০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

যে পিৎজার দোকানে অটিজম আক্রান্তরা কাজ করেন

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • 48

ইটালির মনসা শহরে দুটি পিৎজার দোকানে শুধুমাত্র অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হয়৷ সেগুলো ইউরোপে এই ধরনের প্রথম পিৎজার দোকান৷ নিকো আকাম্পোরা নামের এক ব্যক্তি এটি প্রতিষ্ঠা করেন৷

একদিন ৩০০ জনেরও বেশি অতিথি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন৷ এই ধরনের হট্টগোল অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে৷ তাদের প্রায়ই অন্য ব্যক্তির অনুভূতি, মেজাজ এবং মুখের ভাব পড়তে অসুবিধা হয়৷ অটিজমের এত বেশি মাত্রা রয়েছে যে, একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বলা হয়৷ প্রক্রিয়াটি স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বললে এবং রুটিন থাকলে সহায়তা হয়৷

আকাম্পোরা বলেন, ‘‘সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে সাজানো থাকলে তারা স্বাধীন ও নিরাপদভাবে তাদের কাজ করতে পারে৷ এটা তাদের আরও উৎপাদনশীল করে তোলে৷”

রেস্টুরেন্টটি তার কর্মীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে: টেবিলে যাওয়ার জন্য পরিষ্কার পথ, শব্দ নিরোধক ব্যবস্থা এবং দেয়ালে মাত্র তিনটি রঙ৷ লরেঞ্জো এই কাজের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে৷

লরেঞ্জো জানিয়েছেন, ‘‘আমি মনে করি, অটিজম নিয়ে বেঁচে থাকা অসাধারণ৷ আপনার এমন ক্ষমতা থাকে, যা সাধারণ মানুষের থাকে না৷ আমি এভাবে থাকতে পেরে খুশি, আর আমি আর কখনও এর জন্য লজ্জিত হবো না৷”

মাত্তেও চেলেগিনের সজাগ নজরদারিতে পিৎজা তৈরির কাজ চলে৷

কনভেয়ার বেল্টসহ একটি বিশেষ ওভেন থাকায় পিৎজা কখনও পোড়ে না৷ তবে তারপরও কাজটি চাপের বলে জানান মাত্তেও৷ তিনি বলেন, ‘‘সব অর্ডার শেষ করার পর আমি একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি৷ কিন্তু আমাদের পিৎজা যে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তা সত্যিই অবাক করার মতো৷”

পিজআউট একটি লাভজনক ব্যবসায়িক মডেল, যা অতিথি ও কর্মী সবার মুখেই হাসি ফোটায়৷

ডয়চে ভেলে বাংলা

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২)

যে পিৎজার দোকানে অটিজম আক্রান্তরা কাজ করেন

০৬:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

ইটালির মনসা শহরে দুটি পিৎজার দোকানে শুধুমাত্র অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হয়৷ সেগুলো ইউরোপে এই ধরনের প্রথম পিৎজার দোকান৷ নিকো আকাম্পোরা নামের এক ব্যক্তি এটি প্রতিষ্ঠা করেন৷

একদিন ৩০০ জনেরও বেশি অতিথি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন৷ এই ধরনের হট্টগোল অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে৷ তাদের প্রায়ই অন্য ব্যক্তির অনুভূতি, মেজাজ এবং মুখের ভাব পড়তে অসুবিধা হয়৷ অটিজমের এত বেশি মাত্রা রয়েছে যে, একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বলা হয়৷ প্রক্রিয়াটি স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বললে এবং রুটিন থাকলে সহায়তা হয়৷

আকাম্পোরা বলেন, ‘‘সবকিছু সুনির্দিষ্টভাবে সাজানো থাকলে তারা স্বাধীন ও নিরাপদভাবে তাদের কাজ করতে পারে৷ এটা তাদের আরও উৎপাদনশীল করে তোলে৷”

রেস্টুরেন্টটি তার কর্মীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে: টেবিলে যাওয়ার জন্য পরিষ্কার পথ, শব্দ নিরোধক ব্যবস্থা এবং দেয়ালে মাত্র তিনটি রঙ৷ লরেঞ্জো এই কাজের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে৷

লরেঞ্জো জানিয়েছেন, ‘‘আমি মনে করি, অটিজম নিয়ে বেঁচে থাকা অসাধারণ৷ আপনার এমন ক্ষমতা থাকে, যা সাধারণ মানুষের থাকে না৷ আমি এভাবে থাকতে পেরে খুশি, আর আমি আর কখনও এর জন্য লজ্জিত হবো না৷”

মাত্তেও চেলেগিনের সজাগ নজরদারিতে পিৎজা তৈরির কাজ চলে৷

কনভেয়ার বেল্টসহ একটি বিশেষ ওভেন থাকায় পিৎজা কখনও পোড়ে না৷ তবে তারপরও কাজটি চাপের বলে জানান মাত্তেও৷ তিনি বলেন, ‘‘সব অর্ডার শেষ করার পর আমি একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি৷ কিন্তু আমাদের পিৎজা যে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তা সত্যিই অবাক করার মতো৷”

পিজআউট একটি লাভজনক ব্যবসায়িক মডেল, যা অতিথি ও কর্মী সবার মুখেই হাসি ফোটায়৷

ডয়চে ভেলে বাংলা