০৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর ১০ স্থানে একযোগে মিছিল, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৮ আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি ছয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইং শরীর হঠাৎ অবশ হয়ে যাওয়া রোগ জিবিএস, লক্ষণ আর চিকিৎসা কী শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন লাগার পর ২৭ ঘণ্টায় যা যা ঘটেছিল সন্তান লালনপালনে আসল বিষয় হারিয়ে ফেলছে ‘প্যারেন্টিং’ ট্রেন্ড এক পরিবারের তিন প্রজন্ম ও এক টয়োটা করোলার জীবনযাত্রা উৎপাদন থেকে কৃষি—কানাডার শিল্পখাতে ডিজিটাল রূপান্তরের ঢেউ টয়লেটে স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়াচ্ছে হেমোরয়েডের ঝুঁকি ৭৪ বছর বয়সে মারা গেলেন ব্যান্ডের মূল সদস্য ও ‘স্পেসম্যান’ হিসেবে পরিচিত এই সংগীত তারকা

নোল্যান্ড আরবাউ: নিউরালিঙ্ক ইমপ্লান্ট নেওয়া প্রথম মানব

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • 194

সারাক্ষণ রিপোর্ট

কে এই নোল্যান্ড আরবাউ?

নোল্যান্ড আরবাউ, ১৯৯৪ সালে জন্ম নেওয়া একজন আমেরিকান, যিনি নিউরালিঙ্কের মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস (BCI) ইমপ্লান্ট গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১৬ সালে এক ডাইভিং দুর্ঘটনায় তার মেরুদণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে তিনি কাঁধ থেকে নিচের অংশ পর্যন্ত পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

নিউরালিঙ্ক ইমপ্লান্ট: কী এবং কেন?

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার প্রায় আট বছর পর, ৩০ বছর বয়সী নোল্যান্ড নিউরালিঙ্কের ইমপ্লান্ট গ্রহণ করেন। এই অত্যাধুনিক যন্ত্রটি এমনভাবে তৈরি, যা তার চিন্তাগুলিকে সরাসরি কম্পিউটার কমান্ডে রূপান্তর করতে পারে। এর ফলে তিনি:

  • মাউস কার্সর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন,
  • ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেন,
  • এমনকি ভিডিও গেমও খেলতে পারেন।

এটি আধুনিক প্রযুক্তির এক বিশাল অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এলন মাস্কের সম্পৃক্ততা এবং নোল্যান্ডের মতামত

নিউরালিঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্কের নামের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এই প্রকল্পটি গণমাধ্যমে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তবে নোল্যান্ড মনে করেন, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনাহীন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন,
ভালো বা খারাপ যাই হোকআমি সহায়তা করছি।”

প্রযুক্তিগত সমস্যা ও সমাধান

ইমপ্লান্ট গ্রহণের কিছুদিন পর নোল্যান্ড দেখতে পান তার মস্তিষ্কের কিছু অংশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, ফলে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই সমস্যাগুলো সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব হয়। পরবর্তীতে তিনি আবার আগের মতোই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগ

নিউরালিঙ্ক ছাড়াও আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে অন্যতম Synchron, যাদের Stentrode নামের ডিভাইসটি কম আক্রমণাত্মকভাবে মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করা যায়। এই প্রযুক্তিও ইতিমধ্যে কয়েকজন রোগীর উপর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও সতর্কতা

নোল্যান্ডের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস প্রযুক্তি পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা অন্যান্য শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। তবে একই সঙ্গে প্রযুক্তিটির নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও নৈতিক দিকগুলো নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও গবেষণা এবং সতর্ক বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীর ১০ স্থানে একযোগে মিছিল, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৮

নোল্যান্ড আরবাউ: নিউরালিঙ্ক ইমপ্লান্ট নেওয়া প্রথম মানব

১০:০০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

কে এই নোল্যান্ড আরবাউ?

নোল্যান্ড আরবাউ, ১৯৯৪ সালে জন্ম নেওয়া একজন আমেরিকান, যিনি নিউরালিঙ্কের মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস (BCI) ইমপ্লান্ট গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১৬ সালে এক ডাইভিং দুর্ঘটনায় তার মেরুদণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে তিনি কাঁধ থেকে নিচের অংশ পর্যন্ত পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

নিউরালিঙ্ক ইমপ্লান্ট: কী এবং কেন?

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার প্রায় আট বছর পর, ৩০ বছর বয়সী নোল্যান্ড নিউরালিঙ্কের ইমপ্লান্ট গ্রহণ করেন। এই অত্যাধুনিক যন্ত্রটি এমনভাবে তৈরি, যা তার চিন্তাগুলিকে সরাসরি কম্পিউটার কমান্ডে রূপান্তর করতে পারে। এর ফলে তিনি:

  • মাউস কার্সর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন,
  • ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেন,
  • এমনকি ভিডিও গেমও খেলতে পারেন।

এটি আধুনিক প্রযুক্তির এক বিশাল অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এলন মাস্কের সম্পৃক্ততা এবং নোল্যান্ডের মতামত

নিউরালিঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্কের নামের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এই প্রকল্পটি গণমাধ্যমে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তবে নোল্যান্ড মনে করেন, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনাহীন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন,
ভালো বা খারাপ যাই হোকআমি সহায়তা করছি।”

প্রযুক্তিগত সমস্যা ও সমাধান

ইমপ্লান্ট গ্রহণের কিছুদিন পর নোল্যান্ড দেখতে পান তার মস্তিষ্কের কিছু অংশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, ফলে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই সমস্যাগুলো সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব হয়। পরবর্তীতে তিনি আবার আগের মতোই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগ

নিউরালিঙ্ক ছাড়াও আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে অন্যতম Synchron, যাদের Stentrode নামের ডিভাইসটি কম আক্রমণাত্মকভাবে মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করা যায়। এই প্রযুক্তিও ইতিমধ্যে কয়েকজন রোগীর উপর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও সতর্কতা

নোল্যান্ডের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস প্রযুক্তি পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা অন্যান্য শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। তবে একই সঙ্গে প্রযুক্তিটির নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও নৈতিক দিকগুলো নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও গবেষণা এবং সতর্ক বিশ্লেষণের দাবি রাখে।