০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

জো বাইডেনের হাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে আক্রমণাত্মক প্রোস্টেট ক্যানসার

  • Sarakhon Report
  • ০৫:১৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • 71

টাইলার পেজার ও জিনা কোলাটা

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর. বাইডেন জুনিয়রের ব্যক্তিগত দপ্তরের এক বিবৃতি অনুযায়ী, তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত শুক্রবার ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের শরীরে এক ধরনের আক্রমণাত্মক প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্ত হয়। তাঁর প্রস্রাবজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার পর ডাক্তাররা তাঁর প্রোস্টেটে একটি ছোট গাঁঠের অস্তিত্ব শনাক্ত করেন। চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসারটি গ্লিসন স্কোরে ৯, অর্থাৎ এটি অত্যন্ত আক্রমণাত্মক এবং ইতিমধ্যে হাড়ে মেটাস্টেসিস বা ছড়িয়ে পড়েছে।

গ্লিসন স্কোরের মাধ্যমে প্রোস্টেট ক্যানসার কতটা আক্রমণাত্মক তা নির্ধারণ করা হয়। স্কোর ৯ বা ১০ মানেই সর্বোচ্চ মাত্রার ঝুঁকি। বাইডেনের ক্ষেত্রে ক্যানসারটি চতুর্থ স্তরে পৌঁছেছে, অর্থাৎ তা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “যদিও এটি ক্যানসারের একটি তুলনামূলকভাবে আক্রমণাত্মক ধরন, তথাপি এটি হরমোন-সংবেদনশীল হওয়ায় কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।” প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে চিকিৎসার পথ বেছে নিচ্ছেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ করেন বাইডেন। প্রেসিডেন্সির পুরো সময়জুড়েই তাঁর বয়স ও স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যার চাপে পড়ে তিনি পুনঃনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

প্রোস্টেট ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইডেনের রোগটি গুরুতর। একবার ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পড়লে তা নিরাময় সম্ভব হয় না। তবে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোস্টেট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ড. জাড মৌল বলেন, এই অবস্থায়ও রোগীরা পাঁচ, সাত, এমনকি দশ বছর বা তারও বেশি সময় বাঁচতে পারেন।

চিকিৎসার প্রথম ধাপ হচ্ছে দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া, যেটি এই ক্যানসারকে পুষ্টি জোগায়। ড. মৌল জানান, আশির দশকে যখন তিনি পেশা শুরু করেন, তখন টেস্টিকল অপসারণের মাধ্যমে তা করা হতো। এখন ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া যায় এমন দুটি ওষুধ বা একটি খাওয়ার ওষুধের মাধ্যমে একই ফল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এমন ওষুধও দেওয়া হয়, যা যেকোনোভাবে উৎপাদিত টেস্টোস্টেরনের প্রভাব প্রতিহত করে।

ড. মৌল আরও বলেন, তিনি নিয়মিতভাবে বাইডেনের বয়সী অনেক রোগীকেই এমন ক্যানসার নিয়ে চিকিৎসা দেন। “গত এক দশকে এই ক্যানসারের বেঁচে থাকার হার প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।”

বাইডেনের রোগ সম্পর্কে শুনে অনেকেই সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে প্রায়শই সমালোচনা করেন, তিনিও রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সহানুভূতি জানান। তিনি বলেন, “মেলানিয়া ও আমি জো বাইডেনের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত খবর শুনে মর্মাহত। জিল ও তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের শুভকামনা। জো যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, সেই প্রার্থনা করছি।”

সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, “জো একজন যোদ্ধা— এবং আমি জানি, তিনি এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবেন সেই দৃঢ়তা, সহনশীলতা ও আশাবাদ নিয়ে, যা তাঁর জীবন ও নেতৃত্বকে সবসময় সংজ্ঞায়িত করেছে।”

দায়িত্ব ছাড়ার পর বাইডেন অনেকটাই আড়ালে ছিলেন, বেশিরভাগ সময় ডেলাওয়্যারে কাটান এবং মাঝে মাঝে ওয়াশিংটনে গিয়ে তাঁর পরবর্তী জীবন নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ট্রাম্পের প্রশাসনের ১০০ দিন পার হওয়ার পর এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে বই প্রকাশের আগে বাইডেন কিছু সাক্ষাৎকারে অংশ নেন, যেখানে মানসিক সক্ষমতা নিয়ে ওঠা অভিযোগকে অস্বীকার করেন।

“ওরা ভুল বলছে,” বাইডেন বলেন এবিসি’র “দ্য ভিউ” অনুষ্ঠানে। “এমন কোনো প্রমাণ নেই।”

তিনি আরও বলেন, তিনি যদি নির্বাচন থেকে না সরে দাঁড়াতেন, তাহলে ট্রাম্পকে হারাতে পারতেন।

তবে ২০২৪ সালের জুনে একটি বিতর্কে বাইডেনের অসংলগ্ন ও ক্লান্ত চেহারা অনেক ডেমোক্র্যাট নেতাকেও বিব্রত করে। পরে তিনি হ্যারিসকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান, যদিও হ্যারিস ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন।

এই বিতর্কের মাঝে এই সপ্তাহে প্রকাশ পায় বাইডেনের ২০২৩ সালের সাক্ষাৎকারের অডিও, যা নেওয়া হয়েছিল তাঁর গোপন নথি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তদন্তে। পাঁচ ঘণ্টার পুরো টেপটি আগেভাগেই প্রকাশ করে অ্যাক্সিওস, যেখানে বাইডেনের কণ্ঠস্বর দুর্বল এবং তথ্য মনে রাখতে হিমশিম খেতে দেখা যায়।

তদন্তকারী বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট কে. হার শেষ পর্যন্ত বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেননি, আংশিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “জুরি সম্ভবত বাইডেনকে একজন সহানুভূতিশীল, সদিচ্ছাপূর্ণ, তবে স্মৃতিভ্রষ্ট প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে দেখবে।”

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাঁর দীর্ঘদিনের চিকিৎসক ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর জানান, বাইডেন দায়িত্ব পালনের জন্য ‘উপযুক্ত’।

বাইডেন ও তাঁর পরিবার নানা সময়ে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর দুটি ব্রেইন এনিউরিজম হয়, যা তাঁর রাজনৈতিক জীবন প্রায় শেষ করে দিয়েছিল। ২০১৫ সালে তাঁর ছেলে বেউ বাইডেন গ্লিওব্লাস্টোমা নামক আক্রমণাত্মক ব্রেইন ক্যানসারে মারা যান।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে, দায়িত্ব ছাড়ার ঠিক আগে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি পরবর্তী চার বছর ক্ষমতায় থাকার মতো শক্তি রাখেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, “কে জানে? এখন পর্যন্ত তো ভালোই আছি। কিন্তু কে জানে, ৮৬ বছর বয়সে আমি কী থাকব?”

[প্রতিবেদক পরিচিতি]

টাইলার পেজার নিউ ইয়র্ক টাইমসের হোয়াইট হাউস প্রতিবেদক। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন সংক্রান্ত রিপোর্ট কভার করেন।

জিনা কোলাটা বিভিন্ন রোগ ও তার চিকিৎসা, চিকিৎসা আবিষ্কারের প্রক্রিয়া এবং তা মানুষের উপর কী প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে রিপোর্ট লেখেন।

(রিপোর্টটি নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে অনূদিত )

জো বাইডেনের হাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে আক্রমণাত্মক প্রোস্টেট ক্যানসার

০৫:১৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

টাইলার পেজার ও জিনা কোলাটা

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর. বাইডেন জুনিয়রের ব্যক্তিগত দপ্তরের এক বিবৃতি অনুযায়ী, তাঁর প্রোস্টেট ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত শুক্রবার ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের শরীরে এক ধরনের আক্রমণাত্মক প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্ত হয়। তাঁর প্রস্রাবজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার পর ডাক্তাররা তাঁর প্রোস্টেটে একটি ছোট গাঁঠের অস্তিত্ব শনাক্ত করেন। চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসারটি গ্লিসন স্কোরে ৯, অর্থাৎ এটি অত্যন্ত আক্রমণাত্মক এবং ইতিমধ্যে হাড়ে মেটাস্টেসিস বা ছড়িয়ে পড়েছে।

গ্লিসন স্কোরের মাধ্যমে প্রোস্টেট ক্যানসার কতটা আক্রমণাত্মক তা নির্ধারণ করা হয়। স্কোর ৯ বা ১০ মানেই সর্বোচ্চ মাত্রার ঝুঁকি। বাইডেনের ক্ষেত্রে ক্যানসারটি চতুর্থ স্তরে পৌঁছেছে, অর্থাৎ তা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “যদিও এটি ক্যানসারের একটি তুলনামূলকভাবে আক্রমণাত্মক ধরন, তথাপি এটি হরমোন-সংবেদনশীল হওয়ায় কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।” প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে চিকিৎসার পথ বেছে নিচ্ছেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ করেন বাইডেন। প্রেসিডেন্সির পুরো সময়জুড়েই তাঁর বয়স ও স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যার চাপে পড়ে তিনি পুনঃনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

প্রোস্টেট ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইডেনের রোগটি গুরুতর। একবার ক্যানসার হাড়ে ছড়িয়ে পড়লে তা নিরাময় সম্ভব হয় না। তবে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোস্টেট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ড. জাড মৌল বলেন, এই অবস্থায়ও রোগীরা পাঁচ, সাত, এমনকি দশ বছর বা তারও বেশি সময় বাঁচতে পারেন।

চিকিৎসার প্রথম ধাপ হচ্ছে দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া, যেটি এই ক্যানসারকে পুষ্টি জোগায়। ড. মৌল জানান, আশির দশকে যখন তিনি পেশা শুরু করেন, তখন টেস্টিকল অপসারণের মাধ্যমে তা করা হতো। এখন ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া যায় এমন দুটি ওষুধ বা একটি খাওয়ার ওষুধের মাধ্যমে একই ফল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এমন ওষুধও দেওয়া হয়, যা যেকোনোভাবে উৎপাদিত টেস্টোস্টেরনের প্রভাব প্রতিহত করে।

ড. মৌল আরও বলেন, তিনি নিয়মিতভাবে বাইডেনের বয়সী অনেক রোগীকেই এমন ক্যানসার নিয়ে চিকিৎসা দেন। “গত এক দশকে এই ক্যানসারের বেঁচে থাকার হার প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।”

বাইডেনের রোগ সম্পর্কে শুনে অনেকেই সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে প্রায়শই সমালোচনা করেন, তিনিও রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সহানুভূতি জানান। তিনি বলেন, “মেলানিয়া ও আমি জো বাইডেনের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত খবর শুনে মর্মাহত। জিল ও তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের শুভকামনা। জো যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, সেই প্রার্থনা করছি।”

সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, “জো একজন যোদ্ধা— এবং আমি জানি, তিনি এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবেন সেই দৃঢ়তা, সহনশীলতা ও আশাবাদ নিয়ে, যা তাঁর জীবন ও নেতৃত্বকে সবসময় সংজ্ঞায়িত করেছে।”

দায়িত্ব ছাড়ার পর বাইডেন অনেকটাই আড়ালে ছিলেন, বেশিরভাগ সময় ডেলাওয়্যারে কাটান এবং মাঝে মাঝে ওয়াশিংটনে গিয়ে তাঁর পরবর্তী জীবন নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ট্রাম্পের প্রশাসনের ১০০ দিন পার হওয়ার পর এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে বই প্রকাশের আগে বাইডেন কিছু সাক্ষাৎকারে অংশ নেন, যেখানে মানসিক সক্ষমতা নিয়ে ওঠা অভিযোগকে অস্বীকার করেন।

“ওরা ভুল বলছে,” বাইডেন বলেন এবিসি’র “দ্য ভিউ” অনুষ্ঠানে। “এমন কোনো প্রমাণ নেই।”

তিনি আরও বলেন, তিনি যদি নির্বাচন থেকে না সরে দাঁড়াতেন, তাহলে ট্রাম্পকে হারাতে পারতেন।

তবে ২০২৪ সালের জুনে একটি বিতর্কে বাইডেনের অসংলগ্ন ও ক্লান্ত চেহারা অনেক ডেমোক্র্যাট নেতাকেও বিব্রত করে। পরে তিনি হ্যারিসকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান, যদিও হ্যারিস ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন।

এই বিতর্কের মাঝে এই সপ্তাহে প্রকাশ পায় বাইডেনের ২০২৩ সালের সাক্ষাৎকারের অডিও, যা নেওয়া হয়েছিল তাঁর গোপন নথি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তদন্তে। পাঁচ ঘণ্টার পুরো টেপটি আগেভাগেই প্রকাশ করে অ্যাক্সিওস, যেখানে বাইডেনের কণ্ঠস্বর দুর্বল এবং তথ্য মনে রাখতে হিমশিম খেতে দেখা যায়।

তদন্তকারী বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট কে. হার শেষ পর্যন্ত বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেননি, আংশিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “জুরি সম্ভবত বাইডেনকে একজন সহানুভূতিশীল, সদিচ্ছাপূর্ণ, তবে স্মৃতিভ্রষ্ট প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে দেখবে।”

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাঁর দীর্ঘদিনের চিকিৎসক ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর জানান, বাইডেন দায়িত্ব পালনের জন্য ‘উপযুক্ত’।

বাইডেন ও তাঁর পরিবার নানা সময়ে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর দুটি ব্রেইন এনিউরিজম হয়, যা তাঁর রাজনৈতিক জীবন প্রায় শেষ করে দিয়েছিল। ২০১৫ সালে তাঁর ছেলে বেউ বাইডেন গ্লিওব্লাস্টোমা নামক আক্রমণাত্মক ব্রেইন ক্যানসারে মারা যান।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে, দায়িত্ব ছাড়ার ঠিক আগে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি পরবর্তী চার বছর ক্ষমতায় থাকার মতো শক্তি রাখেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, “কে জানে? এখন পর্যন্ত তো ভালোই আছি। কিন্তু কে জানে, ৮৬ বছর বয়সে আমি কী থাকব?”

[প্রতিবেদক পরিচিতি]

টাইলার পেজার নিউ ইয়র্ক টাইমসের হোয়াইট হাউস প্রতিবেদক। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন সংক্রান্ত রিপোর্ট কভার করেন।

জিনা কোলাটা বিভিন্ন রোগ ও তার চিকিৎসা, চিকিৎসা আবিষ্কারের প্রক্রিয়া এবং তা মানুষের উপর কী প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে রিপোর্ট লেখেন।

(রিপোর্টটি নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে অনূদিত )