প্রদীপ কুমার মজুমদার
বৌদ্ধ সাহিত্যে মুদ্রা, গণনা এবং সংখ্যায়ন এই তিন ধরণের গণিতের উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। মুদ্রা হচ্ছে আঙ্গুলের সাহায্যে গণনা করা, গণনা হচ্ছে আঙ্গুলের সাহায্য ব্যতিরেকে গণনা করা এবং সংখ্যায়ন হচ্ছে উচ্চতর গণিত।
সাধারণত এইগুলি দীঘনিকায়, বিনয়পিটক, দিব্যাধান ও মিলিন্দাপানহোতে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে অবশ্য প্রথমদিকে এই তিন ধরণের গণিতের ভাগ দেখতে পাওয়া যায় না। হাতিগুম্ফাতে লেখা ও রূপের সাহায্যে গণনার কথা উল্লিখিত আছে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে সংখ্যায়নের কথা বলা হয়েছে।
অমরকোষে গণিত ও সংখ্যায়ন পাশাপাশি উল্লেখিত আছে। যাই হোক সমস্ত কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পণ্ডিতেরা মনে করেন পাটীগণিত শব্দটি অসংস্কৃত সাহিত্য থেকে উদ্ভুত এবং সপ্তম শতাব্দীতে এটি সংস্কৃত সাহিত্যে অনুপ্রবেশ করে।
পাটী শব্দটি আরবীয় গণিত শাস্ত্রে প্রভাব বিস্তার করে এবং সেখানেও এ্যাবাকাসের প্রচলন ছিল সে কথা পণ্ডিতেরা বলে থাকেন। সুতরাং আরবীয় এ্যাবাকাস এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে এখানে কিছু বলা প্রয়োজন।
(চলবে)
Leave a Reply