০৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন ‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন চীনের বৃহত্তম গভীর সমুদ্র গ্যাসক্ষেত্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের উৎপাদন শুরু

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭০)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • 61

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

শাস্ত্রের অনুসন্ধানেই তিনি এসেছেন শুনে রাজা শাস্ত্রের আর সূত্রের অনুলিপি করবার জন্যে কুড়ি জন লোক নিযুক্ত করলেন। আর হিউএন-চাঙের পরিচর্যার জন্যেও পাঁচ জন ভৃত্য নিযুক্ত হল।

হিউএনচাঙ এখানে সত্তর বছর বয়স্ক একজন শ্রদ্ধেয় গুরুর সাহচর্য পান। এই দুইজন পণ্ডিত পরস্পরকে মনের মতন পেয়ে দুজনেই যে খুব খুশি হয়েছিলেন, তা হিউএনচাঙের জীবনীকারের লেখা থেকে বেশ বোঝা যায়।

গুরু পবিত্র ব্রহ্মচর্যব্রতধারী ছিলেন। বয়সের জন্যে তাঁর কিছু শারীরিক দুর্বলতা হয়েছিল বটে, কিন্তু উপযুক্ত ছাত্র পেয়ে তিনি সোৎসাহে শিক্ষা দিতে লাগলেন। তাঁর বুদ্ধি অসাধারণ সুক্ষ্ম ছিল আর জ্ঞান গভীর ছিল।

গুণে বিদ্যায় তিনি প্রায় দেবতার মতন ছিলেন, আর তাঁর করুণহৃদয় পণ্ডিতদের প্রতি প্রেমে আর বিদ্বানদের প্রতি শ্রদ্ধায় পূর্ণ ছিল। কঠিন কঠিন বিষয় বুঝিয়ে দেবার তাঁর অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। হিউএনচাঙ অসংকোচে তাঁকে প্রশ্ন করতেন আর দিবারাত্র অবিশ্রাম আগ্রহে তাঁর কাছে শিক্ষা করতেন।

সকালে ‘কশশাস্ত্র’ পাঠ হত। অপরাহ্ণে ‘নিয়ায় অনুসার’ শাস্ত্র, আবার রাত্রি দ্বিতীয় প্রহরে ‘হেতুবাদ’ শাস্ত্র (logic) পড়া হত।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৯)

ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭০)

০৯:০০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

শাস্ত্রের অনুসন্ধানেই তিনি এসেছেন শুনে রাজা শাস্ত্রের আর সূত্রের অনুলিপি করবার জন্যে কুড়ি জন লোক নিযুক্ত করলেন। আর হিউএন-চাঙের পরিচর্যার জন্যেও পাঁচ জন ভৃত্য নিযুক্ত হল।

হিউএনচাঙ এখানে সত্তর বছর বয়স্ক একজন শ্রদ্ধেয় গুরুর সাহচর্য পান। এই দুইজন পণ্ডিত পরস্পরকে মনের মতন পেয়ে দুজনেই যে খুব খুশি হয়েছিলেন, তা হিউএনচাঙের জীবনীকারের লেখা থেকে বেশ বোঝা যায়।

গুরু পবিত্র ব্রহ্মচর্যব্রতধারী ছিলেন। বয়সের জন্যে তাঁর কিছু শারীরিক দুর্বলতা হয়েছিল বটে, কিন্তু উপযুক্ত ছাত্র পেয়ে তিনি সোৎসাহে শিক্ষা দিতে লাগলেন। তাঁর বুদ্ধি অসাধারণ সুক্ষ্ম ছিল আর জ্ঞান গভীর ছিল।

গুণে বিদ্যায় তিনি প্রায় দেবতার মতন ছিলেন, আর তাঁর করুণহৃদয় পণ্ডিতদের প্রতি প্রেমে আর বিদ্বানদের প্রতি শ্রদ্ধায় পূর্ণ ছিল। কঠিন কঠিন বিষয় বুঝিয়ে দেবার তাঁর অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। হিউএনচাঙ অসংকোচে তাঁকে প্রশ্ন করতেন আর দিবারাত্র অবিশ্রাম আগ্রহে তাঁর কাছে শিক্ষা করতেন।

সকালে ‘কশশাস্ত্র’ পাঠ হত। অপরাহ্ণে ‘নিয়ায় অনুসার’ শাস্ত্র, আবার রাত্রি দ্বিতীয় প্রহরে ‘হেতুবাদ’ শাস্ত্র (logic) পড়া হত।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৬৯)