০২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
মৃত্যুর হিসাব এখনো চলছে: টাইফুন ‘টিনো’-র তাণ্ডব পেঁয়াজের দাম: দশ দিনেই দ্বিগুণ বাড়ার কারণ কী? আলাস্কায় টাইফুনে বিধ্বস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষায় মরিয়া চেষ্টা এআই যুগে নতুন প্রেমের খোঁজ: ডেটিং অ্যাপের রূপান্তর খারাপ রাষ্ট্রে ভালো নাগরিক হওয়ার সাহস: নৈতিক দায়িত্ব ও বিবেকের লড়াই মধ্যবয়সী নারীর শরীর ও মনকে ঘিরে নতুন ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য: ‘বিগ ওয়েলনেস’-এর উত্থান নাৎসি দখলের বিরুদ্ধে সাহসী ডাচ ইহুদির প্রতিরোধ সংগ্রাম: মৃত্যুর ছায়া পেরিয়ে মানবতার জয়গান 💊 ফাইজারের বিক্রি ও মুনাফায় ধস: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চাহিদা কমে বড় ধাক্কা সপ্তদশ শতাব্দীর ডাচ পুতুলবাড়ি: এক ক্ষুদ্র জগতের বিলাসী প্রাসাদ নিখোঁজ সন্তান ও উদ্বিগ্ন মা: ‘অল হার ফল্ট’-এর গল্পে আধুনিক মাতৃত্ব ও অপরাধের জটিলতা

ইসরায়েলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নকরণ গাজার পানি সংকট আরও তীব্র করেছে

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • 53

ইসরায়েলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নকরণ গাজার পানি সংকট আরও তীব্র করেছে

আনাদোলু এজেন্সি,

ইসরায়েল সম্প্রতি গাজা উপত্যকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অঞ্চলটির চলমান পানি সংকটকে আরও তীব্র করেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে গাজার প্রধান লবণাক্ত পানি শোধনাগার বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ ৭০% কমে গেছে।

এছাড়া, দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের ১৯টি পানি কূপের মধ্যে ৮টি ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি স্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। তারা সতর্ক করেছেন যে এটি এক গভীর মানবিক সংকটের দিকে যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো যখন ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তাও বন্ধ করে দিয়েছে, যদিও যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছে। এসব পদক্ষেপ গাজাবাসীদের জীবনযাত্রাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে, যেখানে তারা ইতোমধ্যে সীমিত পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত বিদ্যুৎ ও মানবিক সহায়তা পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকানো যায়। চলমান অবরোধ ও সাম্প্রতিক উত্তেজনা দেখিয়ে দিচ্ছে যে, এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান এখন জরুরি, যাতে গাজার বেসামরিক জনগণের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়।

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে গ্রেপ্তার, আইসিসির ওয়ারেন্ট কার্যকর

দ্য গার্ডিয়ান,

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার শাসনামলে মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় দুতের্তের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে হাজারো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাকে ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়, যেখানে তিনি হংকং থেকে ফিরে আসছিলেন।

ফিলিপাইনের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার কার্যকর করে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই গ্রেপ্তারকে বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে এবং মাদকযুদ্ধের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে।

আইসিসি ২০২১ সালে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে এবং প্রমাণ সংগ্রহ করে যে দুতের্তের নীতিগুলো সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ উৎসাহিত করেছিল। দুতের্তে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তার পদক্ষেপগুলো আইনের আওতার মধ্যে ছিল এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।

তার আইনজীবীরা আইসিসির এখতিয়ারের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন, কারণ ফিলিপাইন ২০১৯ সালে রোম সংবিধি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছিল। তবে আইসিসি বলেছে, দেশটি যখন সদস্য ছিল, সেই সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য তারা বিচার করতে পারে।

দুতের্তের গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে, যা সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে সহায়ক হবে।

চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্ক বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকট আরও ঘনীভূত করছে

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস,

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তখন এর প্রতিক্রিয়ায় চীন আমেরিকার বিভিন্ন পণ্যের ওপর ১৫% পর্যন্ত প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে তুলা, মুরগির মাংস, ভুট্টা ও সয়াবিন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনার এই বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী বাজার ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কারণ চীন আমেরিকার অন্যতম প্রধান সয়াবিন আমদানিকারক দেশ। দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য বিরোধ বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে পারে, ভোক্তা মূল্যবৃদ্ধি ঘটাতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।

উভয় দেশই এখন চাপের মুখে রয়েছে, যেখানে বাণিজ্য উত্তেজনা কমিয়ে আনার জন্য নতুন আলোচনার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় পক্ষ যদি দ্রুত সমাধানে না আসে, তাহলে বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নাসা কর্মী সংকোচনের মুখে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের প্রভাব

হিন্দুস্তান টাইমস,

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা ব্যাপক কর্মী সংকোচনের মুখে পড়েছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন যা ফেডারেল সংস্থাগুলোর পুনর্গঠনকে বাধ্যতামূলক করে।

নাসা বেশ কিছু বিভাগ বন্ধ করার পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে, যা মহাকাশ গবেষণা ও অনুসন্ধানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জ্যানেট পেট্রো কর্মীদের পাঠানো এক ইমেইলে বলেছেন, এই পরিবর্তনগুলো কঠিন হলেও সংস্থাকে নতুন নির্দেশনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে, যাতে প্রধান গবেষণা লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখা যায়।

সরকারি ব্যয় কমানো ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করাই এই পুনর্গঠনের লক্ষ্য, তবে সমালোচকরা বলছেন, এটি মহাকাশ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে দুর্বল করে দিতে পারে।

নাসার ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো—যেমন চাঁদে ও মঙ্গলে অভিযানের পরিকল্পনা—এই সংকোচনের ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সংস্থাটি এখন এই নতুন পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে লড়াই করছে।

ফিলিস্তিনপন্থী কর্মী মাহমুদ খলিলের গ্রেপ্তার আইনি লড়াইয়ের দিকে গড়াচ্ছে

দ্য গার্ডিয়ান,

নিউইয়র্কের এক বিচারক ফিলিস্তিনপন্থী কর্মী মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত করার আদেশ আটকে দিয়েছেন।

খলিল মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন, যদিও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা।

তার গ্রেপ্তার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের পর ঘটেছে, যা ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের টার্গেট করছে। এই আদেশ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

খলিলের সমর্থকরা বলছেন, তার কর্মকাণ্ড মার্কিন সংবিধানে প্রদত্ত অধিকারসমূহের আওতাভুক্ত। অন্যদিকে, বিরোধীরা জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে তার গ্রেপ্তার সমর্থন করছে।

এই মামলা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি ও নিরাপত্তা বনাম ব্যক্তি অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিতর্ককে সামনে নিয়ে এসেছে। এই আইনি লড়াইয়ের ফলাফল ভবিষ্যতে আরও অনেক ক্ষেত্রে নজির স্থাপন করতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর হিসাব এখনো চলছে: টাইফুন ‘টিনো’-র তাণ্ডব

ইসরায়েলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নকরণ গাজার পানি সংকট আরও তীব্র করেছে

০৪:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

ইসরায়েলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নকরণ গাজার পানি সংকট আরও তীব্র করেছে

আনাদোলু এজেন্সি,

ইসরায়েল সম্প্রতি গাজা উপত্যকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অঞ্চলটির চলমান পানি সংকটকে আরও তীব্র করেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে গাজার প্রধান লবণাক্ত পানি শোধনাগার বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ ৭০% কমে গেছে।

এছাড়া, দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের ১৯টি পানি কূপের মধ্যে ৮টি ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি স্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। তারা সতর্ক করেছেন যে এটি এক গভীর মানবিক সংকটের দিকে যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো যখন ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তাও বন্ধ করে দিয়েছে, যদিও যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছে। এসব পদক্ষেপ গাজাবাসীদের জীবনযাত্রাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে, যেখানে তারা ইতোমধ্যে সীমিত পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত বিদ্যুৎ ও মানবিক সহায়তা পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকানো যায়। চলমান অবরোধ ও সাম্প্রতিক উত্তেজনা দেখিয়ে দিচ্ছে যে, এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান এখন জরুরি, যাতে গাজার বেসামরিক জনগণের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়।

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে গ্রেপ্তার, আইসিসির ওয়ারেন্ট কার্যকর

দ্য গার্ডিয়ান,

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার শাসনামলে মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় দুতের্তের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে হাজারো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাকে ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়, যেখানে তিনি হংকং থেকে ফিরে আসছিলেন।

ফিলিপাইনের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় গ্রেপ্তার কার্যকর করে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই গ্রেপ্তারকে বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে এবং মাদকযুদ্ধের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে।

আইসিসি ২০২১ সালে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে এবং প্রমাণ সংগ্রহ করে যে দুতের্তের নীতিগুলো সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ উৎসাহিত করেছিল। দুতের্তে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তার পদক্ষেপগুলো আইনের আওতার মধ্যে ছিল এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।

তার আইনজীবীরা আইসিসির এখতিয়ারের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন, কারণ ফিলিপাইন ২০১৯ সালে রোম সংবিধি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছিল। তবে আইসিসি বলেছে, দেশটি যখন সদস্য ছিল, সেই সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য তারা বিচার করতে পারে।

দুতের্তের গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে, যা সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে সহায়ক হবে।

চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্ক বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকট আরও ঘনীভূত করছে

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস,

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তখন এর প্রতিক্রিয়ায় চীন আমেরিকার বিভিন্ন পণ্যের ওপর ১৫% পর্যন্ত প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে তুলা, মুরগির মাংস, ভুট্টা ও সয়াবিন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনার এই বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী বাজার ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কারণ চীন আমেরিকার অন্যতম প্রধান সয়াবিন আমদানিকারক দেশ। দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য বিরোধ বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে পারে, ভোক্তা মূল্যবৃদ্ধি ঘটাতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।

উভয় দেশই এখন চাপের মুখে রয়েছে, যেখানে বাণিজ্য উত্তেজনা কমিয়ে আনার জন্য নতুন আলোচনার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় পক্ষ যদি দ্রুত সমাধানে না আসে, তাহলে বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নাসা কর্মী সংকোচনের মুখে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের প্রভাব

হিন্দুস্তান টাইমস,

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা ব্যাপক কর্মী সংকোচনের মুখে পড়েছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন যা ফেডারেল সংস্থাগুলোর পুনর্গঠনকে বাধ্যতামূলক করে।

নাসা বেশ কিছু বিভাগ বন্ধ করার পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে, যা মহাকাশ গবেষণা ও অনুসন্ধানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জ্যানেট পেট্রো কর্মীদের পাঠানো এক ইমেইলে বলেছেন, এই পরিবর্তনগুলো কঠিন হলেও সংস্থাকে নতুন নির্দেশনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে, যাতে প্রধান গবেষণা লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখা যায়।

সরকারি ব্যয় কমানো ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করাই এই পুনর্গঠনের লক্ষ্য, তবে সমালোচকরা বলছেন, এটি মহাকাশ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে দুর্বল করে দিতে পারে।

নাসার ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো—যেমন চাঁদে ও মঙ্গলে অভিযানের পরিকল্পনা—এই সংকোচনের ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সংস্থাটি এখন এই নতুন পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে লড়াই করছে।

ফিলিস্তিনপন্থী কর্মী মাহমুদ খলিলের গ্রেপ্তার আইনি লড়াইয়ের দিকে গড়াচ্ছে

দ্য গার্ডিয়ান,

নিউইয়র্কের এক বিচারক ফিলিস্তিনপন্থী কর্মী মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত করার আদেশ আটকে দিয়েছেন।

খলিল মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন, যদিও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা।

তার গ্রেপ্তার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের পর ঘটেছে, যা ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের টার্গেট করছে। এই আদেশ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

খলিলের সমর্থকরা বলছেন, তার কর্মকাণ্ড মার্কিন সংবিধানে প্রদত্ত অধিকারসমূহের আওতাভুক্ত। অন্যদিকে, বিরোধীরা জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে তার গ্রেপ্তার সমর্থন করছে।

এই মামলা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি ও নিরাপত্তা বনাম ব্যক্তি অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিতর্ককে সামনে নিয়ে এসেছে। এই আইনি লড়াইয়ের ফলাফল ভবিষ্যতে আরও অনেক ক্ষেত্রে নজির স্থাপন করতে পারে।