প্রদীপ কুমার মজুমদার
এখানে আর্যভট ‘এর যে মান দিয়েছেন অর্থাৎ ৬২৮৩২/২০০০, ভাস্করাচার্য সেই মান এখানে ধরেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য গোলকের আয়তন বের করতে গিয়ে আর্যভটের গণিতপাদের সপ্তম শ্লোকটির সাহায্য নিয়েছেন। গণিতপাদের সপ্তম শ্লোকটি হচ্ছে:
“সমপরিণাহস্যার্থং বিদ্ধস্তাধহতমেব বৃত্তফলম্।
তন্মিজমূলেন হতং ঘন গোল ফলং নিরবশেষম্ ॥
অর্থাৎ পরিধির অর্ধকে ব্যাসার্ধ দিয়ে গুণ করলে বৃত্তের ক্ষেত্রফল পাওয়া যায় এবং তাকে এর বর্গমূল দিয়ে গুণ করলে গোলকের আয়তন পাওয়া যায়। ক্যে’র ধারণা ছিল আর্যভট ‘এর যে মান দিয়েছেন সেটি অন্ততপক্ষে দ্বাদশ শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত কেউ ব্যবহার করেন নাই।
কিন্তু আমরা পূর্বেই দেখেছি দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য প্রথম আর্যভটের ‘এর মান ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়াও বরাহমিহির, লল্প প্রমুখ ভারতীয়রা আর্যভটের ‘এর মান ব্যবহার করেছেন। যেহেতু ‘এর মান গণিতপাদে দেওয়া আছে, অতএব আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি গণিতপাদ আর্যভটীয়ের একটি অংশ। সুতরাং স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে ক্যে’র সিদ্ধান্ত ভ্রমাত্মক।
(চলবে)