সারাক্ষণ ডেস্ক
বেন অ্যাফ্লেক নিশ্চিত করতে চান যে তার সন্তানরা টাকার মূল্য বুঝবে। সম্প্রতি, যখন তার ১৩ বছর বয়সী ছেলে স্যামুয়েল ৬,০০০ ডলারের ডিওর এয়ার জর্ডান ১ স্নিকার্স কিনতে চেয়েছিল, তখন হলিউড তারকা তাকে সরাসরি জানিয়ে দিলেন, “আমার টাকা আছে—তুমি ফকির।” তিনি ছেলের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে তাকে আর্থিক বাস্তবতার পাঠ দিলেন।
আর্থিক দায়িত্ববোধ শেখানোর উদ্যোগ
অস্কারজয়ী অভিনেতা ও পরিচালক অ্যাফ্লেক এমন এক দলে যোগ দিলেন যারা নিশ্চিত করতে চান যে তাদের সন্তানরা অর্থের মূল্য বোঝে। একটি স্নিকার কনভেনশনে গিয়ে তিনি মজার ছলেই তার ছেলেকে মনে করিয়ে দেন যে টাকা উপার্জন সহজ নয়। তিনি বলেন, “এত টাকা জোগাড় করতে হলে অনেক ঘাস কাটতে হবে।”
ধনীদের উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে ভাবনা
অ্যাফ্লেকের এই অবস্থান নতুন কিছু নয়। তার মতোই ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই তাদের সন্তানদের আর্থিকভাবে নির্ভরশীল না করে আত্মনির্ভরশীল করতে চান। শাকিল ও’নিল, ওয়ারেন বাফেট ও জেরি সাইনফেল্ডও একই বার্তা দিয়েছেন। বাফেট একবার বলেছিলেন, ধনী বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের এতটুকু অর্থ রাখা যাতে তারা জীবনে যেকোনো কিছু করতে পারে, তবে এতটাও না যে তারা কিছুই না করেও জীবন চালাতে পারে।
পুরনো কিন্তু সময়োপযোগী শিক্ষা
এই দৃষ্টিভঙ্গি বহুদিন ধরেই প্রচলিত। দ্য কসবি শো থেকে শুরু করে ক্রিস টাকার ও জেরি সাইনফেল্ডের কৌতুক পর্যন্ত, বারবারই উঠে এসেছে যে পরিবারে যে ব্যক্তি উপার্জন করেন, একমাত্র সেই ব্যক্তিরই সম্পদের ওপর মালিকানা থাকে। সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য টাকা রেখে গেলেও তাদের কর্মঠ হতে শেখানো দরকার। অ্যাফ্লেক তার ছেলেকে যে শিক্ষা দিয়েছেন, তা কতটা কার্যকর হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে তিনি নিশ্চিত করছেন যে তার সন্তানেরা অর্থের প্রকৃত মূল্য বোঝে এবং অযথা খরচ না করে দায়িত্ববান হয়ে ওঠে।
Leave a Reply