০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড

মারিয়ানা ট্রেঞ্চেও সফল: চীনের গভীর সমুদ্রের রোবট

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • 118

চীনের বিজ্ঞানীরা গভীর সমুদ্রের জন্য বিশেষ এক রোবট তৈরি করেছেন। রোবটটি সমুদ্রের গভীরতম অংশে কাজ করতে সক্ষম। বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল এই রোবটটি তৈরি করেছে। তাদের সঙ্গে ছিল চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস এবং চ্যচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ডিপ-সি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।

রোবটটি ছোট এবং এর আকার পরিবর্তন করা যায়। এটি গভীর সমুদ্রের প্রচণ্ড চাপ সহ্য করতে পারে। বিজ্ঞানীরা এর পা এবং পাখনা এমনভাবে তৈরি করেছেন, যাতে এটি গভীর সমুদ্রে সাঁতার কাটতে, চলতে এবং হামাগুড়ি দিতে পারে।

পরীক্ষা করে দেখা গেছে, রোবটটি ১ হাজার ৩৮৪ মিটার গভীর হাইমা কোল্ড সিপ এবং ১০ হাজার ৬৬৬ মিটার গভীর মারিয়ানা ট্রেঞ্চেও সফলভাবে কাজ করতে পারে। এটি চীনের গভীর সমুদ্রের গবেষণা এবং রোবট প্রযুক্তিতে একটি বড় সাফল্য।

বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অটোমেশন বিভাগের অধ্যাপক ওয়েন লি বলেন, গভীর সমুদ্রে রোবটটির চলাচল স্বাভাবিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, সেখানে প্রচণ্ড চাপ এবং তাপমাত্রা অনেক কম। তাই এমন একটি পদ্ধতি বের করা হয়েছে, যাতে রোবটটি স্থলভাগের মতোই বা তার চেয়েও ভালো চলাচল করতে পারে।

গভীর সমুদ্রে ১০ হাজার মিটার নিচে চাপ খুব বেশি। এটা একটা ছোট আইসবার্গের ওজনের সমান। এই অবস্থায় ৫০ সেন্টিমিটারের কম লম্বা এবং মাত্র ১.৫ কিলোগ্রাম ওজনের ছোট রোবট চালানো খুবই কঠিন।

অধ্যাপক ওয়েন লি বলেন, “আমরা ‘বিস্টেবল কাইরাল’ নামের বিশেষ এক কাঠামো ব্যবহার করেছি। এর বিশেষত্ব হলো, হালকা চাপ দিলেই এর ভেতরের অংশগুলো ঘুরে অন্যদিকে চলে যায়। এই প্রক্রিয়া গভীর সমুদ্রে খুবই কার্যকর। কারণ, সেখানকার প্রচণ্ড চাপ এই নরম ও নমনীয় উপাদানগুলোকে আরও শক্ত করে তোলে।’

ছয় বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এই গবেষকরা গভীর সমুদ্রে রোবটের চলাচল, নিয়ন্ত্রণ এবং নকশা নিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন। তারা একটি পরীক্ষামূলক রোবটও তৈরি করেছেন, যা গভীর সমুদ্রে কাজ করতে সক্ষম।

বর্তমানে গবেষক দলটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আরও উন্নত রোবট তৈরির চেষ্টা করছে। তারা এমন রোবট বানাতে চায়, যা গভীর সমুদ্রে নিজে থেকেই কাজ করতে পারবে।

সিএমজি বাংলা

জনপ্রিয় সংবাদ

অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস

মারিয়ানা ট্রেঞ্চেও সফল: চীনের গভীর সমুদ্রের রোবট

১০:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

চীনের বিজ্ঞানীরা গভীর সমুদ্রের জন্য বিশেষ এক রোবট তৈরি করেছেন। রোবটটি সমুদ্রের গভীরতম অংশে কাজ করতে সক্ষম। বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল এই রোবটটি তৈরি করেছে। তাদের সঙ্গে ছিল চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস এবং চ্যচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ডিপ-সি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।

রোবটটি ছোট এবং এর আকার পরিবর্তন করা যায়। এটি গভীর সমুদ্রের প্রচণ্ড চাপ সহ্য করতে পারে। বিজ্ঞানীরা এর পা এবং পাখনা এমনভাবে তৈরি করেছেন, যাতে এটি গভীর সমুদ্রে সাঁতার কাটতে, চলতে এবং হামাগুড়ি দিতে পারে।

পরীক্ষা করে দেখা গেছে, রোবটটি ১ হাজার ৩৮৪ মিটার গভীর হাইমা কোল্ড সিপ এবং ১০ হাজার ৬৬৬ মিটার গভীর মারিয়ানা ট্রেঞ্চেও সফলভাবে কাজ করতে পারে। এটি চীনের গভীর সমুদ্রের গবেষণা এবং রোবট প্রযুক্তিতে একটি বড় সাফল্য।

বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অটোমেশন বিভাগের অধ্যাপক ওয়েন লি বলেন, গভীর সমুদ্রে রোবটটির চলাচল স্বাভাবিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, সেখানে প্রচণ্ড চাপ এবং তাপমাত্রা অনেক কম। তাই এমন একটি পদ্ধতি বের করা হয়েছে, যাতে রোবটটি স্থলভাগের মতোই বা তার চেয়েও ভালো চলাচল করতে পারে।

গভীর সমুদ্রে ১০ হাজার মিটার নিচে চাপ খুব বেশি। এটা একটা ছোট আইসবার্গের ওজনের সমান। এই অবস্থায় ৫০ সেন্টিমিটারের কম লম্বা এবং মাত্র ১.৫ কিলোগ্রাম ওজনের ছোট রোবট চালানো খুবই কঠিন।

অধ্যাপক ওয়েন লি বলেন, “আমরা ‘বিস্টেবল কাইরাল’ নামের বিশেষ এক কাঠামো ব্যবহার করেছি। এর বিশেষত্ব হলো, হালকা চাপ দিলেই এর ভেতরের অংশগুলো ঘুরে অন্যদিকে চলে যায়। এই প্রক্রিয়া গভীর সমুদ্রে খুবই কার্যকর। কারণ, সেখানকার প্রচণ্ড চাপ এই নরম ও নমনীয় উপাদানগুলোকে আরও শক্ত করে তোলে।’

ছয় বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এই গবেষকরা গভীর সমুদ্রে রোবটের চলাচল, নিয়ন্ত্রণ এবং নকশা নিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন। তারা একটি পরীক্ষামূলক রোবটও তৈরি করেছেন, যা গভীর সমুদ্রে কাজ করতে সক্ষম।

বর্তমানে গবেষক দলটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আরও উন্নত রোবট তৈরির চেষ্টা করছে। তারা এমন রোবট বানাতে চায়, যা গভীর সমুদ্রে নিজে থেকেই কাজ করতে পারবে।

সিএমজি বাংলা