০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
চীনে অবিবাহিত সন্তানদের জন্য পাত্র-পাত্রীর খোঁজে প্রবীণদের ভিড়—‘বিবাহবাজার’ হয়ে উঠেছে পার্ক নাসার সঙ্গে স্পেসএক্সের চাঁদ মিশনে অনিশ্চয়তা—এলন মাস্কের তীব্র আক্রমণ শন ডাফির বিরুদ্ধে কেভিন পার্কারের নতুন অ্যালবাম ‘ডেডবিট’: প্রযুক্তিগত পরিপূর্ণতায় হারিয়ে যাওয়া মানবিক স্পর্শ বিএনপি, জামায়াতের চোখে বিতর্কিত উপদেষ্টা কারা মোহাম্মদপুরে ভয় ও অনিশ্চয়তার ছায়া—এক বছরে বেড়েছে বোমা বিস্ফোরণ, গ্যাং সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ধানের শীষে ভোট দিন’ -তালিমুদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় বিএনপি নেতা কাজী গনি চৌধুরীর বক্তব্য দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতিতে সহজলভ্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নিশ্চিতের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন জরুরি—জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ জুলাই সনদকে নির্বাহী আদেশে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান—সালাহউদ্দিনের বক্তব্যে আইনি প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর মেধাভিত্তিক ইনক্রিমেন্ট ফের চালু—যোগ্য কর্মকর্তাদের প্রণোদনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্যাটেলাইট চিত্রে পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় ভারতীয় আঘাতের চিহ্ন

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • 148

সারাক্ষণ রিপোর্ট

 স্যাটেলাইট চিত্রের প্রমাণ ও প্রেক্ষাপট

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি স্যাটেলাইট সেবা প্রদানকারীরা ১০ মে প্রকাশিত চিত্রে নিশ্চিত করেছেন যে আটটি প্রধান পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে যথাযথ লক্ষ্যভিত্তিক আঘাত করা হয়েছে। এই অভিযান দুই দেশের শান্তিচুক্তির আগে কয়েক ঘণ্টা পূর্বে সম্পন্ন হয়।

 হামলার প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য

জিও-ইন্টেলিজেন্স গবেষক ড্যামিয়েন সাইমন মনে করেন, আঘাতগুলো পরিকল্পিতভাবে সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য নিয়োজিত ছিল, যাতে আশপাশের বেসামরিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। 

ক্ষতিগ্রস্ত বিমানঘাঁটির বিবরণ

রাওয়ালপিন্ডি (নূর খান বিমানঘাঁটি)

অপারেশন সম্পর্কিত একটি ভবন ও কিছু যানবাহন পরিস্কারভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সর্গোধা (পাঞ্জাব)

রানওয়ের দুই স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় মেরামত না হওয়া পর্যন্ত উড্ডয়ন ও অবতরণ স্থগিত থাকতে পারে।

 জ্যাকবাবাদ (সিন্ধ)

বিমান নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের পাশে থাকা একটি হ্যাঙ্গার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে; তবে টাওয়ার কাঠামোগতভাবে অক্ষত রয়েছে।

রহিম ইয়্যার খান (পাঞ্জাব)

 সামরিক বিমান ঘাটির রানওয়ের মৌলিক স্তর পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে কার্যক্রম ব্যাহত করবে।
তথ্যসূত্র জানায়, এই ঘাঁটিই সবচেয়ে বেশি ধ্বংস হয়েছে; রানওয়ে পুরোপুরি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সুক্কুর (সিন্ধ)

– একটি ড্রোন মজুদাগারের ছাদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ লক্ষ্য করা গেছে।

ভোলারি (দক্ষিণ সিন্ধ)

– প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা বা মেরামতের কাজে ব্যবহৃত একটি হ্যাঙ্গারে গুরুতর কাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে।

অতিরিক্ত লক্ষ্য: রাডার ইনস্টলেশন

উক্ত বিমানঘাঁটিগুলোর পাশাপাশি ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের প্রারম্ভিক সতর্কতা ও নজরদারি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রাডার ইনস্টলেশনগুলোতেও আক্রমণ করেছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে বিমান বাহিনীর মনিটরিং ও অপারেশন ব্যাহত করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনে অবিবাহিত সন্তানদের জন্য পাত্র-পাত্রীর খোঁজে প্রবীণদের ভিড়—‘বিবাহবাজার’ হয়ে উঠেছে পার্ক

স্যাটেলাইট চিত্রে পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় ভারতীয় আঘাতের চিহ্ন

০৫:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

 স্যাটেলাইট চিত্রের প্রমাণ ও প্রেক্ষাপট

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি স্যাটেলাইট সেবা প্রদানকারীরা ১০ মে প্রকাশিত চিত্রে নিশ্চিত করেছেন যে আটটি প্রধান পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে যথাযথ লক্ষ্যভিত্তিক আঘাত করা হয়েছে। এই অভিযান দুই দেশের শান্তিচুক্তির আগে কয়েক ঘণ্টা পূর্বে সম্পন্ন হয়।

 হামলার প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য

জিও-ইন্টেলিজেন্স গবেষক ড্যামিয়েন সাইমন মনে করেন, আঘাতগুলো পরিকল্পিতভাবে সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য নিয়োজিত ছিল, যাতে আশপাশের বেসামরিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। 

ক্ষতিগ্রস্ত বিমানঘাঁটির বিবরণ

রাওয়ালপিন্ডি (নূর খান বিমানঘাঁটি)

অপারেশন সম্পর্কিত একটি ভবন ও কিছু যানবাহন পরিস্কারভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সর্গোধা (পাঞ্জাব)

রানওয়ের দুই স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় মেরামত না হওয়া পর্যন্ত উড্ডয়ন ও অবতরণ স্থগিত থাকতে পারে।

 জ্যাকবাবাদ (সিন্ধ)

বিমান নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের পাশে থাকা একটি হ্যাঙ্গার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে; তবে টাওয়ার কাঠামোগতভাবে অক্ষত রয়েছে।

রহিম ইয়্যার খান (পাঞ্জাব)

 সামরিক বিমান ঘাটির রানওয়ের মৌলিক স্তর পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে কার্যক্রম ব্যাহত করবে।
তথ্যসূত্র জানায়, এই ঘাঁটিই সবচেয়ে বেশি ধ্বংস হয়েছে; রানওয়ে পুরোপুরি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সুক্কুর (সিন্ধ)

– একটি ড্রোন মজুদাগারের ছাদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ লক্ষ্য করা গেছে।

ভোলারি (দক্ষিণ সিন্ধ)

– প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা বা মেরামতের কাজে ব্যবহৃত একটি হ্যাঙ্গারে গুরুতর কাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে।

অতিরিক্ত লক্ষ্য: রাডার ইনস্টলেশন

উক্ত বিমানঘাঁটিগুলোর পাশাপাশি ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের প্রারম্ভিক সতর্কতা ও নজরদারি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রাডার ইনস্টলেশনগুলোতেও আক্রমণ করেছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে বিমান বাহিনীর মনিটরিং ও অপারেশন ব্যাহত করবে।