মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

জোড়াতালি দিয়ে চলছে স্থানীয় সরকার

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৯.২৫ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “এলএনজি কিনতে ৪ হাজার ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের”

বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সংকটে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। তাই আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) এলএনজি কিনতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঋণ নিচ্ছে সরকার। ৩৫ কোটি ডলার বা ৪ হাজার ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঋণ দিতে আগ্রহী ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে আগ্রহপত্র আহ্বান করে শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্রে ঋণ নেওয়ার তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় ঋণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে গ্যারান্টার (নিশ্চয়তাদানকারী) হিসেবে থাকবে বিশ্বব্যাংক। আগ্রহী ব্যাংকগুলোর প্রস্তাব নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে জ্বালানি বিভাগ।

দেশে গ্যাসের উৎপাদন টানা কমছে। এ কারণে এলএনজি আমদানি বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু ডলারের সংকট থাকায় আমদানি বিল নিয়মিত পরিশোধ করা যাচ্ছে না। দেশে সর্বোচ্চ গ্যাস উৎপাদনকারী মার্কিন কোম্পানি শেভরনের বিল বকেয়া ১৫ কোটি ডলারের বেশি। এলএনজি বিল বকেয়া এখনো ২০ কোটি ডলারের বেশি। বিল বকেয়া বাড়তে থাকায় এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী হচ্ছে না বিদেশি কোম্পানি। ঋণসহায়তা পেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে মনে করছেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা।

দেশে একসময় দিনে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হতো। ২০১৮ সালের পর থেকে উৎপাদন কমতে থাকে। ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানির দিকে ঝুঁকে যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোয় তেমন জোর দেয়নি তারা। গত বছরও দিনে গ্যাস উৎপাদিত হতো ২০০–২১০ কোটি ঘনফুট। উৎপাদন কমে এখন ১৯০ কোটি ঘনফুটের নিচে নেমে এসেছে। আর আমদানি করা এলএনজি থেকে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ৯৫ কোটি ঘনফুট।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”১১শ মামলা, চার্জশিট একটিতে লক্ষাধিক আসামি, গ্রেপ্তার ১০ হাজার”

জুলাই-আগস্ট আন্দোলন পরবর্তী সারা দেশে প্রায় ১ হাজার ১০০ মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলা ভাঙচুর, মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভয়ভীতি প্রদর্শন, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে দায়ের করা এসব মামলায় লক্ষাধিক আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২ লাখ। মামলা দায়েরের সাত মাস পর্যন্ত সারা দেশে আনুমানিক ১০ হাজার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৫০০ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রিমান্ড শেষে মাত্র একটি মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা একটি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর গত ৯ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় জাতীয়তাবাদী ঘাট শ্রমিক দল ইউনিয়নের (রেজি নং-৩৮০৮) সভাপতি মনির হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মারধর, চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা করেন। কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন জুয়েল মামলাটি তদন্ত করেন। ছয় মাস ধরে তদন্ত শেষে গত ১৩ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

গতকাল এ ব্যাপারে চার্জশিট দাখিলকারী তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহিউদ্দিন জুয়েল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২৯ জনের বিরুদ্ধে বাদীর আনিত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সেই অনুযায়ী আমি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পারফিউম ব্যবসার আড়ালে দেশের সবচেয়ে বড় হুন্ডি তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছে এনবিআর”

দেশে পারফিউম ব্যবসার আড়ালে সবচেয়ে বড় হুন্ডি তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) অনুসন্ধান চালিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য পেয়েছে। হুন্ডি কারবারে অভিযুক্ত কোম্পানিটির নাম আল হারামাইন পারফিউমস। কোম্পানির মালিক সিলেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এ ব্যবসায়ী এখন গোল্ডেন ভিসার আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বসবাস করছেন।

এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের তথ্য অনুযায়ী, মাহতাবুর রহমান নাসিরের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বর্তমানে বিশ্বের ৮৬টি দেশে বিস্তৃত। বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুম রয়েছে। অন্যান্য দেশে তার দৃশ্যমান ব্যবসা মূলত আমদানি-রফতানির। যদিও অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, মাহতাবুর রহমান নাসিরের পুরো ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কই হুন্ডি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পারফিউম বা আমদানি-রফতানি ব্যবসার আড়ালে তার প্রধান ব্যবসা মূলত এক দেশের অর্থ অন্য দেশে পাচার করা।

এ ব্যবসায়ীর সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য অনুসন্ধানে সম্প্রতি সিআইসির একটি দল ইউএই যায়। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। পাশাপাশি অন্য যেসব দেশে তার সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর তথ্য চেয়েও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দেশে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদের বিষয়েও অনুসন্ধান চালিয়েছে সিআইসি। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিলেটে মাহতাবুর রহমানের বাড়িতে দুই দফায় তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাড়ি থেকে ১০৪টি সম্পত্তির দলিলসহ অন্যান্য নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “জোড়াতালি দিয়ে চলছে স্থানীয় সরকার”

স্থানীয় সরকারের ব্যবস্থা চলছে জোড়াতালি দিয়ে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় প্রশাসক থাকলেও ওয়ার্ড পর্যায়ে শক্তিশালী প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় সেবা কার্যক্রমে ঢিলেঢালাভাব বিরাজ করছে। মূলত কাউন্সিলররাই ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মেয়রদের পাশাপাশি কাউন্সিলরদের অপসারণ করায় অনেকটা স্থবির হয়ে পরে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে অনেক দলের আপত্তি থাকায় আপাতত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আশা নেই। এই অবস্থায় ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রশাসক নিয়োগের আলোচনাও আছে। কিন্তু গত দু’দিন থেকে ঢাকায় ওয়ার্ড প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে- এমন আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রশাসক নিয়োগে গোপনে সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে এমন তথ্যও দিয়েছেন কেউ কেউ। যদিও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এমন কিছু জানেন না বলে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন।

এদিকে, ইউনিয়ন পরিষদের কিছু ইউনিয়নে চেয়ারম্যান থাকলেও যেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পালিয়েছেন সেখানে কোনো রকম সামাল দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা। ফলে সেখানেও স্বাভাবিক কার্যক্রমেও বিঘ্ন ঘটছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় তারা সাময়িক সামাল দিচ্ছেন পরিস্থিতি। কিন্তু যথাযথ সেবা নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া সম্ভব নয় বলে তারা মনে করেন।

গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মেয়রদের পাশাপাশি কাউন্সিলরদের অপসারণ করায় অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। বিশেষ করে বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরকেন্দ্রিক সেবা কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। মেয়র কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024