সত্যেন্দ্রকুমার বসু
চাষের মধ্যে চাল গম প্রচুর, আদা, সর্ষে, তরমুজ, কুমড়ো ইত্যাদি। পিয়াজ রসুন বেশী লোকে খায় না। কেউ খেলে তাকে শহরের বাইরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সাধারণ খাদ্য হচ্ছে দুধ, মাখন, সর, ভুরা চিনি, মিছরি, পিঠা, চিড়া, সর্ষের তেল। মাছ, ভেড়া, ছাগলের মাংস, মুগ মাংস সাধারণত তাজা, কখনো বা মুন দেওয়া, খাওয়া হয়।
ষাঁড়, গাধা, হাতি, ঘোড়া, শূকর, কুকুর, নেকড়ে, সিংহ, বাঁদর আর লোমওয়ালা সব জন্তুর মাংস নিষিদ্ধ। এসব যারা খায় তাদের সকলে ঘৃণা করে; তারা শহরের বাইরে থাকে।
মদ অনেক রকমের। ক্ষত্রিয়রা আঙুর আর আঁখের রসের মদ পান করে, বৈশরা জোরালো মদ পান করে। শ্রমণরা আর ব্রাহ্মণরা আঙুর আর আঁখের এক রকম রস পান করে, কিন্তু এ রস গাঁজিয়ে তোলা (fermented) নয়।
বাসন সব রকমই আছে। বেশির ভাগ মাটির। লাল তামার বাসন কদাচিৎ ব্যবহার হয়। এক থালায় সব খাদ্য মেখে নিয়ে হাত দিয়ে খাওয়া হয়। সাধারণত চামচ বা বাটি ব্যবহার হয় না আর কোনো রকম খাবার কাঠি (chopsticks) নেই। তবে অসুস্থ হলে এরা তামার চামচ ব্যবহার করে।
সোনা, রূপা, কাঁসা, স্ফটিক, মুক্তা এদেশে প্রচুর উৎপন্ন হয়। তা ছাড়া দ্বীপপুঞ্জ থেকে জহরৎ, জিনিসের বিনিময়ে, সংগ্রহ করা হয়। দেশের মধ্যে বেচাকেনায় সোনা বা রুপার মুদ্রা, কড়ি আর ছোট ছোট মুক্তা ব্যবহার হয়।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















