সারাক্ষণ রিপোর্ট
৮ই এপ্রিল, ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পরিবর্তনের ফলে, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়েছে এবং রপ্তানি খাতের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
সুবিধা অপসারণের প্রভাব
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা পূর্বে ভারতের ট্রানজিট সুবিধা ব্যবহার করে উচ্চ এয়ার ফ্রেইট খরচ এড়াতেন। তবে, এখন এই সুবিধা তুলে নেওয়ার ফলে তারা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়েছেন।
রপ্তানি পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ
বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিভঙ্গি ও বাজার বিশ্লেষণ
বিজিএমইএ-এর প্রাক্তন পরিচালক মোহিউদ্দিন রুবেল জানান, ২০২৪ এবং চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ভারতের মাধ্যমে মোট ৩৬টি ট্রান্সশিপমেন্ট হয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল ও ভূটানের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনের তেমন প্রভাব পড়বে না, তবে প্রায় ৩৪টি দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। রুবেল জানান যে, এই পরিবর্তনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দু’দিক রয়েছে। ইতিবাচকভাবে, এটি স্থানীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে; কিন্তু বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় রয়ে যাওয়াটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়াও, তিনি শিল্প ক্ষেতরের জন্য কার্যকর বিকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন।
উপসংহার
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা উঠিয়ে নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে সরাসরি প্রভাব পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিল্পক্ষেত্রটি স্বনির্ভর হতে নতুন উপায় অন্বেষণ করছে, তবে প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারের সাথে খাপ খাওয়ানো এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
Leave a Reply