সত্যেন্দ্রকুমার বসু
এ পর্যন্ত হিউএনচাঙ হীনযানীদের দেশের ভিতর দিয়ে আসছিলেন। এখানে মহাযানীদের সাহচর্য পেয়ে আনন্দ বোধ করলেন। স্বয়ং রাজা ছিলেন উৎসাহী মহাযানী। এই সময়ে তিনি নানা মতের পণ্ডিতদের এক বিচারসভা আহ্বান করেছিলেন।
সে সভা পাঁচ দিন চলেছিল। হিউএনচাঙ আর প্রজ্ঞাকারকে রাজা এ সভায় যোগ দিতে অনুরোধ করেছিলেন। সভাভঙ্গের পর রাজা সকলকেই দক্ষিণা দিয়েছিলেন।
প্রজ্ঞাকার এখান থেকে ফিরে গেলেন। হিউএনচাঙ গ্রীষ্মকালটা ঐ সঙ্ঘারামে কাটিয়ে আবার পুব দিকে চললেন। কাবুল নদীর দক্ষিণ তীর ধ’রে নগরহারে (জালালাবাদ) এলেন। এদেশ সম্বন্ধে তিনি বলেন, এখানে প্রচুর শস্য, ফুলফল হয়। আবহাওয়া আর্দ্র, গরম। লোকগুলি সং, সরল, সাহসী, বিদ্যার আদর করে, ধনের আদর করে না। বহু সঙ্ঘারাম আছে, কিন্তু ভিক্ষুর সংখ্যা কম।
স্তূপগুলির ভগ্নাবস্থা। পাঁচটি দেবমন্দির আর আন্দাজ এক শত বিধর্মী (অ-বৌদ্ধ) আছে। নগরের চারিদিকেই তৃণদের দ্বারা ধ্বংস করা বহু সঙ্ঘারাম দেখা গেল। অশোকনির্মিত একটি প্রকাণ্ড স্তূপ ছিল। এইখানেই বুদ্ধ এক পূর্বজন্মে সে সময়কার বুদ্ধ দীপঙ্করের সাক্ষাৎ ও আশীর্বাদ লাভ করেন। নগরহাবের কাছে হিড ডা নগরে বুদ্ধের মাথার খুলি একটি স্তূপে রাখা ছিল।
(চলবে)
হিউএনচাঙ (পর্ব-৫৯)