০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

চীনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে নতুন সুবিধা দিল

  • Sarakhon Report
  • ১১:০০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • 78

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সংঘাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ভারত‑পাকিস্তানের চার দিনব্যাপী সামরিক মুখোমুখি (৭–১০ মে) এশিয়ার আকাশযুদ্ধের ইতিহাসে নতুন নজির স্থাপন করেছে। ৭ মে দীর্ঘ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ১১৪টি যুদ্ধবিমান অদৃশ্য দূরত্বে থেকে (বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ) লড়াই করে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা তাদের নতুন চীনা জে‑১০সি যুদ্ধবিমান ও পিএল‑১৫ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে—এর মধ্যে তিনটি ফরাসি রাফাল ও দুটি পুরোনো রুশ মডেলের।

আকাশযুদ্ধে চীনা প্রযুক্তির সাফল্য
চীনের সরঞ্জামে ভর করে পাকিস্তান প্রথমবারের মতো আধুনিক পশ্চিমা যুদ্ধবিমানকে সক্রিয় যুদ্ধে হারানোর দাবি করল। আগে পর্যন্ত চীনা জে‑১০সি‑কে রাফালের তুলনায় পিছিয়ে মনে করা হতো এবং এটি কখনো বাস্তব লড়াইয়ে পরীক্ষিত হয়নি। পাকিস্তানের ভাষ্যে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টার্গেট শনাক্ত করে দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সহায়তা করেছে, এবং পুরো লড়াই দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকেছে—আধুনিক যুদ্ধের নতুন কৌশল।

ভারতের প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার করেনি; শুধু বলেছে, সব পাইলট নিরাপদে আছেন এবং ‘উচ্চপ্রযুক্তি’ পাকিস্তানি কয়েকটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে—যা পাকিস্তান অস্বীকার করে, মাত্র একটি বিমান সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানায়। তবে স্বাধীন সূত্রগুলো অন্তত একটি রাফাল বিধ্বস্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। রাফালের সম্ভবত এটাই প্রথম যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি। ভারত গত এক দশকে ৬২টি রাফাল সংগ্রহ করেছে এবং আরও কিনতে বিবেচনা করছে।

আঞ্চলিক সামরিক ভারসাম্যে প্রভাব
পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে চীনের সঙ্গে মিলে ১৫০টি জেএফ‑১৭ সংযোজন করেছে এবং ২০২২ সাল থেকে ২০টি জে‑১০সি সংগ্রহ করেছে। বিপরীতে ভারতের রাফাল কেনা ছিল আধুনিকায়নের প্রধান ভরসা। ফলে চীনা প্রযুক্তি সফল প্রমাণিত হলে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে শক্তির সমীকরণ বদলে যেতে পারে।

বৈশ্বিক উদ্বেগ ও সম্ভাব্য পরিণতি
জে‑১০সি চীন নিজেও চালায়—বিশেষত তাইওয়ানের আশপাশে—এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র‑চীন সংঘাতে এগুলোর মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত জে‑১০সি শুধু পাকিস্তানকে দেওয়া হলেও সফলতার দাবি সত্য প্রমাণিত হলে অন্য দেশও আগ্রহী হতে পারে। ফলে নানা দেশের সামরিক পরিকল্পনায় রদবদলের প্রস্তুতি চলছে। তবু একটি লড়াই থেকেই জে‑১০সি‑কে রাফালের চেয়ে ‘উন্নত’ বলা যাবে না; রাফাল বহুমুখী মিশনে সক্ষম।

দৃষ্টি এগিয়ে
যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোকে কৌশল বদলাতে বাধ্য করছে। চীনা অস্ত্রের কার্যকারিতা সত্যি হলে ভারতের নিরাপত্তা নীতি, আর বৃহত্তর বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের যুদ্ধপরিকল্পনা নতুন করে ভাবতে হবে। আলোচনার কেন্দ্রে এখন একটাই প্রশ্ন—আকাশযুদ্ধে আধিপত্যের শীর্ষে কে?

চীনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে নতুন সুবিধা দিল

১১:০০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সংঘাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ভারত‑পাকিস্তানের চার দিনব্যাপী সামরিক মুখোমুখি (৭–১০ মে) এশিয়ার আকাশযুদ্ধের ইতিহাসে নতুন নজির স্থাপন করেছে। ৭ মে দীর্ঘ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ১১৪টি যুদ্ধবিমান অদৃশ্য দূরত্বে থেকে (বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ) লড়াই করে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা তাদের নতুন চীনা জে‑১০সি যুদ্ধবিমান ও পিএল‑১৫ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে—এর মধ্যে তিনটি ফরাসি রাফাল ও দুটি পুরোনো রুশ মডেলের।

আকাশযুদ্ধে চীনা প্রযুক্তির সাফল্য
চীনের সরঞ্জামে ভর করে পাকিস্তান প্রথমবারের মতো আধুনিক পশ্চিমা যুদ্ধবিমানকে সক্রিয় যুদ্ধে হারানোর দাবি করল। আগে পর্যন্ত চীনা জে‑১০সি‑কে রাফালের তুলনায় পিছিয়ে মনে করা হতো এবং এটি কখনো বাস্তব লড়াইয়ে পরীক্ষিত হয়নি। পাকিস্তানের ভাষ্যে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টার্গেট শনাক্ত করে দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সহায়তা করেছে, এবং পুরো লড়াই দৃষ্টিসীমার বাইরে থেকেছে—আধুনিক যুদ্ধের নতুন কৌশল।

ভারতের প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার করেনি; শুধু বলেছে, সব পাইলট নিরাপদে আছেন এবং ‘উচ্চপ্রযুক্তি’ পাকিস্তানি কয়েকটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে—যা পাকিস্তান অস্বীকার করে, মাত্র একটি বিমান সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানায়। তবে স্বাধীন সূত্রগুলো অন্তত একটি রাফাল বিধ্বস্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। রাফালের সম্ভবত এটাই প্রথম যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি। ভারত গত এক দশকে ৬২টি রাফাল সংগ্রহ করেছে এবং আরও কিনতে বিবেচনা করছে।

আঞ্চলিক সামরিক ভারসাম্যে প্রভাব
পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে চীনের সঙ্গে মিলে ১৫০টি জেএফ‑১৭ সংযোজন করেছে এবং ২০২২ সাল থেকে ২০টি জে‑১০সি সংগ্রহ করেছে। বিপরীতে ভারতের রাফাল কেনা ছিল আধুনিকায়নের প্রধান ভরসা। ফলে চীনা প্রযুক্তি সফল প্রমাণিত হলে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে শক্তির সমীকরণ বদলে যেতে পারে।

বৈশ্বিক উদ্বেগ ও সম্ভাব্য পরিণতি
জে‑১০সি চীন নিজেও চালায়—বিশেষত তাইওয়ানের আশপাশে—এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র‑চীন সংঘাতে এগুলোর মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত জে‑১০সি শুধু পাকিস্তানকে দেওয়া হলেও সফলতার দাবি সত্য প্রমাণিত হলে অন্য দেশও আগ্রহী হতে পারে। ফলে নানা দেশের সামরিক পরিকল্পনায় রদবদলের প্রস্তুতি চলছে। তবু একটি লড়াই থেকেই জে‑১০সি‑কে রাফালের চেয়ে ‘উন্নত’ বলা যাবে না; রাফাল বহুমুখী মিশনে সক্ষম।

দৃষ্টি এগিয়ে
যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোকে কৌশল বদলাতে বাধ্য করছে। চীনা অস্ত্রের কার্যকারিতা সত্যি হলে ভারতের নিরাপত্তা নীতি, আর বৃহত্তর বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের যুদ্ধপরিকল্পনা নতুন করে ভাবতে হবে। আলোচনার কেন্দ্রে এখন একটাই প্রশ্ন—আকাশযুদ্ধে আধিপত্যের শীর্ষে কে?