০২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
যখন নদী গিলে খায় জমি: বাংলাদেশের অবিরাম লড়াই ভাঙনের সঙ্গে বিকাশমান মস্তিষ্কের মানচিত্র উন্মোচন: বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার উপজেলা ভূমি অফিসে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের পথ: আলী ইমাম মজুমদারের বক্তব্য কুমিল্লায় বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ পেঁয়াজের দামের উর্ধ্বগতিতে প্রতিদিন ৩.৫ কোটি টাকা বেশি দিচ্ছেন ক্রেতারা রমনা গির্জায় হামলার নিন্দা জানাল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঢাকায় দুই যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ মুন্সিগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১, আহত ২ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ.এফ. রহমান হলে ভিপি-জিএসের ‘সিঙ্গেল রুম’ বরাদ্দের অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার: সরকারের আশ্বাসে অবসান

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭১)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • 95

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙ এখানেআরও অনেক বিশিষ্ট পণ্ডিতের সাক্ষাৎ পান। ভারতীয় পণ্ডিতদের বিদ্যাবত্তায় তিনি চমৎকৃত হন। এইভাবে তিনি কাশ্মীরে পুরা দুই বছর (৬৩১ খৃস্টাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে ৬৩৩ খৃস্টাব্দের বৈশাখ মাস পর্যন্ত) কাটিয়ে ছিলেন। এইখানেই তাঁর দার্শনিক শিক্ষা অনেক অগ্রসর হয়।

কাশ্মীর সম্বন্ধে তিনি বলেন, ‘এখানে প্রচুর ফুল, ফল, ফসল জন্মে। তা ছাড়া পাহাড়ী ঘোড়া, জাফরান, নানা ওষধি আর স্ফটিক উৎপন্ন হয়। শীতকালে খুব তুষারপাত হয়। লোকগুলি সুশ্রী, কিন্তু অসৎ আর ধূর্ত। এদের বিদ্যায় অনুরাগ আছে। বৌদ্ধ, বিধর্মী দুইই আছে।’

তথাগতের পরিনির্বাণের চার শত বছর পরে গান্ধারের রাজা কণিষ্ক পাঁচ শত বাছা বাছা সাধু-মহাত্মাদের একটি সংগিতি (সমিতি) এখানে আহ্বান করেছিলেন। তাঁরা ত্রিপিটকের যা নিগূঢ় তাৎপর্য, তাই সহস্র সহস্র শ্লোকে রচনা করে কতকগুলি তামার পাতে লিপিবদ্ধ করেন।

আর সেই পাতাগুলি একটা পাথরের সিন্দুকে রেখে তার উপর একটি স্তূপ নির্মাণ করা হয়। কোনো ভাগ্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক হয়তো এক সময়ে এই তামার পাতগুলি আবিষ্কার করতে পারবেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭০)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭০)

জনপ্রিয় সংবাদ

যখন নদী গিলে খায় জমি: বাংলাদেশের অবিরাম লড়াই ভাঙনের সঙ্গে

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭১)

০৯:০০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙ এখানেআরও অনেক বিশিষ্ট পণ্ডিতের সাক্ষাৎ পান। ভারতীয় পণ্ডিতদের বিদ্যাবত্তায় তিনি চমৎকৃত হন। এইভাবে তিনি কাশ্মীরে পুরা দুই বছর (৬৩১ খৃস্টাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে ৬৩৩ খৃস্টাব্দের বৈশাখ মাস পর্যন্ত) কাটিয়ে ছিলেন। এইখানেই তাঁর দার্শনিক শিক্ষা অনেক অগ্রসর হয়।

কাশ্মীর সম্বন্ধে তিনি বলেন, ‘এখানে প্রচুর ফুল, ফল, ফসল জন্মে। তা ছাড়া পাহাড়ী ঘোড়া, জাফরান, নানা ওষধি আর স্ফটিক উৎপন্ন হয়। শীতকালে খুব তুষারপাত হয়। লোকগুলি সুশ্রী, কিন্তু অসৎ আর ধূর্ত। এদের বিদ্যায় অনুরাগ আছে। বৌদ্ধ, বিধর্মী দুইই আছে।’

তথাগতের পরিনির্বাণের চার শত বছর পরে গান্ধারের রাজা কণিষ্ক পাঁচ শত বাছা বাছা সাধু-মহাত্মাদের একটি সংগিতি (সমিতি) এখানে আহ্বান করেছিলেন। তাঁরা ত্রিপিটকের যা নিগূঢ় তাৎপর্য, তাই সহস্র সহস্র শ্লোকে রচনা করে কতকগুলি তামার পাতে লিপিবদ্ধ করেন।

আর সেই পাতাগুলি একটা পাথরের সিন্দুকে রেখে তার উপর একটি স্তূপ নির্মাণ করা হয়। কোনো ভাগ্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক হয়তো এক সময়ে এই তামার পাতগুলি আবিষ্কার করতে পারবেন।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭০)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৭০)