০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান গুলিস্তানের শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে গুদামে আগুন তারেক রহমানের পক্ষে সাভারে শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি প্রতিনিধিদল বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার উষ্ণ শীত জাপানের ‘স্নো মাঙ্কি’দের আচরণ বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ ঝুঁকি বাড়ায় তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী নতুন iOS আপডেটে অন-ডিভাইস এআই জোরালো করল অ্যাপল রপ্তানি আদেশ কমায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতার সতর্কতা জার্মানির

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩১)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 127

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

ও’দের কথাবার্তা কিছু, কিছু কানে আসছিল আমার:

‘এগিয়ে গিয়ে খাদটা এটু পরখ করি দেখা দরকার।’

‘ঘোড়সওয়ার লিয়ে?’

‘না-না, তাইলে নজর কাড়বে বড় বেশি। সুখারেভ-ভাই, তিনজন স্কাউট পাঠিয়ে দাও বরং।’

‘কাজটার ভার তোমার ওপর দেলাম কিন্তু, চুবুক,’ আধা-প্রশ্নের ঢঙে কম্যান্ডার কথাগুলো বললেন। ‘শাকভরে সঙ্গে নেও আর নির্ভর করতে পার এমন আর কাউকে নেও।’

‘চুবুক, আমায় নিন,’ আমি চুপিচুপি বললুম, ‘আমার ওপর যথেষ্ট নির্ভর করতে পারবেন।’

এদিকে সুখারেভ পরামর্শ দিলেন, ‘সিম্ঙ্কা গর্ঙ্কভরে নেও বরং।’

‘আমায়, আমায়, চুবুক,’ আবার আমি ফিসফিসিয়ে বললুম। ‘আমায় সঙ্গে নিন। আমার চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য কেউ হবে না।’

‘হাহা,’ ঘাড় নেড়ে চুবুক বললেন।

লাফিয়ে উঠলুম। প্রায় চে’চিয়েই ফেলতুম আর একটু হলে। এমন একটা গরেতের কাজে ওঁরা আমায় সঙ্গে নেবেন এ আমার ধারণারও বাইকে ছিল। কাতুজের থলিটা বেধে নিয়ে আমি রাইফেলটা কাঁধে ঝুলিয়ে ফেললুম। কিন্তু সুখারেভের সন্দেহ-ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে আমায় থামতে হল।

চুবুককে উনি বললেন, ‘ওরে আবার সঙ্গে লিচ্চ কেন? ওরে দিয়ে কি কাজ চলবে? কাজ পণ্ড করি দেবে অখন। তার চেয়ে সিম কারে নেও।’

অন্যমনস্কভাবে দেশালাই জেলে সিগারেট ধরাতে-ধরাতে চুবুকে শুধোলেন, ‘সিমকারে?’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৩১)

০৮:০০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

ও’দের কথাবার্তা কিছু, কিছু কানে আসছিল আমার:

‘এগিয়ে গিয়ে খাদটা এটু পরখ করি দেখা দরকার।’

‘ঘোড়সওয়ার লিয়ে?’

‘না-না, তাইলে নজর কাড়বে বড় বেশি। সুখারেভ-ভাই, তিনজন স্কাউট পাঠিয়ে দাও বরং।’

‘কাজটার ভার তোমার ওপর দেলাম কিন্তু, চুবুক,’ আধা-প্রশ্নের ঢঙে কম্যান্ডার কথাগুলো বললেন। ‘শাকভরে সঙ্গে নেও আর নির্ভর করতে পার এমন আর কাউকে নেও।’

‘চুবুক, আমায় নিন,’ আমি চুপিচুপি বললুম, ‘আমার ওপর যথেষ্ট নির্ভর করতে পারবেন।’

এদিকে সুখারেভ পরামর্শ দিলেন, ‘সিম্ঙ্কা গর্ঙ্কভরে নেও বরং।’

‘আমায়, আমায়, চুবুক,’ আবার আমি ফিসফিসিয়ে বললুম। ‘আমায় সঙ্গে নিন। আমার চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য কেউ হবে না।’

‘হাহা,’ ঘাড় নেড়ে চুবুক বললেন।

লাফিয়ে উঠলুম। প্রায় চে’চিয়েই ফেলতুম আর একটু হলে। এমন একটা গরেতের কাজে ওঁরা আমায় সঙ্গে নেবেন এ আমার ধারণারও বাইকে ছিল। কাতুজের থলিটা বেধে নিয়ে আমি রাইফেলটা কাঁধে ঝুলিয়ে ফেললুম। কিন্তু সুখারেভের সন্দেহ-ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে আমায় থামতে হল।

চুবুককে উনি বললেন, ‘ওরে আবার সঙ্গে লিচ্চ কেন? ওরে দিয়ে কি কাজ চলবে? কাজ পণ্ড করি দেবে অখন। তার চেয়ে সিম কারে নেও।’

অন্যমনস্কভাবে দেশালাই জেলে সিগারেট ধরাতে-ধরাতে চুবুকে শুধোলেন, ‘সিমকারে?’