১০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত মার্কিন নাগরিক: শোক, আতঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া বিনিয়োগে হঠাৎ বিরতি: ১১ মাসের বিদেশি স্থবিরতা  অনেক বোমা, সামান্য পরিবর্তন – ইরান-ইসরায়েলের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে বড় রকমের রূপান্তর আনতে পারেনি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৪০) বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া পুতুলশিল্প: চীন ও জাপানের সাফল্য এবং সম্ভাব্য পুনরুত্থান নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছেন ইলন মাস্ক বাড়ছে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: বিশেষ ঝুঁকিতে থাকলেও ছেলেরা কেন সহায়তা চায় না? বাংলাদেশের পান পাতা: বিদেশে রফতানি ও চ্যালেঞ্জ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা: উপাচার্যকে ঘিরে ছাত্রদের ‘মেধা’ মন্তব্য ভাইরাল বাংলাদেশে আনুপাতিক ভোটব্যবস্থা: সম্ভাবনা, শঙ্কা ও সমঝোতার চ্যালেঞ্জ

সংস্কার প্রশ্নে সমালোচনার মুখে বিএনপি, জবাবে যা বলছেন নেতারা

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৩৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • 11

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি অভিযোগ করেছে যে, একটি মহল ও চক্র বিএনপিকে সংস্কার বিরোধী বলে একটা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তবে সরকারকে কারা কীভাবে দুর্বল ও অকার্যকর করতে চাইছে-সেটি বিএনপি পরিষ্কার করেনি।

“একটা গোষ্ঠী বিএনপি হেয় করতে ও ভুলভাবে চিত্রায়িত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কয়েকজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা সমানে করে যাবেন আর মনে করছেন জনগণ সাড়া দিচ্ছে। জনগণ তাতে সাড়া দিচ্ছে না,” দলের গুলশান কার্যালয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে ওই ব্যক্তিরা কারা কিংবা কোন গোষ্ঠী বিএনপির বিরুদ্ধে এমন প্রচার চালাচ্ছে তিনি সেটি প্রকাশ করেন নি। যদিও দলটির পক্ষ থেকে বক্তব্যটি এমন সময়ে এলো যখন সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে চূড়ান্ত আলোচনার পর্যায়ে আছে।

ওই কমিশনেরই এক সভার পর গত ত্রিশে জুন নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন অভিযোগ করেছিলেন যে, মৌলিক সংস্কারের জায়গা বিএনপি ও তাদের সমমনা কয়েকটি দলের কারণে আটকে আছে।

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা ও সমর্থকদের সমন্বয়ে গড়া এবি পার্টির একজন নেতা বিএনপির নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, “বেশিরভাগ দলের একটা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও কোনো একটি জায়গায় দিয়ে সেটি ঠেকে যাচ্ছে”।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, জনভিত্তি ধরে রাখার কৌশল হিসেবে বিএনপি সংস্কার চায় বললেও অনেকগুলো বিষয় নির্বাচিত সরকার করবে বলে তারা বলছে, যেগুলো পরে আর হবে কি-না, তা নিয়ে উদ্বেগ আছে অন্যদের মধ্যে।

আরেকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ অবশ্য মনে করেন, সামনের নির্বাচনে বিএনপি ভালো করবে মনে করে অনেকে সম্মিলিতভাবে এ বিষয়টি ঘিরে অপপ্রচার চালাচ্ছে যাতে করে দলটিকে নির্বাচনে বিপাকে ফেলা যায়- সেজন্যই হয়তো বিএনপি উদ্বিগ্ন হয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

সংস্কার ইস্যুতে কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধের খবর পাওয়া যাচ্ছে
সংস্কার ইস্যুতে কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধের খবর পাওয়া যাচ্ছে

সংস্কার নিয়ে কি বলছে বিএনপি

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বিএনপি মহাসচিব বলেছেন,অনেকে সংস্কার সম্পর্কে বিএনপিকে নিয়ে কথা বলছেন, যেগুলো সঠিক নয় এবং সংস্কারের প্রতি বিএনপির অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।

বিএনপির পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে দেয়া ভিশন ২০৩০, ২০২২ সালে দেয়া ২৭ দফা এবং ২০২৩ সালে দেয়া ৩১ দফার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন যে, ‘একটি মহল ও চক্র বিএনপিকে সংস্কার বিরোধী বলে একটা অপপ্রচার চালাচ্ছে’।

লিখিত বক্তব্য শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তার দল পরীক্ষিত উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে না।

“একটা গোষ্ঠী বিএনপিকে নিয়ে ভুলভাবে চিত্রায়িত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কয়েকজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা সমানে করে যাবেন আর মনে করছেন জনগণ সাড়া দিচ্ছে। জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। এটাতে লাভ হবে না। কারণ মানুষ বিএনপি চিনে,” বলছিলেন তিনি।

সংস্কার নিয়ে বিএনপিকে দোষারোপের সাথে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো চেষ্টা আছে বলে বিএনপি মনে করে কি-না এমন প্রশ্ন করা হয়েছিলো তাকে।

জবাবে মি. আলমগীর বলেন, “সেই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিবো না। তবে নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায় তারা গণতন্ত্রের পক্ষের নয়, জুলাই আগস্টের বিপ্লবের পক্ষের শক্তি নয়। বিএনপি সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া। বিরূপ মনোভাব তৈরির চেষ্টা সফল হবে না”।

দলটির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমতে পৌঁছার জন্য আমাদের প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা এবং অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে হলেও একমত হয়ে কমিশনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াসকে সহযোগিতা করেছেন”।

“কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পর সংস্কার কমিশনগুলো যে সব প্রস্তাব পেশ করেছেন, তার বিপরীত কিম্বা নতুন নতুন প্রস্তাব উত্থাপন এবং তা নিয়ে অনেক সময় অচলাবস্থা সৃষ্টির কারণে কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে”।

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন সময়ের সাক্ষাতে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি (ফাইল ছবি)
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন সময়ের সাক্ষাতে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি (ফাইল ছবি)

এতে আরও বলা হয় “রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার নামে জনগণের নির্বাচিত সংসদ, নির্বাচিত সরকার তথা রাষ্ট্র কাঠামোকে দুর্বল ও অকার্যকর করার কোনো প্রস্তাবের যুক্তিসঙ্গত বিরোধিতা সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে আমরা মনে করি”।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়েছে যে, দুদক সংস্কার কমিশনে কতিপয় ছাড় দিয়ে ৪৭টি সুপারিশের ৪৬টিতে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮টি সুপারিশর মধ্যে ১৮৭টি প্রস্তাবে, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ৮৯টি সুপারিশের মধ্যে ৬২টি সুপারিশে এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ২৪৩টি সুপারিশের মধ্যে ১৪১টিতে বিএনপি একমত হয়েছে।

“সংবিধান সংস্কার কমিশনের ১৩১টি সুপারিশে আমরা দফা ওয়ারী মতামত দিয়েছি। অধিকাংশ সুপারিশে একমত হয়েছি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘৭০’ অনুচ্ছেদ ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ। দুই বিষয়েই আমরাই ছাড় দিয়েছি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেয়ার বিধান বিশ্বের কোথাও না থাকার পরেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা সম্মত হয়েছি। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়েও আমরা আমাদের প্রস্তাব থেকে সরে এসে একমত হয়েছি।”

এতে আরও বলা হয় “জাতীয় সংসদে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ বিরোধী দলকে দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি সহ আসন সংখ্যার অনুপাতে সভাপতির পদ দিতেও আমরা সম্মত হয়েছি। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংক্রান্ত আর্টিকেল ৪৯ পরিবর্তনে আমরা সম্মত হওয়ায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে”।

এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্প্রবর্তন, ন্যায়পাল আইন যুগোপযোগী করা, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা বিন্যাসে সংস্কার আনার জন্য সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ সংশোধন ও আইনের মাধ্যমে বিশেষায়িত কমিটি গঠনেও বিএনপি একমত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মি. আলমগীর জানান, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সম্মত হয়ে তারা সেটি বিচার বিভাগের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছেন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছেন

তাহলে অপপ্রচার উদ্বেগ কেন ?

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সংস্কার কমিশন সমূহের প্রস্তাবের উপর আলোচনা করে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও নিত্য নতুন এমন সব প্রস্তাব আসছে যে গুলো রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সংসদ পরিচালনায় বিপুল প্রভাব ফেলবে।

“এসব প্রভাব ইতিবাচক হলে অবশ্যই তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু রাষ্ট্রের মালিক জনগণকে সম্পৃক্ত না করে তাদের প্রতিনিধিত্ব কিম্বা প্রত্যাশার ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন করার অধিকার কোনো ব্যক্তি দল কিম্বা কমিশনের আছে কিনা তা’ বিবেচনায় নিতে হবে,” এতে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয় “ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে অধিক ক্ষমতা দিলে যেমন ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়, ঠিক তেমনি নির্বাচিত সরকার এবং সংসদকে ক্ষমতাহীন করলে রাষ্ট্র দুর্বল, ভঙ্গুর ও অকার্যকর হয়”।

অর্থাৎ দলটি ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন দলের নতুন নতুন প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে সায় দিচ্ছে না বলে অনেকের কাছে মনে হচ্ছে।

বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো ও সংবিধান সংশোধন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির কিছু প্রস্তাবে বিএনপি স্পষ্ট আপত্তি করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো ধারণা দিয়েছে।

বিএনপি নেতাদের ধারণা, এ কারণে ‘বিএনপি সংস্কার চাইছে না’- এমন প্রস্তাব মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে বলে তারা মনে করেন।

মূলত, সংবিধান পরিবর্তন কিংবা সম্ভাব্য সংস্কার বিষয়ে- বিএনপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বলেও দলটির অনেকে মনে করেন। এ বিষয়ে বিএনপির মূল বক্তব্য হলো -নির্বাচিত পার্লামেন্টে এগুলোর সূরাহা হওয়া উচিত।

আবার কথিত ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে বিএনপির সঙ্গেও অন্য কয়েকটি দলের মতবিরোধ তৈরি হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

সংবিধান সংশোধন নিয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি
সংবিধান সংশোধন নিয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি

যদিও এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মি. আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন জুলাই সনদের বিষয়ে আমরা বহু আগে আমাদের মতামত দিয়েছি ঘোষণাপত্রের বিষয়ে। এরপর সরকার বলেছে তারা এটা করবে। কিন্তু তারা করেনি। এ ব্যাপারে আমাদের সমস্যা নেই। আলোচনায় আমরা প্রস্তুত আছি”।

আবার সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়েও অন্য দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে দলটির।

এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “পিআর হলো গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা বদলে দেয়া। এ নিয়ে জনগণের সাথে আলোচনা হয়েছে? এ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা শুরুই হয়নি”।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, অনেক বিষয়েই সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে করতে চাইছে।

“অনেকেই মনে করেন সরকারে গিয়ে এগুলো আর করবে না বলে বিএনপি এমন বক্তব্য দিচ্ছে। কারণ করলে তো এখনি করতে পারে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মি. আহমেদ।

আর রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডঃ মাহবুব উল্লাহ বলছেন, মানুষ কিছু পরিবর্তন চায় এবং সবকিছু আগের মতো থাকুক তা তারা চায় না।

“নির্বাচন হলে বিএনপি ভালো করবে বলে মনে করে। এ কারণে কিছু মানুষ সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছে যে বিএনপিকে যদি দোষী সাব্যস্ত করা যায়। তাহলে বিএনপিকে নির্বাচনে বিপাকে ফেলা যাবে বলে তারা মনে করেন। সেই অপপ্রচারে কুলিয়ে উঠতে পারছে না বিএনপি, সেজন্যই তারা আশংকা করছে এমন প্রচারণা তাদের জন্য ক্ষতিকর। হয়তো সেটাই তাদের চিন্তার কারণ,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

বিবিসি বাংলা

হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত মার্কিন নাগরিক: শোক, আতঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া

সংস্কার প্রশ্নে সমালোচনার মুখে বিএনপি, জবাবে যা বলছেন নেতারা

০৪:৩৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি অভিযোগ করেছে যে, একটি মহল ও চক্র বিএনপিকে সংস্কার বিরোধী বলে একটা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তবে সরকারকে কারা কীভাবে দুর্বল ও অকার্যকর করতে চাইছে-সেটি বিএনপি পরিষ্কার করেনি।

“একটা গোষ্ঠী বিএনপি হেয় করতে ও ভুলভাবে চিত্রায়িত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কয়েকজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা সমানে করে যাবেন আর মনে করছেন জনগণ সাড়া দিচ্ছে। জনগণ তাতে সাড়া দিচ্ছে না,” দলের গুলশান কার্যালয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে ওই ব্যক্তিরা কারা কিংবা কোন গোষ্ঠী বিএনপির বিরুদ্ধে এমন প্রচার চালাচ্ছে তিনি সেটি প্রকাশ করেন নি। যদিও দলটির পক্ষ থেকে বক্তব্যটি এমন সময়ে এলো যখন সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে চূড়ান্ত আলোচনার পর্যায়ে আছে।

ওই কমিশনেরই এক সভার পর গত ত্রিশে জুন নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন অভিযোগ করেছিলেন যে, মৌলিক সংস্কারের জায়গা বিএনপি ও তাদের সমমনা কয়েকটি দলের কারণে আটকে আছে।

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা ও সমর্থকদের সমন্বয়ে গড়া এবি পার্টির একজন নেতা বিএনপির নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, “বেশিরভাগ দলের একটা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও কোনো একটি জায়গায় দিয়ে সেটি ঠেকে যাচ্ছে”।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, জনভিত্তি ধরে রাখার কৌশল হিসেবে বিএনপি সংস্কার চায় বললেও অনেকগুলো বিষয় নির্বাচিত সরকার করবে বলে তারা বলছে, যেগুলো পরে আর হবে কি-না, তা নিয়ে উদ্বেগ আছে অন্যদের মধ্যে।

আরেকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ অবশ্য মনে করেন, সামনের নির্বাচনে বিএনপি ভালো করবে মনে করে অনেকে সম্মিলিতভাবে এ বিষয়টি ঘিরে অপপ্রচার চালাচ্ছে যাতে করে দলটিকে নির্বাচনে বিপাকে ফেলা যায়- সেজন্যই হয়তো বিএনপি উদ্বিগ্ন হয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

সংস্কার ইস্যুতে কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধের খবর পাওয়া যাচ্ছে
সংস্কার ইস্যুতে কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধের খবর পাওয়া যাচ্ছে

সংস্কার নিয়ে কি বলছে বিএনপি

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বিএনপি মহাসচিব বলেছেন,অনেকে সংস্কার সম্পর্কে বিএনপিকে নিয়ে কথা বলছেন, যেগুলো সঠিক নয় এবং সংস্কারের প্রতি বিএনপির অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।

বিএনপির পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে দেয়া ভিশন ২০৩০, ২০২২ সালে দেয়া ২৭ দফা এবং ২০২৩ সালে দেয়া ৩১ দফার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন যে, ‘একটি মহল ও চক্র বিএনপিকে সংস্কার বিরোধী বলে একটা অপপ্রচার চালাচ্ছে’।

লিখিত বক্তব্য শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তার দল পরীক্ষিত উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে না।

“একটা গোষ্ঠী বিএনপিকে নিয়ে ভুলভাবে চিত্রায়িত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কয়েকজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা সমানে করে যাবেন আর মনে করছেন জনগণ সাড়া দিচ্ছে। জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। এটাতে লাভ হবে না। কারণ মানুষ বিএনপি চিনে,” বলছিলেন তিনি।

সংস্কার নিয়ে বিএনপিকে দোষারোপের সাথে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো চেষ্টা আছে বলে বিএনপি মনে করে কি-না এমন প্রশ্ন করা হয়েছিলো তাকে।

জবাবে মি. আলমগীর বলেন, “সেই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিবো না। তবে নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায় তারা গণতন্ত্রের পক্ষের নয়, জুলাই আগস্টের বিপ্লবের পক্ষের শক্তি নয়। বিএনপি সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া। বিরূপ মনোভাব তৈরির চেষ্টা সফল হবে না”।

দলটির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমতে পৌঁছার জন্য আমাদের প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা এবং অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে হলেও একমত হয়ে কমিশনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াসকে সহযোগিতা করেছেন”।

“কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পর সংস্কার কমিশনগুলো যে সব প্রস্তাব পেশ করেছেন, তার বিপরীত কিম্বা নতুন নতুন প্রস্তাব উত্থাপন এবং তা নিয়ে অনেক সময় অচলাবস্থা সৃষ্টির কারণে কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে”।

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন সময়ের সাক্ষাতে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি (ফাইল ছবি)
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন সময়ের সাক্ষাতে ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি (ফাইল ছবি)

এতে আরও বলা হয় “রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার নামে জনগণের নির্বাচিত সংসদ, নির্বাচিত সরকার তথা রাষ্ট্র কাঠামোকে দুর্বল ও অকার্যকর করার কোনো প্রস্তাবের যুক্তিসঙ্গত বিরোধিতা সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে আমরা মনে করি”।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়েছে যে, দুদক সংস্কার কমিশনে কতিপয় ছাড় দিয়ে ৪৭টি সুপারিশের ৪৬টিতে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮টি সুপারিশর মধ্যে ১৮৭টি প্রস্তাবে, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ৮৯টি সুপারিশের মধ্যে ৬২টি সুপারিশে এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ২৪৩টি সুপারিশের মধ্যে ১৪১টিতে বিএনপি একমত হয়েছে।

“সংবিধান সংস্কার কমিশনের ১৩১টি সুপারিশে আমরা দফা ওয়ারী মতামত দিয়েছি। অধিকাংশ সুপারিশে একমত হয়েছি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘৭০’ অনুচ্ছেদ ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ। দুই বিষয়েই আমরাই ছাড় দিয়েছি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেয়ার বিধান বিশ্বের কোথাও না থাকার পরেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা সম্মত হয়েছি। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়েও আমরা আমাদের প্রস্তাব থেকে সরে এসে একমত হয়েছি।”

এতে আরও বলা হয় “জাতীয় সংসদে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ বিরোধী দলকে দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি সহ আসন সংখ্যার অনুপাতে সভাপতির পদ দিতেও আমরা সম্মত হয়েছি। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংক্রান্ত আর্টিকেল ৪৯ পরিবর্তনে আমরা সম্মত হওয়ায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে”।

এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্প্রবর্তন, ন্যায়পাল আইন যুগোপযোগী করা, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা বিন্যাসে সংস্কার আনার জন্য সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ সংশোধন ও আইনের মাধ্যমে বিশেষায়িত কমিটি গঠনেও বিএনপি একমত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মি. আলমগীর জানান, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সম্মত হয়ে তারা সেটি বিচার বিভাগের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছেন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছেন

তাহলে অপপ্রচার উদ্বেগ কেন ?

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সংস্কার কমিশন সমূহের প্রস্তাবের উপর আলোচনা করে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও নিত্য নতুন এমন সব প্রস্তাব আসছে যে গুলো রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সংসদ পরিচালনায় বিপুল প্রভাব ফেলবে।

“এসব প্রভাব ইতিবাচক হলে অবশ্যই তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু রাষ্ট্রের মালিক জনগণকে সম্পৃক্ত না করে তাদের প্রতিনিধিত্ব কিম্বা প্রত্যাশার ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন করার অধিকার কোনো ব্যক্তি দল কিম্বা কমিশনের আছে কিনা তা’ বিবেচনায় নিতে হবে,” এতে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয় “ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে অধিক ক্ষমতা দিলে যেমন ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়, ঠিক তেমনি নির্বাচিত সরকার এবং সংসদকে ক্ষমতাহীন করলে রাষ্ট্র দুর্বল, ভঙ্গুর ও অকার্যকর হয়”।

অর্থাৎ দলটি ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন দলের নতুন নতুন প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে সায় দিচ্ছে না বলে অনেকের কাছে মনে হচ্ছে।

বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো ও সংবিধান সংশোধন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির কিছু প্রস্তাবে বিএনপি স্পষ্ট আপত্তি করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো ধারণা দিয়েছে।

বিএনপি নেতাদের ধারণা, এ কারণে ‘বিএনপি সংস্কার চাইছে না’- এমন প্রস্তাব মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে বলে তারা মনে করেন।

মূলত, সংবিধান পরিবর্তন কিংবা সম্ভাব্য সংস্কার বিষয়ে- বিএনপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বলেও দলটির অনেকে মনে করেন। এ বিষয়ে বিএনপির মূল বক্তব্য হলো -নির্বাচিত পার্লামেন্টে এগুলোর সূরাহা হওয়া উচিত।

আবার কথিত ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে বিএনপির সঙ্গেও অন্য কয়েকটি দলের মতবিরোধ তৈরি হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

সংবিধান সংশোধন নিয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি
সংবিধান সংশোধন নিয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি

যদিও এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মি. আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন জুলাই সনদের বিষয়ে আমরা বহু আগে আমাদের মতামত দিয়েছি ঘোষণাপত্রের বিষয়ে। এরপর সরকার বলেছে তারা এটা করবে। কিন্তু তারা করেনি। এ ব্যাপারে আমাদের সমস্যা নেই। আলোচনায় আমরা প্রস্তুত আছি”।

আবার সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়েও অন্য দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে দলটির।

এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “পিআর হলো গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা বদলে দেয়া। এ নিয়ে জনগণের সাথে আলোচনা হয়েছে? এ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা শুরুই হয়নি”।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, অনেক বিষয়েই সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে করতে চাইছে।

“অনেকেই মনে করেন সরকারে গিয়ে এগুলো আর করবে না বলে বিএনপি এমন বক্তব্য দিচ্ছে। কারণ করলে তো এখনি করতে পারে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মি. আহমেদ।

আর রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডঃ মাহবুব উল্লাহ বলছেন, মানুষ কিছু পরিবর্তন চায় এবং সবকিছু আগের মতো থাকুক তা তারা চায় না।

“নির্বাচন হলে বিএনপি ভালো করবে বলে মনে করে। এ কারণে কিছু মানুষ সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছে যে বিএনপিকে যদি দোষী সাব্যস্ত করা যায়। তাহলে বিএনপিকে নির্বাচনে বিপাকে ফেলা যাবে বলে তারা মনে করেন। সেই অপপ্রচারে কুলিয়ে উঠতে পারছে না বিএনপি, সেজন্যই তারা আশংকা করছে এমন প্রচারণা তাদের জন্য ক্ষতিকর। হয়তো সেটাই তাদের চিন্তার কারণ,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

বিবিসি বাংলা