০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩১)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 25

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

ও’দের কথাবার্তা কিছু, কিছু কানে আসছিল আমার:

‘এগিয়ে গিয়ে খাদটা এটু পরখ করি দেখা দরকার।’

‘ঘোড়সওয়ার লিয়ে?’

‘না-না, তাইলে নজর কাড়বে বড় বেশি। সুখারেভ-ভাই, তিনজন স্কাউট পাঠিয়ে দাও বরং।’

‘কাজটার ভার তোমার ওপর দেলাম কিন্তু, চুবুক,’ আধা-প্রশ্নের ঢঙে কম্যান্ডার কথাগুলো বললেন। ‘শাকভরে সঙ্গে নেও আর নির্ভর করতে পার এমন আর কাউকে নেও।’

‘চুবুক, আমায় নিন,’ আমি চুপিচুপি বললুম, ‘আমার ওপর যথেষ্ট নির্ভর করতে পারবেন।’

এদিকে সুখারেভ পরামর্শ দিলেন, ‘সিম্ঙ্কা গর্ঙ্কভরে নেও বরং।’

‘আমায়, আমায়, চুবুক,’ আবার আমি ফিসফিসিয়ে বললুম। ‘আমায় সঙ্গে নিন। আমার চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য কেউ হবে না।’

‘হাহা,’ ঘাড় নেড়ে চুবুক বললেন।

লাফিয়ে উঠলুম। প্রায় চে’চিয়েই ফেলতুম আর একটু হলে। এমন একটা গরেতের কাজে ওঁরা আমায় সঙ্গে নেবেন এ আমার ধারণারও বাইকে ছিল। কাতুজের থলিটা বেধে নিয়ে আমি রাইফেলটা কাঁধে ঝুলিয়ে ফেললুম। কিন্তু সুখারেভের সন্দেহ-ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে আমায় থামতে হল।

চুবুককে উনি বললেন, ‘ওরে আবার সঙ্গে লিচ্চ কেন? ওরে দিয়ে কি কাজ চলবে? কাজ পণ্ড করি দেবে অখন। তার চেয়ে সিম কারে নেও।’

অন্যমনস্কভাবে দেশালাই জেলে সিগারেট ধরাতে-ধরাতে চুবুকে শুধোলেন, ‘সিমকারে?’

 

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩১)

০৮:০০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

ও’দের কথাবার্তা কিছু, কিছু কানে আসছিল আমার:

‘এগিয়ে গিয়ে খাদটা এটু পরখ করি দেখা দরকার।’

‘ঘোড়সওয়ার লিয়ে?’

‘না-না, তাইলে নজর কাড়বে বড় বেশি। সুখারেভ-ভাই, তিনজন স্কাউট পাঠিয়ে দাও বরং।’

‘কাজটার ভার তোমার ওপর দেলাম কিন্তু, চুবুক,’ আধা-প্রশ্নের ঢঙে কম্যান্ডার কথাগুলো বললেন। ‘শাকভরে সঙ্গে নেও আর নির্ভর করতে পার এমন আর কাউকে নেও।’

‘চুবুক, আমায় নিন,’ আমি চুপিচুপি বললুম, ‘আমার ওপর যথেষ্ট নির্ভর করতে পারবেন।’

এদিকে সুখারেভ পরামর্শ দিলেন, ‘সিম্ঙ্কা গর্ঙ্কভরে নেও বরং।’

‘আমায়, আমায়, চুবুক,’ আবার আমি ফিসফিসিয়ে বললুম। ‘আমায় সঙ্গে নিন। আমার চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য কেউ হবে না।’

‘হাহা,’ ঘাড় নেড়ে চুবুক বললেন।

লাফিয়ে উঠলুম। প্রায় চে’চিয়েই ফেলতুম আর একটু হলে। এমন একটা গরেতের কাজে ওঁরা আমায় সঙ্গে নেবেন এ আমার ধারণারও বাইকে ছিল। কাতুজের থলিটা বেধে নিয়ে আমি রাইফেলটা কাঁধে ঝুলিয়ে ফেললুম। কিন্তু সুখারেভের সন্দেহ-ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে আমায় থামতে হল।

চুবুককে উনি বললেন, ‘ওরে আবার সঙ্গে লিচ্চ কেন? ওরে দিয়ে কি কাজ চলবে? কাজ পণ্ড করি দেবে অখন। তার চেয়ে সিম কারে নেও।’

অন্যমনস্কভাবে দেশালাই জেলে সিগারেট ধরাতে-ধরাতে চুবুকে শুধোলেন, ‘সিমকারে?’