১২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মিয়ানমারের কালোবাজারি যুদ্ধ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করছে ফেড সুদের হার কমাল, আরও কমানোর ইঙ্গিত; নতুন গভর্নর মিরানের ভিন্ন মত এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মামলা বোয়িং ও হানিওয়েলের বিরুদ্ধে “ভারতের আরবান কোম্পানির শেয়ার বাজারে অভিষেক: প্রথম দিনেই ৭৪% উল্লম্ফন, বাজারমূল্য ছুঁল ৩ বিলিয়ন ডলার” ভারতের চালের মজুত সর্বকালের সর্বোচ্চ, গমেও চার বছরের রেকর্ড ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত: এই সপ্তাহান্তে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি জাপান ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে না যে সাক্ষাৎকারটি নেয়নি মোদির উত্তরসূরি নিয়ে জল্পনা সত্ত্বেও ক্ষমতায় দৃঢ় অবস্থান নেপালের নতুন ক্ষমতার সমীকরণে ভারত-চীনের শঙ্কা

খাবারের নামে বিষ খাচ্ছি কিনা দেখতে হবে

  • Sarakhon Report
  • ১২:০০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • 99

সারাক্ষণ রিপোর্ট

  • সভার লক্ষ্য:
    মোড়কজাত খাদ্যের ফ্রন্ট প্যাকেটে লেবেলিং নিশ্চিত করা, যাতে খাদ্যে অতিরিক্ত চিনি, লবন, ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ সহজে শনাক্ত করা যায়। এই পদক্ষেপটি অসংক্রামক রোগ – যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যান্সার – প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
  • অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত প্রেক্ষাপট:
    এসডিজি-র লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে, সরকার খাদ্যের উপাদান প্রদর্শনের বিষয়ে নতুন নীতিমালা গ্রহণ করেছে।

সভার মূল আলোচনা ও সিদ্ধান্ত

  • ফ্রন্ট-প্যাক লেবেলিং:
    খাদ্যের মোড়কে স্পষ্টভাবে চিনি, লবন, ট্রান্সফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ উল্লেখ করা অত্যন্ত জরুরি। এতে অক্ষরশ্রেণীভুক্ত ক্রেতরাও সহজে ক্ষতিকর উপাদান চিনতে পারবেন।
  • আইনি ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা:
    খাদ্যের উপাদান নির্ধারণ, অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন কর্তৃপক্ষ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখবে তা সুস্পষ্ট করতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বিধিমালা কার্যকর করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ও অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য

  • প্রধান অতিথির বক্তব্য:
    বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যানসেলর, অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন,

“খাবারের নামে বিষ কিনে খাচ্ছি কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।”
তিনি সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের গুরুত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।

  • অন্যান্য বক্তব্য:
    • গবেষণা ও বিজ্ঞাপন:
      সেন্টার ফর ল’ এন্ড পলিসি এফেয়ার্স-এর গবেষণায় দেখা যায় অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় ও চিপসে কোন স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই, বরং প্রচারমূলক বিভিন্ন শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে।
    • সরকারি পদক্ষেপ:
      স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ডা. শিব্বির আহমেদ ওসমানী জানান, মোড়কজাত খাদ্যে উপাদানের তথ্য যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে।
    • নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগ:
      নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সোয়েব ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য আইন শক্তিশালী হলেও অনেক ব্যবসায়ী বিধিমালা মেনে চলছে না।
    • সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান:
      জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বলেন, নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।

উপসংহার ও পরবর্তী পদক্ষেপ

  • নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ:
    দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্ব আবারো তুলে ধরা হয়েছে।
  • সমন্বিত প্রয়াস:
    বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মিলিতভাবে সুপারিশ করেছেন যে, খাদ্য মান নিয়ন্ত্রণ ও মোড়কজাত খাদ্যের লেবেলিং বাস্তবায়নে সুষ্ঠু সমন্বয় ও নিয়মিত মনিটরিং অপরিহার্য।

অংশগ্রহণকারী সংস্থাসমূহ

সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন:

  • বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
  • সেন্টার ফর ল’ এন্ড পলিসি এফেয়ার্স (সিএলপিএ)
  • স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
  • নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
  • গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসী ইনকিউভেটর
  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর
  • পাবলিক হেলথ ল ইয়ার্স নেটওয়ার্ক
  • বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সাইন্স
  • ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন
  • কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ
  • পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • পাবলিক হেলথ নিউজ ২৪
  • ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট
  • ভাইটার স্ট্রাটেজিস, সিয়াম, ডাস, পদ্মা, গ্রাম বাংলা, মৌমাছি, এবং কসমস

 

মিয়ানমারের কালোবাজারি যুদ্ধ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করছে

খাবারের নামে বিষ খাচ্ছি কিনা দেখতে হবে

১২:০০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

  • সভার লক্ষ্য:
    মোড়কজাত খাদ্যের ফ্রন্ট প্যাকেটে লেবেলিং নিশ্চিত করা, যাতে খাদ্যে অতিরিক্ত চিনি, লবন, ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ সহজে শনাক্ত করা যায়। এই পদক্ষেপটি অসংক্রামক রোগ – যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যান্সার – প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
  • অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত প্রেক্ষাপট:
    এসডিজি-র লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে, সরকার খাদ্যের উপাদান প্রদর্শনের বিষয়ে নতুন নীতিমালা গ্রহণ করেছে।

সভার মূল আলোচনা ও সিদ্ধান্ত

  • ফ্রন্ট-প্যাক লেবেলিং:
    খাদ্যের মোড়কে স্পষ্টভাবে চিনি, লবন, ট্রান্সফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ উল্লেখ করা অত্যন্ত জরুরি। এতে অক্ষরশ্রেণীভুক্ত ক্রেতরাও সহজে ক্ষতিকর উপাদান চিনতে পারবেন।
  • আইনি ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা:
    খাদ্যের উপাদান নির্ধারণ, অনুমোদন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন কর্তৃপক্ষ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখবে তা সুস্পষ্ট করতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বিধিমালা কার্যকর করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ও অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য

  • প্রধান অতিথির বক্তব্য:
    বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যানসেলর, অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন,

“খাবারের নামে বিষ কিনে খাচ্ছি কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।”
তিনি সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের গুরুত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।

  • অন্যান্য বক্তব্য:
    • গবেষণা ও বিজ্ঞাপন:
      সেন্টার ফর ল’ এন্ড পলিসি এফেয়ার্স-এর গবেষণায় দেখা যায় অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় ও চিপসে কোন স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই, বরং প্রচারমূলক বিভিন্ন শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে।
    • সরকারি পদক্ষেপ:
      স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ডা. শিব্বির আহমেদ ওসমানী জানান, মোড়কজাত খাদ্যে উপাদানের তথ্য যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে।
    • নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগ:
      নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সোয়েব ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য আইন শক্তিশালী হলেও অনেক ব্যবসায়ী বিধিমালা মেনে চলছে না।
    • সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান:
      জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বলেন, নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।

উপসংহার ও পরবর্তী পদক্ষেপ

  • নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ:
    দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্ব আবারো তুলে ধরা হয়েছে।
  • সমন্বিত প্রয়াস:
    বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মিলিতভাবে সুপারিশ করেছেন যে, খাদ্য মান নিয়ন্ত্রণ ও মোড়কজাত খাদ্যের লেবেলিং বাস্তবায়নে সুষ্ঠু সমন্বয় ও নিয়মিত মনিটরিং অপরিহার্য।

অংশগ্রহণকারী সংস্থাসমূহ

সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন:

  • বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
  • সেন্টার ফর ল’ এন্ড পলিসি এফেয়ার্স (সিএলপিএ)
  • স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
  • নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
  • গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসী ইনকিউভেটর
  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর
  • পাবলিক হেলথ ল ইয়ার্স নেটওয়ার্ক
  • বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সাইন্স
  • ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন
  • কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ
  • পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • পাবলিক হেলথ নিউজ ২৪
  • ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট
  • ভাইটার স্ট্রাটেজিস, সিয়াম, ডাস, পদ্মা, গ্রাম বাংলা, মৌমাছি, এবং কসমস