সারাক্ষণ রিপোর্ট
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীয়ূষ গয়াল সম্প্রতি স্টার্টআপ মহাকুম্ভ ২০২৫-এ মন্তব্য করেন যে, ভারতের স্টার্টআপ কমিউনিটিকে মুদি সামগ্রী ডেলিভারি ও আইসক্রিম ব্যবসার চেয়ে সেমিকন্ডাক্টর, মেশিন লার্নিং, রোবটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর মতো উন্নত প্রযুক্তিখাতে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
‘লাক্সারি কনজ্যুমার পণ্য’ বনাম প্রকৃত স্টার্টআপ
গয়াল উল্লেখ করেন যে ধনকুবেরদের সন্তানরা যে বিলাসবহুল ভোক্তা পণ্য তৈরি করছে, তা প্রকৃত স্টার্টআপ হিসেবে গণ্য করা সঠিক নয়। তাঁর বক্তব্য ছিল, “আমি অনেক উদাহরণ দেখেছি, যেখানে ধনকুবেরদের সন্তানরা অভিনব কুকিজ ও আইসক্রিমের ব্র্যান্ড চালু করেছে। এতে আপত্তির কিছু নেই, কিন্তু এটাই কি ভারতের ভবিষ্যৎ?”
ডেলিভারি নির্ভরতা থেকে প্রযুক্তিমুখী চিন্তাভাবনা
গয়াল আরও প্রশ্ন তোলেন, “আমরা কি কেবল ডেলিভারি বয় ও গার্ল হিসেবে কাজ করতে থাকব?” তাঁর মতে, এসব উদ্যোগকে তিনি “উদ্যোক্তা-ব্যবসা” হিসেবে দেখেন, প্রকৃত স্টার্টআপ হিসেবে নয়। তিনি চীনা স্টার্টআপদের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানকার স্টার্টআপরা রোবটিক্স, মেশিন লার্নিং, থ্রিডি ম্যানুফ্যাকচারিং এবং পরবর্তী প্রজন্মের কারখানা নির্মাণে উল্লেখযোগ্য কাজ করছে; আর ভারত কি শুধু আইসক্রিম বা চিপসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে?
ভবিষ্যতের প্রস্তুতিতে জোর
দেশের স্টার্টআপরা যেন দীর্ঘমেয়াদে প্রযুক্তি ও গবেষণা-উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করে—গয়ালের এই আহ্বান স্পষ্ট। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা ও উৎসাহের প্রতিশ্রুতি দেন। যাঁরা স্টার্টআপ গড়ার সময় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন, তাঁদেরও পাশে থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
দেশীয় বিনিয়োগের গুরুত্ব
গয়াল জোর দিয়ে বলেন যে, শক্তিশালী দেশীয় বিনিয়োগের ভিত্তি না থাকলে বিদেশি পুঁজির ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যায় এবং এতে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে। তাই স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে দেশীয় বিনিয়োগকে অপরিহার্য বলে মনে করেন তিনি।