০৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট কপ৩০কে ‘ভুল ও ক্ষতিকর’ বলল যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয় শেয়ারবাজার চাঙ্গা, কিন্তু ভোক্তা আস্থায় ‘দুই আমেরিকা’ সুপার টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’- ফিলিপাইনে ৪ জনের মৃত্যু,আঘাত হানার আগে এক লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়, ঝড়ের গতিবেগ এখন কমে গেছে থাই–মালয়েশিয়া উপকূলে রোহিঙ্গা নৌডুবি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে: নতুন করে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১২০০ রোগী ঘোড়া-থিমের ফুকুবুকুরো: জাপানে ২০২৬ নববর্ষে পণ্য নয়, অভিজ্ঞতাই মূল টান ডকুমেন্টারি আবার আলোয় আনতে নিউইয়র্কে ভ্যারাইটির ‘ডক ড্রিমস লাইভ’ আমাজনের বেলেং-এ শুরু হলো কপ৩০, যুক্তরাষ্ট্র নেই আলোচনার টেবিলে

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬১)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 60

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

নগরহার থেকে চার-পাঁচ মাইল দূরে একটা গুহা ছিল, যেখানে বুদ্ধ নাগরাজ গোপালকে পরাজয় ক’রে নিজের ছায়া রেখে গিয়েছিলেন। ধর্মগুরু এটা দেখবার ইচ্ছা করলেন।

এই গুহায় যাওয়া বিপজ্জনক ছিল। পথে নৃশংস দস্থ্যর হাতে প্রাণহানির ভয় ছিল। সঙ্গীরা বৃথাই হিউএনচাঙকে নিরস্ত করতে চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন, ‘লক্ষ কল্পেও একবার বুদ্ধের ছায়া দর্শন দুর্লভ। এতদূর এসে এ না দেখে কি আমি থাকতে পারি? আপনারা আস্তে আস্তে অগ্রসর হোন। আমি শীঘ্রই ফিরে আসছি।’

পথে কেবল এক বৃদ্ধ তাঁর পথপ্রদর্শক হতে রাজী হয়। অল্প কিছু দূর যাবার পর পাঁচ জন দন্য খড়গহস্তে পথরোধ করল। ধর্মগুরু মাথার টুপিখুলে তাঁর তীর্থযাত্রীর পরিচ্ছদ দেখালেন। একজন দস্য বললে, ‘গুরুদেব! আপনি কোথায় যাবেন?’

ধর্মগুরু উত্তর দিলেন, ‘আমি বুদ্ধের ছায়া দর্শন আর পূজা করতে যেতে চাই।’ দস্থ্য বলল, ‘শোনেন নি কি যে এদিকে দস্যুভয় আছে?’ সাধু জবাব দিলেন, ‘দস্যরাও তো মানুষই। আমি বুদ্ধের আরাধনা করতে যাচ্ছি। পথে যদি হিংস্র পশুও থাকে, তবু আমি নির্ভয়ে যাব। তোমাদের তো কথাই নেই। তোমাদের মনে তো দয়ার বৃত্তি আছে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬০)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬০)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬১)

০৯:০০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

নগরহার থেকে চার-পাঁচ মাইল দূরে একটা গুহা ছিল, যেখানে বুদ্ধ নাগরাজ গোপালকে পরাজয় ক’রে নিজের ছায়া রেখে গিয়েছিলেন। ধর্মগুরু এটা দেখবার ইচ্ছা করলেন।

এই গুহায় যাওয়া বিপজ্জনক ছিল। পথে নৃশংস দস্থ্যর হাতে প্রাণহানির ভয় ছিল। সঙ্গীরা বৃথাই হিউএনচাঙকে নিরস্ত করতে চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন, ‘লক্ষ কল্পেও একবার বুদ্ধের ছায়া দর্শন দুর্লভ। এতদূর এসে এ না দেখে কি আমি থাকতে পারি? আপনারা আস্তে আস্তে অগ্রসর হোন। আমি শীঘ্রই ফিরে আসছি।’

পথে কেবল এক বৃদ্ধ তাঁর পথপ্রদর্শক হতে রাজী হয়। অল্প কিছু দূর যাবার পর পাঁচ জন দন্য খড়গহস্তে পথরোধ করল। ধর্মগুরু মাথার টুপিখুলে তাঁর তীর্থযাত্রীর পরিচ্ছদ দেখালেন। একজন দস্য বললে, ‘গুরুদেব! আপনি কোথায় যাবেন?’

ধর্মগুরু উত্তর দিলেন, ‘আমি বুদ্ধের ছায়া দর্শন আর পূজা করতে যেতে চাই।’ দস্থ্য বলল, ‘শোনেন নি কি যে এদিকে দস্যুভয় আছে?’ সাধু জবাব দিলেন, ‘দস্যরাও তো মানুষই। আমি বুদ্ধের আরাধনা করতে যাচ্ছি। পথে যদি হিংস্র পশুও থাকে, তবু আমি নির্ভয়ে যাব। তোমাদের তো কথাই নেই। তোমাদের মনে তো দয়ার বৃত্তি আছে।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬০)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬০)