০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

বাজেটে মানসিক স্বাস্থ্য আইনের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • 101

স্টিফেন আইড

নতুন অঙ্গরাজ্য বাজেট মানসিক স্বাস্থ্য আইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেযা নিউইয়র্ক সিটির জন্য সুফল বয়ে আনবে। বিশেষ করেগভর্নর ক্যাথি হোকুল আইনপ্রণেতাদের বাধ্য করেছেন আইনে স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে যে কেবল বিপজ্জনকতা নয়জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণে অক্ষমতাও অনিচ্ছাকৃত হাসপাতালে ভর্তির যৌক্তিকতা দেয়। এর ফলে পুলিশ ও অন্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদের আর আত্মহত্যার প্রবণতা বা সহিংস হুমকির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

প্রযুক্তিগতভাবেমৌলিক জীবনধারণ-সংক্রান্ত মানদণ্ড ব্যবহার করে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা পুলিশ ইতিমধ্যেই পেয়েছিলতবে তা ছিল রাজ্য আইনের একটি ব্যাখ্যাভিত্তিক অধিকার। এখন নিউইয়র্ক রাজ্য স্পষ্ট করেছেঅচিকিৎসিত মানসিক রোগের কারণে কেউ প্রকাশ্যেই দ্রুত অবনতির পথে থাকলে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার কোনো অজুহাত নেই।

উদ্দেশ্য ছিল আইন যেমন বদলানোতেমনই সংস্কৃতিও পাল্টানো। প্রগতিশীল অধিকারকর্মীদের কল্পনায় মনে হতে পারেপ্রতিদিন সকালে টহল পুলিশরা মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষদের গণহারে ধরপাকড়ে অংশ নিতে উদ্‌গ্রীব থাকে। বাস্তবতা ঠিক তার উল্টো। দীর্ঘদিনের বিপরীতমুখী নির্দেশনার ফলেপুলিশ প্রায়ই এমন কোনো স্কিৎজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত গৃহহীন ব্যক্তিকেযিনি মারাত্মক অসুস্থ হলেও কাউকে আক্রমণ করছেন নানিয়ন্ত্রিত সমস্যা হিসেবে দেখে থাকে।

ফলে হোকুলের আইনি পরিবর্তন পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য গৃহহীন মানসিক রোগীদের ব্যাপারে পুলিশের প্রচলিত আচরণ থেকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। আর রাজনৈতিক নেতৃত্বকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে তারা পুলিশের এই নতুনঅধিক হস্তক্ষেপমূলক ভূমিকাকে সমর্থন করে।

অতিরিক্ত বিনিয়োগ

বাস্তবায়নের জন্য আরও অর্থেরও প্রয়োজন হবে। সাম্প্রতিক ও পূর্ববর্তী বাজেটগুলোতে হোকুল নিউইয়র্কের মনোরোগ হাসপাতালের শয্যাস্থান বাড়াতে সক্রিয় ছিলেন। তবুও আরও বিনিয়োগ লাগবেযে সাইকিয়াট্রিক শয্যাই নেইসেখানে মানসিক রোগীকে পাঠানো অর্থহীন। সংক্ষেপেনিউইয়র্কবাসীদের উচিত রাজ্য আইনের এই পরিবর্তনকে মানসিক স্বাস্থ্য সংস্কারের প্রাথমিক অগ্রিম অর্থ হিসেবে বিবেচনা করা।

মহানগরীর সাবওয়ে এখনো অগ্রহণযোগ্যভাবে বিশৃঙ্খল। তবে সহায়তা আসছে। হোকুলের প্রচেষ্টার ফলেই এখন আরও কার্যকর হাতিয়ার হাতে রয়েছে।

লেখক: স্টিফেন আইড ম্যানহাটন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলোসিটি জার্নালের অবদানকারী সম্পাদক এবং ২০২৪‑২৫ মেয়াদের নিউইয়র্ক সিটি কলেজের ময়নিহ্যান সেন্টারের পাবলিক স্কলার।

বাজেটে মানসিক স্বাস্থ্য আইনের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

০৮:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

স্টিফেন আইড

নতুন অঙ্গরাজ্য বাজেট মানসিক স্বাস্থ্য আইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেযা নিউইয়র্ক সিটির জন্য সুফল বয়ে আনবে। বিশেষ করেগভর্নর ক্যাথি হোকুল আইনপ্রণেতাদের বাধ্য করেছেন আইনে স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে যে কেবল বিপজ্জনকতা নয়জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণে অক্ষমতাও অনিচ্ছাকৃত হাসপাতালে ভর্তির যৌক্তিকতা দেয়। এর ফলে পুলিশ ও অন্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদের আর আত্মহত্যার প্রবণতা বা সহিংস হুমকির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

প্রযুক্তিগতভাবেমৌলিক জীবনধারণ-সংক্রান্ত মানদণ্ড ব্যবহার করে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা পুলিশ ইতিমধ্যেই পেয়েছিলতবে তা ছিল রাজ্য আইনের একটি ব্যাখ্যাভিত্তিক অধিকার। এখন নিউইয়র্ক রাজ্য স্পষ্ট করেছেঅচিকিৎসিত মানসিক রোগের কারণে কেউ প্রকাশ্যেই দ্রুত অবনতির পথে থাকলে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার কোনো অজুহাত নেই।

উদ্দেশ্য ছিল আইন যেমন বদলানোতেমনই সংস্কৃতিও পাল্টানো। প্রগতিশীল অধিকারকর্মীদের কল্পনায় মনে হতে পারেপ্রতিদিন সকালে টহল পুলিশরা মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষদের গণহারে ধরপাকড়ে অংশ নিতে উদ্‌গ্রীব থাকে। বাস্তবতা ঠিক তার উল্টো। দীর্ঘদিনের বিপরীতমুখী নির্দেশনার ফলেপুলিশ প্রায়ই এমন কোনো স্কিৎজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত গৃহহীন ব্যক্তিকেযিনি মারাত্মক অসুস্থ হলেও কাউকে আক্রমণ করছেন নানিয়ন্ত্রিত সমস্যা হিসেবে দেখে থাকে।

ফলে হোকুলের আইনি পরিবর্তন পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য গৃহহীন মানসিক রোগীদের ব্যাপারে পুলিশের প্রচলিত আচরণ থেকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। আর রাজনৈতিক নেতৃত্বকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে তারা পুলিশের এই নতুনঅধিক হস্তক্ষেপমূলক ভূমিকাকে সমর্থন করে।

অতিরিক্ত বিনিয়োগ

বাস্তবায়নের জন্য আরও অর্থেরও প্রয়োজন হবে। সাম্প্রতিক ও পূর্ববর্তী বাজেটগুলোতে হোকুল নিউইয়র্কের মনোরোগ হাসপাতালের শয্যাস্থান বাড়াতে সক্রিয় ছিলেন। তবুও আরও বিনিয়োগ লাগবেযে সাইকিয়াট্রিক শয্যাই নেইসেখানে মানসিক রোগীকে পাঠানো অর্থহীন। সংক্ষেপেনিউইয়র্কবাসীদের উচিত রাজ্য আইনের এই পরিবর্তনকে মানসিক স্বাস্থ্য সংস্কারের প্রাথমিক অগ্রিম অর্থ হিসেবে বিবেচনা করা।

মহানগরীর সাবওয়ে এখনো অগ্রহণযোগ্যভাবে বিশৃঙ্খল। তবে সহায়তা আসছে। হোকুলের প্রচেষ্টার ফলেই এখন আরও কার্যকর হাতিয়ার হাতে রয়েছে।

লেখক: স্টিফেন আইড ম্যানহাটন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলোসিটি জার্নালের অবদানকারী সম্পাদক এবং ২০২৪‑২৫ মেয়াদের নিউইয়র্ক সিটি কলেজের ময়নিহ্যান সেন্টারের পাবলিক স্কলার।