একদিন ৩০০ জনেরও বেশি অতিথি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন৷ এই ধরনের হট্টগোল অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে৷ তাদের প্রায়ই অন্য ব্যক্তির অনুভূতি, মেজাজ এবং মুখের ভাব পড়তে অসুবিধা হয়৷ অটিজমের এত বেশি মাত্রা রয়েছে যে, একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বলা হয়৷ প্রক্রিয়াটি স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বললে এবং রুটিন থাকলে সহায়তা হয়৷
আকাম্পোরা বলেন, ‘‘সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে সাজানো থাকলে তারা স্বাধীন ও নিরাপদভাবে তাদের কাজ করতে পারে৷ এটা তাদের আরও উৎপাদনশীল করে তোলে৷”
রেস্টুরেন্টটি তার কর্মীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে: টেবিলে যাওয়ার জন্য পরিষ্কার পথ, শব্দ নিরোধক ব্যবস্থা এবং দেয়ালে মাত্র তিনটি রঙ৷ লরেঞ্জো এই কাজের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে৷
লরেঞ্জো জানিয়েছেন, ‘‘আমি মনে করি, অটিজম নিয়ে বেঁচে থাকা অসাধারণ৷ আপনার এমন ক্ষমতা থাকে, যা সাধারণ মানুষের থাকে না৷ আমি এভাবে থাকতে পেরে খুশি, আর আমি আর কখনও এর জন্য লজ্জিত হবো না৷”
মাত্তেও চেলেগিনের সজাগ নজরদারিতে পিৎজা তৈরির কাজ চলে৷
কনভেয়ার বেল্টসহ একটি বিশেষ ওভেন থাকায় পিৎজা কখনও পোড়ে না৷ তবে তারপরও কাজটি চাপের বলে জানান মাত্তেও৷ তিনি বলেন, ‘‘সব অর্ডার শেষ করার পর আমি একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি৷ কিন্তু আমাদের পিৎজা যে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তা সত্যিই অবাক করার মতো৷”
পিজআউট একটি লাভজনক ব্যবসায়িক মডেল, যা অতিথি ও কর্মী সবার মুখেই হাসি ফোটায়৷