১১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ছুটিতে পরিবারের প্রযুক্তি ঝামেলা কমানোর সহজ কৌশল চীনের প্রযুক্তি উত্থান, অর্থনীতির ভেতরে গভীর ফাটল বাংলাদেশ ব্যাংকে অগ্নি নিরাপত্তা জোরদার, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ নতুন ড্রোন মডেলে নিষেধাজ্ঞা আরও কড়াকড়ি যুক্তরাষ্ট্রে, তালিকায় ডিজেআইসহ সব বিদেশি ড্রোন জবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন: নারী-বান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে জেসিডির ১৩ দফা ইশতেহার ক্রীড়াপ্রেমী প্রকৌশলী মাসুদ হাসান জামালীর ইন্তেকাল বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কে রাজনীতির ঊর্ধ্বে বাণিজ্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে ঢাকা: ড. সালেহউদ্দিন হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, প্রাণ গেল পাঁচজনের রমজান সামনে রেখে ভারত ও পাকিস্তান থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন সরকারের

হংকংয়ের নির্বাসিত মতপ্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে চীনের নতুন তৎপরতা

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • 186

সারাক্ষণ রিপোর্ট

পরিবারকে লক্ষ্য করে গ্রেপ্তার
২০২৪ সালের জাতীয় নিরাপত্তা আইন (আর্টিকেল ২৩) কার্যকর হওয়ার পর ৩০ এপ্রিল হংকং পুলিশ প্রথমবারের মতো একজন নির্বাসিত কর্মীর পরিবারের প্রতি আঘাত হানে। ২০১৯‑এর গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনে অংশ নেওয়া আনা কোয়ক যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেলে তার পিতা কোয়ক ইয়িন‑সাং (৬৮) ও ভাইকে অপরাধীর অর্থ বা সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহায়তার” অভিযোগে আটক করা হয়। ভাই জামিন পেলেওপিতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়েছেদোষী সাব্যস্ত হলে সাত বছরের জেল হতে পারে।

আরও কঠোর রাষ্ট্রীয় চাপ
• গত বছরই শহরেই থাকায় ৪৫ বিশিষ্ট কর্মীকে চার থেকে দশ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
• এবারই প্রথম নির্বাসিত কর্মীর আত্মীয়কে অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হলো।
• ২০২৩ সালে বিদেশে থাকা ১৯ কর্মীর মাথার দাম ঘোষণা করে হংকং সরকারআনা কোয়কের পাসপোর্টসহ ১৩ জনের ভ্রমণ নথি বাতিল করা হয়েছে। দৃষ্টি নন্দিত হলেওঅভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঝুঁকি রয়ে গেছে।

পুলিশি নজরদারি ও হয়রানি
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়জানুয়ারি ২০২৫ থেকে অন্তত পাঁচ নির্বাসিত কর্মীর পরিবারের ওপর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে। উদাহরণস্বরূপব্রিটেনে থাকা গবেষক চাং কিম‑ওয়াহ‑র সঙ্গে সংযুক্ত জনমত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তল্লাশিঅস্ট্রেলিয়ায় থাকা সাবেক আইনপ্রণেতা টেড হুয়ির পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ হংকং ডলার জব্দসবই জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায়।

নির্বাসনে গিয়েও নিরাপদ নন
২০২০‑এর পর দমন‑পীড়ন শুরু হলে লাখো সাধারণ বাসিন্দা শহর ছেড়েছেন২০২৪‑এর মে নাগাদ দুই লক্ষের বেশি মানুষ ব্রিটেনে নতুন ভিসা স্কিমে আশ্রয় নেন। কিন্তু নতুন আইন অনুযায়ী দেশের বাইরে করা কর্মকাণ্ডও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন” বিবেচিত হতে পারে। অনেকেই বিদেশে অনলাইনে হুমকিঅনুসরণ ও নজরদারির মুখে পড়ছেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও আহ্বান
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আনা কোয়ক নিজে পরিবারের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেননিতবে সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে বলেছেন, “মানবাধিকার রক্ষার যেটুকু দাবি হংকং কর্তৃপক্ষ করেআমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রমাণ করছিতা সত্য নয়।

নতুন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে হংকং সরকার এখন শুধু ভিন্নমতাবলম্বী নয়তাদের পরিবারের প্রতিও শাস্তির হাত বাড়াচ্ছে। এতে সরাসরি বার্তা দেওয়া হচ্ছেনিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দেশের বাইরে গেলেও চীনের দীর্ঘ হাত এড়ানো কঠিন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছুটিতে পরিবারের প্রযুক্তি ঝামেলা কমানোর সহজ কৌশল

হংকংয়ের নির্বাসিত মতপ্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে চীনের নতুন তৎপরতা

০৬:০০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

পরিবারকে লক্ষ্য করে গ্রেপ্তার
২০২৪ সালের জাতীয় নিরাপত্তা আইন (আর্টিকেল ২৩) কার্যকর হওয়ার পর ৩০ এপ্রিল হংকং পুলিশ প্রথমবারের মতো একজন নির্বাসিত কর্মীর পরিবারের প্রতি আঘাত হানে। ২০১৯‑এর গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনে অংশ নেওয়া আনা কোয়ক যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেলে তার পিতা কোয়ক ইয়িন‑সাং (৬৮) ও ভাইকে অপরাধীর অর্থ বা সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহায়তার” অভিযোগে আটক করা হয়। ভাই জামিন পেলেওপিতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়েছেদোষী সাব্যস্ত হলে সাত বছরের জেল হতে পারে।

আরও কঠোর রাষ্ট্রীয় চাপ
• গত বছরই শহরেই থাকায় ৪৫ বিশিষ্ট কর্মীকে চার থেকে দশ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
• এবারই প্রথম নির্বাসিত কর্মীর আত্মীয়কে অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হলো।
• ২০২৩ সালে বিদেশে থাকা ১৯ কর্মীর মাথার দাম ঘোষণা করে হংকং সরকারআনা কোয়কের পাসপোর্টসহ ১৩ জনের ভ্রমণ নথি বাতিল করা হয়েছে। দৃষ্টি নন্দিত হলেওঅভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঝুঁকি রয়ে গেছে।

পুলিশি নজরদারি ও হয়রানি
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়জানুয়ারি ২০২৫ থেকে অন্তত পাঁচ নির্বাসিত কর্মীর পরিবারের ওপর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে। উদাহরণস্বরূপব্রিটেনে থাকা গবেষক চাং কিম‑ওয়াহ‑র সঙ্গে সংযুক্ত জনমত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তল্লাশিঅস্ট্রেলিয়ায় থাকা সাবেক আইনপ্রণেতা টেড হুয়ির পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ হংকং ডলার জব্দসবই জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায়।

নির্বাসনে গিয়েও নিরাপদ নন
২০২০‑এর পর দমন‑পীড়ন শুরু হলে লাখো সাধারণ বাসিন্দা শহর ছেড়েছেন২০২৪‑এর মে নাগাদ দুই লক্ষের বেশি মানুষ ব্রিটেনে নতুন ভিসা স্কিমে আশ্রয় নেন। কিন্তু নতুন আইন অনুযায়ী দেশের বাইরে করা কর্মকাণ্ডও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন” বিবেচিত হতে পারে। অনেকেই বিদেশে অনলাইনে হুমকিঅনুসরণ ও নজরদারির মুখে পড়ছেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও আহ্বান
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আনা কোয়ক নিজে পরিবারের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেননিতবে সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে বলেছেন, “মানবাধিকার রক্ষার যেটুকু দাবি হংকং কর্তৃপক্ষ করেআমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রমাণ করছিতা সত্য নয়।

নতুন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে হংকং সরকার এখন শুধু ভিন্নমতাবলম্বী নয়তাদের পরিবারের প্রতিও শাস্তির হাত বাড়াচ্ছে। এতে সরাসরি বার্তা দেওয়া হচ্ছেনিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দেশের বাইরে গেলেও চীনের দীর্ঘ হাত এড়ানো কঠিন।