১২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৫:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • 69

প্রদীপ কুমার মজুমদার

বৌদ্ধ সাহিত্যে মুদ্রা, গণনা এবং সংখ্যায়ন এই তিন ধরণের গণিতের উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। মুদ্রা হচ্ছে আঙ্গুলের সাহায্যে গণনা করা, গণনা হচ্ছে আঙ্গুলের সাহায্য ব্যতিরেকে গণনা করা এবং সংখ্যায়ন হচ্ছে উচ্চতর গণিত।

সাধারণত এইগুলি দীঘনিকায়, বিনয়পিটক, দিব্যাধান ও মিলিন্দাপানহোতে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে অবশ্য প্রথমদিকে এই তিন ধরণের গণিতের ভাগ দেখতে পাওয়া যায় না। হাতিগুম্ফাতে লেখা ও রূপের সাহায্যে গণনার কথা উল্লিখিত আছে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে সংখ্যায়নের কথা বলা হয়েছে।

অমরকোষে গণিত ও সংখ্যায়ন পাশাপাশি উল্লেখিত আছে। যাই হোক সমস্ত কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পণ্ডিতেরা মনে করেন পাটীগণিত শব্দটি অসংস্কৃত সাহিত্য থেকে উদ্ভুত এবং সপ্তম শতাব্দীতে এটি সংস্কৃত সাহিত্যে অনুপ্রবেশ করে।

পাটী শব্দটি আরবীয় গণিত শাস্ত্রে প্রভাব বিস্তার করে এবং সেখানেও এ্যাবাকাসের প্রচলন ছিল সে কথা পণ্ডিতেরা বলে থাকেন। সুতরাং আরবীয় এ্যাবাকাস এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে এখানে কিছু বলা প্রয়োজন।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৪)

জনপ্রিয় সংবাদ

নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন”

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৫)

০৩:১৫:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

বৌদ্ধ সাহিত্যে মুদ্রা, গণনা এবং সংখ্যায়ন এই তিন ধরণের গণিতের উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। মুদ্রা হচ্ছে আঙ্গুলের সাহায্যে গণনা করা, গণনা হচ্ছে আঙ্গুলের সাহায্য ব্যতিরেকে গণনা করা এবং সংখ্যায়ন হচ্ছে উচ্চতর গণিত।

সাধারণত এইগুলি দীঘনিকায়, বিনয়পিটক, দিব্যাধান ও মিলিন্দাপানহোতে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে অবশ্য প্রথমদিকে এই তিন ধরণের গণিতের ভাগ দেখতে পাওয়া যায় না। হাতিগুম্ফাতে লেখা ও রূপের সাহায্যে গণনার কথা উল্লিখিত আছে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে সংখ্যায়নের কথা বলা হয়েছে।

অমরকোষে গণিত ও সংখ্যায়ন পাশাপাশি উল্লেখিত আছে। যাই হোক সমস্ত কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পণ্ডিতেরা মনে করেন পাটীগণিত শব্দটি অসংস্কৃত সাহিত্য থেকে উদ্ভুত এবং সপ্তম শতাব্দীতে এটি সংস্কৃত সাহিত্যে অনুপ্রবেশ করে।

পাটী শব্দটি আরবীয় গণিত শাস্ত্রে প্রভাব বিস্তার করে এবং সেখানেও এ্যাবাকাসের প্রচলন ছিল সে কথা পণ্ডিতেরা বলে থাকেন। সুতরাং আরবীয় এ্যাবাকাস এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে এখানে কিছু বলা প্রয়োজন।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১২৪)