০৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট জিয়ার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান গুলিস্তানের শপিং কমপ্লেক্সের ছাদে গুদামে আগুন তারেক রহমানের পক্ষে সাভারে শ্রদ্ধা জানাল বিএনপি প্রতিনিধিদল বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে ভার্চুয়াল আইডলে বাজি কেপপ সংস্থার উষ্ণ শীত জাপানের ‘স্নো মাঙ্কি’দের আচরণ বদলে দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ ঝুঁকি বাড়ায় তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী নতুন iOS আপডেটে অন-ডিভাইস এআই জোরালো করল অ্যাপল রপ্তানি আদেশ কমায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতার সতর্কতা জার্মানির ব্রিজার্টন সিজন ৪ ট্রেলার: ‘সিন্ডারেলা’ ধাঁচের রোম্যান্স, দুই ভাগে মুক্তি দিচ্ছে নেটফ্লিক্স

রণক্ষেত্রে (পর্ব-২৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • 128

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

ফেদিয়ার দিকে মাথাটা ঘুরিয়ে ওকে হাতের ঘুসি দেখিয়ে শেবালভ বললেন, ‘কেমন করি আবার? না-ছাঁয়ে। তোমারে চিনি না? তুমি বড় শয়তান। এ্যাই, দাঁড়া দেখাচ্ছি! খবরদার, বাঁদরামি রাখ! আচ্ছা, তাইলে আজ রাতেই আমরা রওনা দিচ্ছি, কেমন?’ শেবালভ বলে চললেন, ‘গাড়ি লিয়ে যাওয়া চলবে না। মেশিনগান আর গুলিবারুদ ঘোড়াগুলোর উপর বস্তাবোঝাই করে লিতে হবে কোনো চ্যাঁচামেচি কি ঘড়ঘড় আওয়াজ হলি চলবে না। পথে যদি কোনো গাঁ পড়ে তো চুপচুপ করে পাশ কাটিয়ে চলি যাব, মড়ার খোঁজে ভুখা কুত্তার মতো গাঁয়ে ঢোকা চলবে না।

এটা বিশেষ করে তোমারে কচ্চি, ফেদিয়া। তোমার ওই-যে সব পিপুফিশুর দল, খামার দেখলি হল, ওদের আর কথা নেই, জায়গাটা ওদের পথে পড়ে কী না সে বাছবিচারের বালাই নেই ওদের, অমনি সোজা ননীছানার খোঁজে খামারে ঢুকি পড়বে।’

‘হামার লোগজন ভি ওই কিসিমের আছে,’ চেক গাল্দাও ত্রুটিস্বীকার করলেন। ‘দোসরা বার স্কাউট লোগ তো এক বারকোশ মাখা-ময়দা এনে হাজির করে দিলে। ব্যস রে, ব্যস! তো হামি বললম কি: ‘আরে রসুই না-করা ময়দা আনলি কেন?’

তো ও-লোগ হামায় বলল: ‘হামরা আগুনমে সে’কে লিব’।’

ওঁর কথা শুনে সকলেই হাসল। এমন কি শেবালভও মুখ টিপে না হেসে দেবাল্ সেভোয় কান্ডটা ঘটেছিল,’ ভাস্কা শর্মাকভ হাসতে-হাসতে বলল।

‘আমাদের নামে নালিশ করচেন কত্তা। বাহিনীর আগে-আগে আমরা ঢাঁড়ে দেখছিলাম, ঢাড়তি চূড়তি এক কসাকের খামারবাড়িতে গিয়ে হাজির। ধনী কসাক-চাষী। বাড়ির মধ্যি থেকে কে একজন গুলি চালাতে নাগল আমাদের তাক করি, তা সত্ত্বেও বাড়িতে সোধিয়ে পড়লাম আমরা। ঢুকে দেখি, ভোঁ-ভাঁ। কেউ কোথাও নেই। উনোনটা সাঁ সাঁ করে জ্বলচে আর টেবিলের ওপর ময়দার বারকোশটা বসানো। তা, বাড়িটায় আগুন লাগিয়ে দে’ ময়দার বারকোশ লিয়ে কেটে পড়লাম। তারপর সন্ধেবেলা আগুন জেলে সে’কে লিলাম মুয়দার তালটা। আহ, যা হয়েছিল খেতে না, একদম ফাটো কেলাস, কেকের মতো।’

‘খামারবাড়িটায় আগুন লাগিয়ে দিলে?’ আমি জিজ্ঞেস করলুম। ‘খামারবাড়ি পুড়িয়ে দিলে এ কেমনধারা কথা?’

‘একদম ভস্ম করে দিলাম গো,’ নির্বিকারভাবে বলল ভাস্কা। ‘তা পারব না কেন শুনি? মালিক যদি তোমারে তাক করে গুলি ছোড়ে তাইলে তোমায় পারতেই হয়। ভারি বজ্জাত ওরা, ওই কসাকগুলা। খামারের মালিক নোকটা জব্বর ধনী, ও ফের একটা লতুন বাড়ি বানিয়ে লেবে’খন। গাইদামাক ডাকাতদের দলেও ভিড়বে না তাইলে।’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ, ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের দাপট

রণক্ষেত্রে (পর্ব-২৮)

০৮:০০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

ফেদিয়ার দিকে মাথাটা ঘুরিয়ে ওকে হাতের ঘুসি দেখিয়ে শেবালভ বললেন, ‘কেমন করি আবার? না-ছাঁয়ে। তোমারে চিনি না? তুমি বড় শয়তান। এ্যাই, দাঁড়া দেখাচ্ছি! খবরদার, বাঁদরামি রাখ! আচ্ছা, তাইলে আজ রাতেই আমরা রওনা দিচ্ছি, কেমন?’ শেবালভ বলে চললেন, ‘গাড়ি লিয়ে যাওয়া চলবে না। মেশিনগান আর গুলিবারুদ ঘোড়াগুলোর উপর বস্তাবোঝাই করে লিতে হবে কোনো চ্যাঁচামেচি কি ঘড়ঘড় আওয়াজ হলি চলবে না। পথে যদি কোনো গাঁ পড়ে তো চুপচুপ করে পাশ কাটিয়ে চলি যাব, মড়ার খোঁজে ভুখা কুত্তার মতো গাঁয়ে ঢোকা চলবে না।

এটা বিশেষ করে তোমারে কচ্চি, ফেদিয়া। তোমার ওই-যে সব পিপুফিশুর দল, খামার দেখলি হল, ওদের আর কথা নেই, জায়গাটা ওদের পথে পড়ে কী না সে বাছবিচারের বালাই নেই ওদের, অমনি সোজা ননীছানার খোঁজে খামারে ঢুকি পড়বে।’

‘হামার লোগজন ভি ওই কিসিমের আছে,’ চেক গাল্দাও ত্রুটিস্বীকার করলেন। ‘দোসরা বার স্কাউট লোগ তো এক বারকোশ মাখা-ময়দা এনে হাজির করে দিলে। ব্যস রে, ব্যস! তো হামি বললম কি: ‘আরে রসুই না-করা ময়দা আনলি কেন?’

তো ও-লোগ হামায় বলল: ‘হামরা আগুনমে সে’কে লিব’।’

ওঁর কথা শুনে সকলেই হাসল। এমন কি শেবালভও মুখ টিপে না হেসে দেবাল্ সেভোয় কান্ডটা ঘটেছিল,’ ভাস্কা শর্মাকভ হাসতে-হাসতে বলল।

‘আমাদের নামে নালিশ করচেন কত্তা। বাহিনীর আগে-আগে আমরা ঢাঁড়ে দেখছিলাম, ঢাড়তি চূড়তি এক কসাকের খামারবাড়িতে গিয়ে হাজির। ধনী কসাক-চাষী। বাড়ির মধ্যি থেকে কে একজন গুলি চালাতে নাগল আমাদের তাক করি, তা সত্ত্বেও বাড়িতে সোধিয়ে পড়লাম আমরা। ঢুকে দেখি, ভোঁ-ভাঁ। কেউ কোথাও নেই। উনোনটা সাঁ সাঁ করে জ্বলচে আর টেবিলের ওপর ময়দার বারকোশটা বসানো। তা, বাড়িটায় আগুন লাগিয়ে দে’ ময়দার বারকোশ লিয়ে কেটে পড়লাম। তারপর সন্ধেবেলা আগুন জেলে সে’কে লিলাম মুয়দার তালটা। আহ, যা হয়েছিল খেতে না, একদম ফাটো কেলাস, কেকের মতো।’

‘খামারবাড়িটায় আগুন লাগিয়ে দিলে?’ আমি জিজ্ঞেস করলুম। ‘খামারবাড়ি পুড়িয়ে দিলে এ কেমনধারা কথা?’

‘একদম ভস্ম করে দিলাম গো,’ নির্বিকারভাবে বলল ভাস্কা। ‘তা পারব না কেন শুনি? মালিক যদি তোমারে তাক করে গুলি ছোড়ে তাইলে তোমায় পারতেই হয়। ভারি বজ্জাত ওরা, ওই কসাকগুলা। খামারের মালিক নোকটা জব্বর ধনী, ও ফের একটা লতুন বাড়ি বানিয়ে লেবে’খন। গাইদামাক ডাকাতদের দলেও ভিড়বে না তাইলে।’