সারাক্ষণ রিপোর্ট
গ্রেপ্তার বৃদ্ধির সারসংক্ষেপ
- ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) অভিযানে মোট ২১৯ জন চিহ্নিত বা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী ধরা পড়েছে।
- আগের বছর একই সময়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে যে সংখ্যা ছিল ২৯; ফলে গ্রেপ্তারের হার ৬৫৫ শতাংশ বেড়েছে।

ভারতীয় পলাতক হরপ্রীত সিংহের গ্রেপ্তার
- ভারতের ‘সর্বাধিক মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা হরপ্রীত সিংহ ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি অবৈধভাবে মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে অ্যারিজোনায় ঢুকে পড়েন।
- সীমান্ত টহল তাকে ধরে ছেড়ে দিলে তিনি তিন বছর যুক্তরাষ্ট্রে ঘোরাফেরা করেন।
- আইসিই গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টো শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
- এফবিআই জানায়, সিংহ শনাক্ত এড়াতে ‘বার্নার’ ফোন ও এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করছিলেন।

কী অভিযোগ তার বিরুদ্ধে?
- ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা ও অর্থ জোগান।
- একাধিক চাঁদাবাজি ও ভয় দেখানো অপারেশন।
- তিনি পাকিস্তানভিত্তিক উগ্রপন্থী সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের (বিকেআই) শীর্ষ নেতা হরবিন্দর সিংহ রিন্দার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা।
প্রশাসনিক অবস্থান ও সমালোচনা
- যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র সহকারী সচিব ট্রিশা ম্যাকলাফলিন দাবি করেন, “বাইডেন প্রশাসন অনভিষেক সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দিয়ে জনগণকে ঝুঁকিতে ফেলেছিল।”
- তিনি বলেন, ট্রাম্প ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নোমের নির্দেশে ‘ক্যাচ অ্যান্ড রিলিজ’ নীতি শেষ করে এসব সহিংস অপরাধীকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
- অভিযানে জর্ডানের এক আইএস সংশ্লিষ্ট এবং আফগান বংশোদ্ভূত আরেক সন্ত্রাসীসহ আরও ডজনখানেক বিদেশি ধরা পড়েছে।
- হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর জানায়, এই অভিযানের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ানো সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা।
সামনে কী?
- ম্যাকলাফলিনের ভাষ্য, “আইসিই ভবিষ্যতেও এ ধরনের তল্লাশি অব্যাহত রাখবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় সন্ত্রাসীরা আর মুক্তভাবে চলাফেরা করতে না পারে।”
সারসংক্ষেপে, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন অভিযানে সন্ত্রাসবিরোধী গ্রেপ্তার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যার বড় উদাহরণ—ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত হরপ্রীত সিংহের আটকের ঘটনা।
Sarakhon Report 



















