০১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯ অসময়ে ভাঙন, গড়াইয়ের পাড়জুড়ে আতঙ্ক একের পর হামলা-হত্যাকাণ্ড, প্রশাসন ‘নির্লিপ্ত’ কেন? যুক্তরাষ্ট্রে যৌন অপরাধী এপস্টাইনের তদন্তের নথি থেকে প্রকাশিত ছবি হঠাৎ সরিয়ে ফেলা ঘিরে বিতর্ক মুসলমানরা কম, হিন্দুদের নামই বেশি বাদ পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ওজন কমাতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য তৈরি ওষুধের ব্যবহার লালফিতার জট কাটিয়ে মিনিটেই অনুমোদন, সরকারি সেবায় বড় বদল মালয়েশিয়ায় মালয়েশিয়ায় নজিরবিহীন মাদক অভিযান, দেড় বিলিয়ন রিঙ্গিতের বেশি মাদক জব্দ স্কোয়াশে ঘুরে দাঁড়ানো এক কিশোরের গল্প: ভুলের অতীত ছাপিয়ে স্বপ্নের নতুন পথ স্তনে ব্যথা ও গাঁট, ক্যানসার নয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার আঘাতেই ভুগছিলেন তিনি

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২১)

  • Sarakhon Report
  • ০৪:০০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • 96

 

পাণ্ডারা যে এখনো মাংসাশী প্রাণীদের স্বভাব বজায় রেখেছে তার আরেকটি লক্ষণ থেকে বোঝা যায়। মাংসভোজী প্রাণীরা সাধারণতঃ একাকী বিচরণ করতে ভালবাসে। অন্যদিকে নিরামিষভোজী প্রাণীরা পছন্দ করে দলবদ্ধভাবে থাকতে। প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে বাঁশকে প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলেও পাণ্ডারা তাদের বংশপরম্পরাগত অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। তাই এখনো পাণ্ডারা একাকীই চলাফেরা করতে পছন্দ করে।

 

 

আরেকটি অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করা গেছে যে, সময়ে সময়ে পাণ্ডারা লোহাও খেয়ে ফেলে। তাহলে বুঝতে পারছো লোহা চিবোতে হলে কি রকম মজবুত দাঁত আর হজমী-শক্তির দরকার? এ সম্পর্কে প্রাচীন পুঁথিপত্রে কয়েকটি বিবরণ পাওয়া যায়। খ্রীষ্ট জন্মের এক শতাব্দী আগে, তোং ফাংশু নামে জনৈক ব্যক্তি পাণ্ডাদের “লৌহ-চর্বণকারী” বলে আখ্যা দিয়েছেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে শাং যেই নামে এক খ্যাতনামা সাহিত্যিক তাঁর রচনায় পাণ্ডাদের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন: “লৌহবস্ত দেখলে পাণ্ডাদের মুখ দিয়ে লালা ঝরে, আর যখন তারা লোহা চিবুতে থাকে তখন মনে হয় যেন ছানা খাচ্ছে।” এই দুজনের বর্ণনা অসম্ভব এবং অবিশ্বাস্য বলেই মনে হয়।

 

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২০)

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২০)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২১)

০৪:০০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

 

পাণ্ডারা যে এখনো মাংসাশী প্রাণীদের স্বভাব বজায় রেখেছে তার আরেকটি লক্ষণ থেকে বোঝা যায়। মাংসভোজী প্রাণীরা সাধারণতঃ একাকী বিচরণ করতে ভালবাসে। অন্যদিকে নিরামিষভোজী প্রাণীরা পছন্দ করে দলবদ্ধভাবে থাকতে। প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে বাঁশকে প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলেও পাণ্ডারা তাদের বংশপরম্পরাগত অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। তাই এখনো পাণ্ডারা একাকীই চলাফেরা করতে পছন্দ করে।

 

 

আরেকটি অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করা গেছে যে, সময়ে সময়ে পাণ্ডারা লোহাও খেয়ে ফেলে। তাহলে বুঝতে পারছো লোহা চিবোতে হলে কি রকম মজবুত দাঁত আর হজমী-শক্তির দরকার? এ সম্পর্কে প্রাচীন পুঁথিপত্রে কয়েকটি বিবরণ পাওয়া যায়। খ্রীষ্ট জন্মের এক শতাব্দী আগে, তোং ফাংশু নামে জনৈক ব্যক্তি পাণ্ডাদের “লৌহ-চর্বণকারী” বলে আখ্যা দিয়েছেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে শাং যেই নামে এক খ্যাতনামা সাহিত্যিক তাঁর রচনায় পাণ্ডাদের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন: “লৌহবস্ত দেখলে পাণ্ডাদের মুখ দিয়ে লালা ঝরে, আর যখন তারা লোহা চিবুতে থাকে তখন মনে হয় যেন ছানা খাচ্ছে।” এই দুজনের বর্ণনা অসম্ভব এবং অবিশ্বাস্য বলেই মনে হয়।

 

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২০)

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২০)