০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
করপোরেট ছাঁটাই ও ব্যয়ের কড়াকড়ির মাঝেও কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ বেড়েছে ৭৭ শতাংশ টিম্বার র‍্যাটলস্নেক: উত্তর আমেরিকার বনে এক ঝনঝনানো সতর্কতার প্রতীক কুশিয়ারা নদীতে নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার, অবৈধ বালু উত্তোলনে প্রশ্ন প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০৬) মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রথম সরাসরি অংশগ্রহণ, হিজলায় যৌথ অভিযানে ২৭ আটক দক্ষ ব্যবস্থাপকরা জানেন কোথায় কাকে বসাতে হয় — কর্মীদের সঠিক ভূমিকা নির্ধারণই সাফল্যের মূল রহস্য কয়রায় ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ নারী আটক—সুন্দরবন ঘিরে চোরাশিকার রুট খতিয়ে দেখছে পুলিশ জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ বছর পর—চীন কীভাবে নতুনভাবে গড়ে তুলছে নিজের ‘বিজয়ের ইতিহাস’ মধ্যযুগে ব্রিটেনে রুটি বিক্রিতে কঠোর শাস্তি—‘আসাইজ’ আইন কীভাবে রক্ষা করেছিল ক্রেতার অধিকার ইংল্যান্ডের অভিজাত ভোজসভায় ছুরি-চামচ ছিল সামাজিক মর্যাদার প্রতীক

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২১)

  • Sarakhon Report
  • ০৪:০০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • 63

 

পাণ্ডারা যে এখনো মাংসাশী প্রাণীদের স্বভাব বজায় রেখেছে তার আরেকটি লক্ষণ থেকে বোঝা যায়। মাংসভোজী প্রাণীরা সাধারণতঃ একাকী বিচরণ করতে ভালবাসে। অন্যদিকে নিরামিষভোজী প্রাণীরা পছন্দ করে দলবদ্ধভাবে থাকতে। প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে বাঁশকে প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলেও পাণ্ডারা তাদের বংশপরম্পরাগত অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। তাই এখনো পাণ্ডারা একাকীই চলাফেরা করতে পছন্দ করে।

 

 

আরেকটি অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করা গেছে যে, সময়ে সময়ে পাণ্ডারা লোহাও খেয়ে ফেলে। তাহলে বুঝতে পারছো লোহা চিবোতে হলে কি রকম মজবুত দাঁত আর হজমী-শক্তির দরকার? এ সম্পর্কে প্রাচীন পুঁথিপত্রে কয়েকটি বিবরণ পাওয়া যায়। খ্রীষ্ট জন্মের এক শতাব্দী আগে, তোং ফাংশু নামে জনৈক ব্যক্তি পাণ্ডাদের “লৌহ-চর্বণকারী” বলে আখ্যা দিয়েছেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে শাং যেই নামে এক খ্যাতনামা সাহিত্যিক তাঁর রচনায় পাণ্ডাদের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন: “লৌহবস্ত দেখলে পাণ্ডাদের মুখ দিয়ে লালা ঝরে, আর যখন তারা লোহা চিবুতে থাকে তখন মনে হয় যেন ছানা খাচ্ছে।” এই দুজনের বর্ণনা অসম্ভব এবং অবিশ্বাস্য বলেই মনে হয়।

 

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২০)

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২০)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

করপোরেট ছাঁটাই ও ব্যয়ের কড়াকড়ির মাঝেও কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ বেড়েছে ৭৭ শতাংশ

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২১)

০৪:০০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

 

পাণ্ডারা যে এখনো মাংসাশী প্রাণীদের স্বভাব বজায় রেখেছে তার আরেকটি লক্ষণ থেকে বোঝা যায়। মাংসভোজী প্রাণীরা সাধারণতঃ একাকী বিচরণ করতে ভালবাসে। অন্যদিকে নিরামিষভোজী প্রাণীরা পছন্দ করে দলবদ্ধভাবে থাকতে। প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে বাঁশকে প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলেও পাণ্ডারা তাদের বংশপরম্পরাগত অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। তাই এখনো পাণ্ডারা একাকীই চলাফেরা করতে পছন্দ করে।

 

 

আরেকটি অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করা গেছে যে, সময়ে সময়ে পাণ্ডারা লোহাও খেয়ে ফেলে। তাহলে বুঝতে পারছো লোহা চিবোতে হলে কি রকম মজবুত দাঁত আর হজমী-শক্তির দরকার? এ সম্পর্কে প্রাচীন পুঁথিপত্রে কয়েকটি বিবরণ পাওয়া যায়। খ্রীষ্ট জন্মের এক শতাব্দী আগে, তোং ফাংশু নামে জনৈক ব্যক্তি পাণ্ডাদের “লৌহ-চর্বণকারী” বলে আখ্যা দিয়েছেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে শাং যেই নামে এক খ্যাতনামা সাহিত্যিক তাঁর রচনায় পাণ্ডাদের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন: “লৌহবস্ত দেখলে পাণ্ডাদের মুখ দিয়ে লালা ঝরে, আর যখন তারা লোহা চিবুতে থাকে তখন মনে হয় যেন ছানা খাচ্ছে।” এই দুজনের বর্ণনা অসম্ভব এবং অবিশ্বাস্য বলেই মনে হয়।

 

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২০)

পাণ্ডা-এক জীবন্ত ফসিল(পর্ব-২০)