেন সংখ্যালঘুরা সংগঠিত ধর্ষণের শিকার হয় গ্রামীণ গর্ভবতী নারীদের আয়রন ঘাটতি: অর্ধেকের বেশি রক্তস্বল্পতায় আরব আমিরাত, মরুভূমি শহরে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মুরাদনগরে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণ: ‘এরপর সরকার ক্ষমতায় থাকার যোগ্য নয়’—জাপা চেয়ারম্যান ইরান ও পাকিস্তান থেকে আফগানদের গণনির্বাসনে উদ্বেগ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতের, প্রভাব কেমন হবে ইরানে চীনা বিনিয়োগ অনিশ্চিত, তবু মধ্যপ্রাচ্যের আহ্বান অটুট

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • 13

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

এই ১২ জনের মধ্যে ৬ জন ছিলেন কুজকোর আয়লু (Ayllu) থেকে এবং বাকি ৬ জনকে নেওয়া হত হরিন (Hurin) থেকে। এই ১২ জন বিচারককে সাহায্য করার জন্য। থাকত দু’জন সহকারী। এই দুজনের প্রধান দায়িত্ব ছিল আইনের গ্রন্থ বা কিপা (Dusa) সংরক্ষণ করা। এই সহপাঠীর পদটি সাধারণভাবে বংশানুক্রমিক পদ্ধতিতে সযুক্ত হত।

ডেসিমাল ব্যবস্থা অনুযায়ী সামাজিকভাবে উউঁচু শ্রেণিতে বা পদে আসীন কর্মচারীকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হত। স্থানীয় স্তরে ছোট ছোট বা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর নীচের দিকে কম ক্ষমতাসম্পন্ন সরকারি আমলারা সিদ্ধান্ত নিত।

বাজাজরের ফৌজদারী কেসে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা ছিল গভর্নরদের হাতে। গভর্ণরের নীচে আধিকারিকগণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর অনুমতি ছাড়া মৃত্যু দণ্ডাদেশ দিতে পারেন না। তবে এর থেকে একথা বলা যায় না যে ইনকারা তাদের প্রথা ভিত্তিক আইন পরিবর্তন করার কথা ভাবছে। ইনকাদের জীবনযাত্রা এবং সমাজ জীবন পরস্পর পরস্পরকে প্রভাবিত করেছে।

দৈনন্দিন জীবনের সকাল শুরু হয় বাড়ির গৃহস্থালি কাজ দিয়ে। এই কাজ প্রধানত করে ঘরের বউ এবং মেয়েরা। সকালবেলায় বাড়ির পুরুষ সদস্য এবং গৃহকর্তা চলে যায় বন বা খেত খামারে। এখানে চিরসবুজ (Rainforest) বনে জন্মায় নানা রকমের বন্য গাছ।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৩)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৩)

 

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৩)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৪)

০৭:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

এই ১২ জনের মধ্যে ৬ জন ছিলেন কুজকোর আয়লু (Ayllu) থেকে এবং বাকি ৬ জনকে নেওয়া হত হরিন (Hurin) থেকে। এই ১২ জন বিচারককে সাহায্য করার জন্য। থাকত দু’জন সহকারী। এই দুজনের প্রধান দায়িত্ব ছিল আইনের গ্রন্থ বা কিপা (Dusa) সংরক্ষণ করা। এই সহপাঠীর পদটি সাধারণভাবে বংশানুক্রমিক পদ্ধতিতে সযুক্ত হত।

ডেসিমাল ব্যবস্থা অনুযায়ী সামাজিকভাবে উউঁচু শ্রেণিতে বা পদে আসীন কর্মচারীকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হত। স্থানীয় স্তরে ছোট ছোট বা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর নীচের দিকে কম ক্ষমতাসম্পন্ন সরকারি আমলারা সিদ্ধান্ত নিত।

বাজাজরের ফৌজদারী কেসে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা ছিল গভর্নরদের হাতে। গভর্ণরের নীচে আধিকারিকগণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর অনুমতি ছাড়া মৃত্যু দণ্ডাদেশ দিতে পারেন না। তবে এর থেকে একথা বলা যায় না যে ইনকারা তাদের প্রথা ভিত্তিক আইন পরিবর্তন করার কথা ভাবছে। ইনকাদের জীবনযাত্রা এবং সমাজ জীবন পরস্পর পরস্পরকে প্রভাবিত করেছে।

দৈনন্দিন জীবনের সকাল শুরু হয় বাড়ির গৃহস্থালি কাজ দিয়ে। এই কাজ প্রধানত করে ঘরের বউ এবং মেয়েরা। সকালবেলায় বাড়ির পুরুষ সদস্য এবং গৃহকর্তা চলে যায় বন বা খেত খামারে। এখানে চিরসবুজ (Rainforest) বনে জন্মায় নানা রকমের বন্য গাছ।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৩)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৩)