১২:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • 140

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

চাষের মধ্যে চাল গম প্রচুর, আদা, সর্ষে, তরমুজ, কুমড়ো ইত্যাদি। পিয়াজ রসুন বেশী লোকে খায় না। কেউ খেলে তাকে শহরের বাইরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সাধারণ খাদ্য হচ্ছে দুধ, মাখন, সর, ভুরা চিনি, মিছরি, পিঠা, চিড়া, সর্ষের তেল। মাছ, ভেড়া, ছাগলের মাংস, মুগ মাংস সাধারণত তাজা, কখনো বা মুন দেওয়া, খাওয়া হয়।

ষাঁড়, গাধা, হাতি, ঘোড়া, শূকর, কুকুর, নেকড়ে, সিংহ, বাঁদর আর লোমওয়ালা সব জন্তুর মাংস নিষিদ্ধ। এসব যারা খায় তাদের সকলে ঘৃণা করে; তারা শহরের বাইরে থাকে।

মদ অনেক রকমের। ক্ষত্রিয়রা আঙুর আর আঁখের রসের মদ পান করে, বৈশরা জোরালো মদ পান করে। শ্রমণরা আর ব্রাহ্মণরা আঙুর আর আঁখের এক রকম রস পান করে, কিন্তু এ রস গাঁজিয়ে তোলা (fermented) নয়।

বাসন সব রকমই আছে। বেশির ভাগ মাটির। লাল তামার বাসন কদাচিৎ ব্যবহার হয়। এক থালায় সব খাদ্য মেখে নিয়ে হাত দিয়ে খাওয়া হয়। সাধারণত চামচ বা বাটি ব্যবহার হয় না আর কোনো রকম খাবার কাঠি (chopsticks) নেই। তবে অসুস্থ হলে এরা তামার চামচ ব্যবহার করে।

সোনা, রূপা, কাঁসা, স্ফটিক, মুক্তা এদেশে প্রচুর উৎপন্ন হয়। তা ছাড়া দ্বীপপুঞ্জ থেকে জহরৎ, জিনিসের বিনিময়ে, সংগ্রহ করা হয়। দেশের মধ্যে বেচাকেনায় সোনা বা রুপার মুদ্রা, কড়ি আর ছোট ছোট মুক্তা ব্যবহার হয়।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৩)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৩)

জনপ্রিয় সংবাদ

নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন”

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৪)

০৯:০০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

চাষের মধ্যে চাল গম প্রচুর, আদা, সর্ষে, তরমুজ, কুমড়ো ইত্যাদি। পিয়াজ রসুন বেশী লোকে খায় না। কেউ খেলে তাকে শহরের বাইরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সাধারণ খাদ্য হচ্ছে দুধ, মাখন, সর, ভুরা চিনি, মিছরি, পিঠা, চিড়া, সর্ষের তেল। মাছ, ভেড়া, ছাগলের মাংস, মুগ মাংস সাধারণত তাজা, কখনো বা মুন দেওয়া, খাওয়া হয়।

ষাঁড়, গাধা, হাতি, ঘোড়া, শূকর, কুকুর, নেকড়ে, সিংহ, বাঁদর আর লোমওয়ালা সব জন্তুর মাংস নিষিদ্ধ। এসব যারা খায় তাদের সকলে ঘৃণা করে; তারা শহরের বাইরে থাকে।

মদ অনেক রকমের। ক্ষত্রিয়রা আঙুর আর আঁখের রসের মদ পান করে, বৈশরা জোরালো মদ পান করে। শ্রমণরা আর ব্রাহ্মণরা আঙুর আর আঁখের এক রকম রস পান করে, কিন্তু এ রস গাঁজিয়ে তোলা (fermented) নয়।

বাসন সব রকমই আছে। বেশির ভাগ মাটির। লাল তামার বাসন কদাচিৎ ব্যবহার হয়। এক থালায় সব খাদ্য মেখে নিয়ে হাত দিয়ে খাওয়া হয়। সাধারণত চামচ বা বাটি ব্যবহার হয় না আর কোনো রকম খাবার কাঠি (chopsticks) নেই। তবে অসুস্থ হলে এরা তামার চামচ ব্যবহার করে।

সোনা, রূপা, কাঁসা, স্ফটিক, মুক্তা এদেশে প্রচুর উৎপন্ন হয়। তা ছাড়া দ্বীপপুঞ্জ থেকে জহরৎ, জিনিসের বিনিময়ে, সংগ্রহ করা হয়। দেশের মধ্যে বেচাকেনায় সোনা বা রুপার মুদ্রা, কড়ি আর ছোট ছোট মুক্তা ব্যবহার হয়।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৩)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৩)