০৯:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
নারী নেতৃত্বের প্রতীক ন্যান্সি পেলোসি: যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস থেকে বিদায় এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি পেঁয়াজ নিয়ে নতুন আতঙ্ক , সবজির দামে যখন মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আগুন, ভাঙচুর ও আহত ২০ জন কুষ্টিয়ায় করুণ ট্র্যাজেডি: অভাবের চাপে শিশুকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা আগে গণভোট, তারপর নির্বাচন: তাহেরের হুঁশিয়ারি গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির তিন নেতা বহিষ্কার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ছয় বছরের শিশুর গুলিতে আহত শিক্ষিকাকে ১ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ সরকার নির্বাচনে বিলম্ব ঘটানোর পরিস্থিতি তৈরি করছে: ফখরুলের অভিযোগ টোকিও চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ‘প্যালেস্টাইন ৩৬

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 85

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এখানে আর্যভট ‘এর যে মান দিয়েছেন অর্থাৎ ৬২৮৩২/২০০০, ভাস্করাচার্য সেই মান এখানে ধরেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য গোলকের আয়তন বের করতে গিয়ে আর্যভটের গণিতপাদের সপ্তম শ্লোকটির সাহায্য নিয়েছেন। গণিতপাদের সপ্তম শ্লোকটি হচ্ছে:

“সমপরিণাহস্যার্থং বিদ্ধস্তাধহতমেব বৃত্তফলম্।

তন্মিজমূলেন হতং ঘন গোল ফলং নিরবশেষম্ ॥

অর্থাৎ পরিধির অর্ধকে ব্যাসার্ধ দিয়ে গুণ করলে বৃত্তের ক্ষেত্রফল পাওয়া যায় এবং তাকে এর বর্গমূল দিয়ে গুণ করলে গোলকের আয়তন পাওয়া যায়। ক্যে’র ধারণা ছিল আর্যভট ‘এর যে মান দিয়েছেন সেটি অন্ততপক্ষে দ্বাদশ শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত কেউ ব্যবহার করেন নাই।

কিন্তু আমরা পূর্বেই দেখেছি দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য প্রথম আর্যভটের ‘এর মান ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়াও বরাহমিহির, লল্প প্রমুখ ভারতীয়রা আর্যভটের ‘এর মান ব্যবহার করেছেন। যেহেতু ‘এর মান গণিতপাদে দেওয়া আছে, অতএব আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি গণিতপাদ আর্যভটীয়ের একটি অংশ। সুতরাং স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে ক্যে’র সিদ্ধান্ত ভ্রমাত্মক।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

নারী নেতৃত্বের প্রতীক ন্যান্সি পেলোসি: যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস থেকে বিদায় এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১৪৮)

০৩:০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

এখানে আর্যভট ‘এর যে মান দিয়েছেন অর্থাৎ ৬২৮৩২/২০০০, ভাস্করাচার্য সেই মান এখানে ধরেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য গোলকের আয়তন বের করতে গিয়ে আর্যভটের গণিতপাদের সপ্তম শ্লোকটির সাহায্য নিয়েছেন। গণিতপাদের সপ্তম শ্লোকটি হচ্ছে:

“সমপরিণাহস্যার্থং বিদ্ধস্তাধহতমেব বৃত্তফলম্।

তন্মিজমূলেন হতং ঘন গোল ফলং নিরবশেষম্ ॥

অর্থাৎ পরিধির অর্ধকে ব্যাসার্ধ দিয়ে গুণ করলে বৃত্তের ক্ষেত্রফল পাওয়া যায় এবং তাকে এর বর্গমূল দিয়ে গুণ করলে গোলকের আয়তন পাওয়া যায়। ক্যে’র ধারণা ছিল আর্যভট ‘এর যে মান দিয়েছেন সেটি অন্ততপক্ষে দ্বাদশ শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত কেউ ব্যবহার করেন নাই।

কিন্তু আমরা পূর্বেই দেখেছি দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য প্রথম আর্যভটের ‘এর মান ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়াও বরাহমিহির, লল্প প্রমুখ ভারতীয়রা আর্যভটের ‘এর মান ব্যবহার করেছেন। যেহেতু ‘এর মান গণিতপাদে দেওয়া আছে, অতএব আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি গণিতপাদ আর্যভটীয়ের একটি অংশ। সুতরাং স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে ক্যে’র সিদ্ধান্ত ভ্রমাত্মক।

(চলবে)